প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
অবেলায় ঘুমায় রোজ অমৌসুমি তারাটি—
চোখে থির—বাইসাইকেলের একক করোটি…
মনে তার—লক্ষ টন ডিজেলের পোড়াগন্ধ…!
কাঠুরেহাত জ্বলে ওঠে শালবনের ঘনত্বে—
রোদনে আকাশাকার চোখ—গোল গোল
ফলন্ত কাঁটাগান ঝরিয়ে যায় মরাপাতায়…
গলায় কাচভাঙা স্বর নিয়ে ফলবান কারা
শিরের চত্বরে জমায়—শিকারগ্রস্ত পাখি…!
জবান দমে ধ্বস্ত ঘাস তাকিয়ে রয় কাঠে—
যেন ডাঙায় হাজার হাজার মাছের চোখ…
দেখে—আকাশে নীলে জমেছে ধনুক-ফলা
যেন গাদা গাদা সরিষা-দানার উল্লাস-কলা…
তামান্নার চোখ থেকে খসে পড়ে—আগামী…
বসন্তবাজার বসে কাটায় অলস সময়—যেন,
দুর্ভিক্ষলতার প্যাঁচে শশ্মানের মাংসই দামী…
কবে ফুরিয়েছে পৃথিবীতে দামামার কাল?
কবে ফুরিয়েছে সৌরটানে ঋতুর আবর্তন?
দিনের রোদে মিছিল ঘিরে রাতের সন্তরণ…
কেরোসিনের রঙ ছড়ানো আকাশ দেখি—
শিরগুলো যেন জাঁদরেল, নীল ও মেকি…
বিষম খানকিপনার গা ঘেষে—সন্তর বেশ…
কিছু প্রেম মেরুদণ্ড নয়, কশেরুকার সারি…
হৃদয়ে বাজে যেন রিকশার ঘণ্টার টুং টাং…
সমান্তরালে—জ্যামিতিক পথে হৃদয় খুঁড়ি…
শিলা—শির—মশক—কেবিনেট সম্পর্কসেঁউতি
রোজ রোজ ফেলে যায় এখানে—ডেঙ্গু ফিভার…
কার্পাস-ওড়া আবহাওয়ার সন্ধ্যায়—
ছিঁড়ে যায় তারা কার ঋতুফল বারবার…!
অথচ অড়বরইগুচ্ছ চিনে একান্নবর্তী পারাবত
যৌথ গুঞ্জরণে কেবল বাজে সংসারব্রত!
মৃদু গান ছেড়ে ওড়ে মাল্লাপাল—নদীসহোচর—
বেজে ওঠে শেষে দীর্ঘ যাঁতায় জমপড়া সেতার…
তবু হঠাৎ হঠাৎ ঝরায় তারা—ডেঙ্গু ফিভার…
দামামার শেষে ফোটে—ভগ্নাংশ—বঙ্গভঙ্গ-ফুঁ…
ডাচ-ফরাসি-ইংরেজ-নীলকরের জাহাজ ফিরে
স্বদেশে—একদিন ফুটো করে তারা
আমাদের একান্নবর্তী ভারত-বজরা…
দামামার শেষে ফোটে—ভগ্নাংশ—বঙ্গভঙ্গ-ফুঁ…
প্রভূত ঘাসের মেঝে
গান পিষে তামার বাটালি—
গান্ধার পার হওয়ার কাল
চাঁদের পৃথুল রিউমার
ছড়ায় রাষ্ট্র—আঁটালি…
প্রভূত বেদনার ফুল জানে—
কপোত ছাড়া জীবনের রঙ!
নদীর উজানে কী ছড়ায়
সন্ধ্যার রাগমালার ভেতর…!
কী ছড়ায় তামাম শির ও জং
ঘাসের রাগিণীর ভেতর…!
প্রভূত মাতৃসদন জানে
কপোত ছাড়া জীবনের রঙ…!
গীবতের হাওয়া—
আমাদের পাশে, ঘাসের মাঠে
ছড়িয়ে যায় কী মসৃণতায়
প্রভূত সুন্দর শয়তান…!
গুচ্ছ গুচ্ছ তিল—
আমাকে ব্যথিত করে রাজেন্দ্র…
কী সব মিথ্যার জেব্রা
ফুলের কলিতে ছড়ায়!
তা জানা সত্যেও
গুচ্ছ গুচ্ছ তিল—প্রভূত প্রত্ন
পৃথুল ফুলের আঁধার…
আমাকে ব্যথিত করে রাজেন্দ্র…
ফুল ও ভ্রমরের মাঝখানে দঁন্ডায়মান—একজন মা…
যেন ফুলটাইম একজন ট্রাফিক সার্জন, আর জন বাবা—
যেন হাফটাইম ট্রাফিক পুলিশ—কড়া চোখের গর্জন…
দেবালয় পেরোবার আগেই—জিরাফগুলো এদেশে সেদেশে
সিংহের দাঁত হয়ে যায়…থ থ মুখ থেকে অবশেষে ঝরা শুরু—
‘কোনো ব্যাপার না’ টাইপ গণ্ডারভূতি…
বেলাজ শির ও ধ্বস্ত ঘাস—ইশারায় ডাকে—অন্যজীবনের
উঁকি—হাজার হাজার মার্বেল ও পাথরের বণিকরা
জড়ো হতেই নীল আকাশে সমবেত কেশকালো ধোঁয়া—
মানুষ কী তবে কালো রিপুর কোনো আত্মীয়?
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..