আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
এক ঝড়জলের অন্ধকার রাতে
ঢুকে পড়েছিলাম এক কানাগলিতে;
পথ ভুলে ঢুকে গা হিম!
হাত ধরে এক অপ্সরা
মিষ্টি হেসে বলে,
এসো আমার ঘরে-
না, না, বৃষ্টি ধরলেই চলে যাব-
শুনে আরো মিষ্টি হেসে সে বলে,
যাবেই তো, তবে যাবার আগে
এই অন্ধগলিতেই খাজুরাহ দেখে যাও;
শিল্প’কে কখনো ঘৃনা করতে আছে?
আমরাই তো সেইসব ভাস্কর্য।
বললাম, আমি তো সভ্যতার জঙ্গলে থাকি
তাই রাতের খাজুরাহ দেখার সাহস কই!
অস্ফুট স্বরে অপ্সরা বলে,
তাই বোধহয় এখনো কারো
শিল্পদর্শন হলো না!
চলো আকাশের নীল সাগরে উড়ে যাই
মেঘবালিকাদের মতো শুভ্র ডানা মেলে
কিম্বা রাতজাগা হাসনুহানার মতো
নিঝুম পায়ে এগিয়ে যাই
ভোরের প্রথম আলোর দিকে
পেছনে পড়ে থাক তোমার
যত্ন করে বানানো রুটি কিম্বা
পরিপাটি করে সাজানো বিছানা।
যা কয়েক মূহূর্ত পরেই হতো
ভীষনরকম অগোছালো, তুমি কি ভাবছো?
ভাবছো, এইসব সাজানো গোছানো হিসেবী
ভালবাসার সংসার, তোমার তৈরী
জানলার পর্দা কিম্বা উলের পোশাক;
আরও সব অনিশ্চিত দেনাপাওনা-
এসব ফেলে অভিমুখ ভেঙে ফিরে যাওয়া!
নিশ্চয় এসব ভাবছো! আর মনে মনে
বলছো, ক্ষমা করো প্রিয়,
উপভোগ করছি এই বেঁচে থাকা
বেশতো, তবে এসো, অভিলাষী মনে
আমরা মাপতে থাকি অবসাদের উত্তাপ
আর বলি, হে প্রিয়,
বসন্তেও বিষাদ আছে!
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..