প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
তিলোত্তমা,
বারিবিন্দুর বেশে ঝরব তোমার হৃদয়াকাশে
অন্য বসন্ত এসেছে ফকিরের আরশিনগরে
ঈশ্বরের তরী ভাসে আকাশগঙ্গার অচিন স্রোতে
আবেগিয়া,বিরহী পথিক পথ ভুলেছে
আম,কাঁঠাল,হিজলের বনে…
জীবনানন্দের শেষ স্পর্শটুকু পেতে।
আটকে শহর টানাপোড়েনের ট্রাফিক জ্যামে
জ্বলন্ত বারুদেরও আগে শরীর নেভে,
রাজপুত্রের অকালমৃত্যু বাৎসল্যের খেলার মাঠে…
লোডশেডিংয়ের অন্ধকারও তারার গরমে ঘামে,
হ্যারিকেনের আলোয় ফিসফিস করে বিষণ্ন পাপ
অহমিকার শিকল পায়ে সভ্যতা হাঁটে।
আমার কবিতা ভাতের গন্ধ খুঁজে পায় নি
কলমের আঁচড় ‘ক্ষমাপ্রার্থী’,ফুটপাতে ঘুমায়
জন্মাতে চাই আমি বন্ধ্যা তারার গর্ভে,
আমার অস্থি,মজ্জা,রক্তে গাঁথা…
প্ৰত্যেক ক্ষণজন্মার অলীক সুখের ইমারত
অজ্ঞাত বাকী অধ্যায় প্রোথিত মহাজাগতিক পর্বে,
ইতি,
‘অ’প্রেমিক।
দিগন্ত চরাচর বিস্তৃত শ্রান্ত ঝাউবনে
স্নিগ্ধ প্রেমে আবিষ্ট মরমি পূর্ণিমা,
নৈঃশব্দের নিষ্ঠুর যবনিকা…
ছিন্নভিন্ন হয় ট্রেনের সুতীব্র হুইসেলে,
ঘরে ফেরার গান মনে পড়ে?
মাটির সোঁদা গন্ধে তৃপ্ত পরিযায়ী বাতাস
কখনও এসেছে তোমার বিজলিহীন-
মনোরম অন্ধকার-কার্নিশে?
ছুঁয়ে দেখেছ কখনও অন্ধ অনুভূতিদের?
দেহে রক্ত জমাট বসন্ত উষ্ণতা…
ক্ষয়ে যাওয়া পল্লবে চিঠি লেখে
বন্ধ্যা পাহাড়,কর্কটগ্রাসী মৃত্তিকা শুষে।
সিঁদুরে মেঘের আবিরে রাহু-মুক্তি দেখেছিল যারা
কিংবা সেদিন যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল…
তাঁরাও তো একটা কাব্য লিখে ফেলতে পারে,
দুর্বোধ্য শব্দের গ্রিনরুমে নিঃসঙ্গ শিল্পী
চোখের জলে নিজ অস্তিত্ব লুকোয়।
শুনতে পাও কালপুরুষের মল্লার রাগ?
কোটি কোটি গ্যালাক্সির অচেনা দেশে
কারা গড়ে ঈশ্বরের অলীক বাসা?
মানব-জমিনের অবশিষ্ট হিসেব নিকেশ
বিশ্রাম নিক আপাতত ক্ষণজন্মার জঠরে।
চাঁদ পড়ে আছে…
কাগজের খেয়াঘাটে,আলগোছে
বিনিদ্র রজনী বিদিশার বেদনাহত প্রাণ-
ছিন্ন পত্রের স্রোতে ভেসে যায়…
খড়কুটো আঁকড়ে।
নির্বিকার,নিস্পৃহ জোছনা ফিসফিস করে-
গল্প শোনায় বিবর্ণ বালুতটকে,
বিগত শতাব্দীর,আশাভঙ্গের।
নক্ষত্র পতনের শব্দ-
আছড়ে পড়ে মনের রুগ্ন ব্যালকনিতে,
বহুকাল ধরে ক্ষীণ অক্ষি জলধি…
আবেগিয়া বিরহের চোরা স্রোত-
লুকিয়ে রেখেছে সযত্নে,
মানুষের জীবন-গল্প-কোলাজে…
অঙ্গারের ধূসর কালিতে লেখা-
অযাচিত অতৃপ্ততার তিন অধ্যায়,
হৃদয়ের বেশে গলে মোমবাতি-
প্রতিদিন; বিষাক্ত শিসমহলে।
ভাবের ঘরে,মায়া-মৃদঙ্গের পদচারণার সাক্ষী…
ঝরে পড়া কিছু কৃষ্ণচূড়া গোধূলীর-
আনমনা জীবন চক্র।
নিশ্ছিদ্র সময় পট এসব মনে রাখে?
পায়ে হাঁটা মানচিত্রের পথ ধরে…
হৃদয়পুরের ঠিকানা খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা,
রাতের অমানিশায় মৃত নক্ষত্রের মুখে-
শুধুই ফুরিয়ে যাবার গল্প শোনা।
শব্দের দাসত্ব,কলমের অহেতুক উল্লম্ফন…
একটা বিদ্রোহের সাবেকি গন্ধ পাই,
অনিশ্চয়তার দমবন্ধ ঘরে,আমার শূন্য ছায়া-
হারানো কিছু অনুরণন খুঁজতে ব্যস্ত।
সব পেয়েছির দেশে কোথাও যেন
গুমরে মরা কান্নার গ্রামোফোন বাজে,
বোবা টানেলের ধার ঘেঁষে-
মনস্তত্ত্বের ক্ষত বিক্ষত দেহ পড়ে।
শব্দের ফেরিওয়ালার নিঃশব্দ মিছিল…
ব্যাগ ভর্তি মিথ্যে সম্মান বিলি করবে বলে
ছন্দহীন চিরকুটে হতাশার গল্প-
লিখে চলছে ভোরের আশ্বাস বাণী,
হ্যাঁ,রাতের আঁধার বৃত্ত ভেঙে-
মনের অকারণ পাগলামিগুলো
আগামীর কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে,
অপার্থিব শূন্যতা আঁকড়ে বাঁচার চেয়ে-
কবরের শান্তি নেমে আসুক আমার ওপর…
ভেজা বারুদের ঠোঁটে;আগুনের হাসি দেখতে চাই।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..