শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
শেষের সেদিনে
প্রদীপ জ্বলছে বেদিতে।
বিষণ্ণ কান্নায় স্তব্ধ চারদিক ,
বিষাদে পরিপূর্ণ বাংলা অক্ষরমালা
যার পরতে পরতে জড়িয়ে স্মৃতিমেদুর
২১শে ফেব্রুয়ারি।
স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণকে আঁকড়ে বসে শূন্যচোখে।
মায়ের ভাষা নিয়ে কোথায় সেই উন্মাদনা ,
সেই উচ্ছ্বাস, সেই আবেগ?
শহিদের রক্ত কি তবে বৃথা গেল?
সূর্য ঢলছে , ঢলছে আশাও।
একগোছা জ্বলন্ত পাটকাঠি ঘুরছে বেদির চারপাশে।
মুখাগ্নির মুহূর্তে ভেসে এল গান –
‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।’
সমস্বরে কারা যেন গর্জে উঠল, ‘জয় বাংলা।’
আশা জাগছে , আশা জেগে থাকে দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়েও।
উন্নয়ন
আলাদিনের প্রদীপটা মাটিতে পড়তেই
একটা কোলকুঁজো দৈত্য হাতে ধরাল
কয়েকটা ঘোড়ার ডিম আর বুকনির ঝোলা।
বুকে ছুরি ধরে বলল,’ চুপ , উন্নয়ন চলছে।’
বাঁচোয়া
এখন দিনকাল যদিও ভয়ঙ্কর
তবুও হাতের বাইরে যায়নি এখনও
পিঁপড়েরা চপ ভাজে, সিংহেরা গরাদে –
কঠিন সত্য বলবে কে?
নিরুদ্দেশ
ছিপছিপে সময়ের উলঙ্গ আলোয়
উত্তুরে হাওয়ায় সব ধুলো ওড়ে দিগন্তে।
ঘরে রাত ঢোকে হায়নার গন্ধে, দিন
গুঁড়ি মেরে শ্বাপদের মতো। কান্না জোড়ে
শিশুরা। মেরুদন্ড বেপাত্তা ক্রমভঙ্গুর দিনে।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..