শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
আমাকে শুধু একবার ছুঁয়ে নিও
কাটিয়ে নেবো সমস্ত জীবন; আনন্দের বিন্দু বৃত্ত করে।
আমাকে শুধু একবার ছুঁয়ে নিও
সারিয়ে নেবো সব দীনতার আঁচড়; সততার হাত ধরে।
আমাকে শুধু একবার ছুঁয়ে নিও
মাখিয়ে দেবো মায়ের ভাষা; সন্ততির জিভ এক করে।
আমাকে শুধু একবার ছুঁয়ে নিও
ভাসিয়ে নেবো জীবন অমৃতে;ঈশ্বরের মাথা নিচু করে।
আমাকে শুধু একবার ছুঁয়ে নিও
তাড়িয়ে দেবো জাতপাত; ধর্মের চোদ্দগুষ্টি এক করে।
আমাকে শুধু একবার ছুঁয়ে নিও
নাড়িয়ে দেবো ভূগোলের সীমানা;এক বিশ্বভুবন গড়ে।
নষ্ট ধুলোর হাওয়ায়
নষ্ট জলের নাওয়ায়
নষ্ট অন্যকোন চাওয়ায় নষ্ট হবো না আমি।
দেখতে দেখতে তোর মাটি তোর আকাশ বাকি দূর অবশেষ
কষ্টে সৃষ্টে তোর কাছে পৌঁছে যাবো আমি
তোর বুক পবিত্রার একটি দেশ। থাকবো ভালো শেষমেশ।
দুয়ার দিয়ে দুঃখ আসে
ভাবলে সারা জীবন দুঃখ তোমায় বেঁধে যাবে।
হাত বাড়িয়ে সুখ আসে
ভাবলে আকাশ মাটি ছুঁয়ে তোমায় সেধে যাবে ।
মানুষের হাত ধরো
প্রকৃতির মাটির জমিনে সোজা হেঁটে চলো ।
ভাবনা চৌচির করো।
অতীতের কাসুন্দি গা থেকে ঝেড়ে ফেলো ।
জেনে মানুষ কদিনের বাসিন্দা সংসারের বাসরে।
আজ বাঁচার আনন্দে বেঁচে থাকা শুধু বোকামির নির্মম খেলার মেলা
বাঁচার ফুর্তি জীবন কুর্তির রঙ বদলে বদলে ক্ষ্যাপামির ক্ষনিক বেলা।
এসো
বিলাপের মুখোশ ছিঁড়ে সুখের আলাপের গোলাপ ফোটায়
দুঃখের দরিয়ার বালুচরের প্রান্তিকে সাগরের আনন্দ ছড়ায়।
গলা খুলে বলো। দুঃখ বলে কিছু হয়না।
জন্ম আসুক
মৃত্যু আসুক
বাঁচার আনন্দে নিষ্পাপ সংরাগের হাতে হাত ধরে।
তোমার আলতা মাখানো দু’পায়ের ছাপ
দিনানুদিনের অলিন্দ পেরিয়ে সিঁড়ির ধাপ।
কাজলপোড়া সাঁঝ বেলা, চোখ জুড়ানো ছন্দ খেলা ।
তোমাকে ভালোবাসি সোজাসুজি বলতে কেনো যে ঠোঁট কাঁপে
যদিও বৃষ্টি এসে ধুয়ে গেছে সমস্ত আকাশ অন্ধ মোহের প্রলাপে।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
রেখেছি বক্ষ চিরে তোমাকে ‘ভালোবাসা’ দেখাবো বলে
রক্ত ঝরায় ।
শেষমেশ মূর্ছা আমার দু’চোখ এক শ্বাসে বাকি কথা বলে
নিস্তব্ধতায়।
তুমি আকাশ হলে
আমি মেঘ হবো
বৃষ্টির আদরে মাটির উরোজ শস্য তোমায় দেবো।
তুমি বাতাস হলে
আমি ঝড় হবো
গাছ গাছালির অরণ্য ভরা সবুজ তোমায় দেবো।
তুমি নদী হলে
আমি নৌকো হবো
দু’পার আশ্লেষতোলা স্বজন সুখ তোমায় দেবো।
তুমি চাঁদ হলে
আমি রাত্রি হবো
মায়াজালের বাস্তবের আদল তুলে তোমায় দেবো।
তুমি শরীর হলে
আমি শান্তি হবো
রক্ত জল ঘাম শ্রমের বৈভব তুলে তোমায় দেবো।
তুমি মৃত্যু হলে
আমি চিতা হবো
আগুনের বিভোর শুয়ে ভালোবাসার নজির দেবো।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..