প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
সারকুলার মোশন মৌমাছি ঘুরপাক
কেন্দ্রে কিষানীর বর্ণজ্ঞানহীন চিঠি
মৌচাক ক্ষ্যাপানো ভুল অক্ষরেরা কাঁদে বৃত্ত বাইরে
স্বপ্ন অগাধ বাঁশিওয়ালা যায় কর্পোরেট মধুর টানে
কিষাণীর চিঠিতে লেখা ছিলো অনক্ষর
“রাষ্ট্রহীন হাতে মেট্রোরেল রাষ্ট
বিরতিতে সিমেন্টযোদ্ধারা ভাতের কারিগর
শিবলিঙ্গ দুধ পরিযায়ী শিশুহাড়ের ক্যালসিয়াম উপহাস
বলয় থেকে উড়ে যাওয়াকে পাপ না বিপ্লব বলে জানি না
মুক্তি নেই আগুনখাটে, বাপ মা পুতে রাখা গহবরে
এই বেওয়ারিশ সিনার হাড় ছড়িয়ে দিও
রাষ্ট্রের পাঞ্জামুক্ত যে ফসলের ইমারত ডাকে অহরহ।”
কবিকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে জলের অক্ষর আকৃতি, আধুনিক নৈঃশব্দ্য জ্ঞানে
একটি আপেল খেতে খেতে ব্যালকনি ছুটে যাওয়া, শেষ কামড়টি মহিলা সুইপারের ঝাড়ুর চোয়ালে
তার চোখে কাঁদেনি হাতখসা প্রার্থনা শেষে আর্টফিল্ম
নগ্ন মায়ের বুকখোলা আকাশ দেখে একশো টাকা দেয়া হয়নি
পেটভরা হাভাতেরা তাকে শাড়ি পরাতে ব্যস্ত ছিলো
সেদিন আমার প্রেমিক বিপ্লব ঘটাবে বলে খালিহাতে থাকার দরকারি অজুহাত
কেউ কেউ ফলমূল বেচে খাওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টে শাড়ির ব্যবসায় নামলো
প্রেমিকও আর ভোগে ফুলফল চড়াবে না বলে একটা গোটা বাস থামালো যতিচিহ্নে
যেই বাসে মানবীরা বোকা বনেছিলো লিঙ্গের বিপরীত ঝড়ে
পরবর্তী প্রদীপে প্রজাপতি ক্ষয়
গতকাল নেভেনি বিশ্বস্ত কলঙ্কে
এ আমার নিষ্কলুষ অহংকার
বিশদ ছাদ কেড়ে নেয়া বিলবোর্ড বিষাদ
ঘায়ে রেখে সলিল আচর
অভুক্ত বারান্দায় রত্নজন্মা গাছ
শেকর কাঁদে ভাগ্যফল সিজারে
গতরচুরি রত্নে ভাগ্য নেই শেকড়ের
গতকালের চোখবন্ধ কুয়াশা
আর কি ওজন মাপে ঋতু আদালতে
বসন্তপাপী দুদণ্ড মাঝে আগামীকাল দুরত্ব
রত্নখাওয়া গতরে শেকর ঝুলে মৃত্যুদণ্ডে
১
কত ধ্বংসের পথ বেছে বেছে সুড়ঙ্গ, কত ক্রান্তিলগ্নে অপরূপ চৌকাঠ গায় চকচকে সীমান্ত
বুঝে গেছি দুইহাজার উনিশের শেষ রজনীগুলোয়, আগুনের নিরুপায় শিসে স্টিমার ইশারা
কাটাতার সমুখে বঙ্গকন্যার চুল ছড়ানো রমনীয় বলিদান
২
কঠোরে বসে আত্মঘৃণার কান্না কবিতা হয় না
যে মহাকাল শুধু সাক্ষ্য দিয়েছে পৌরুষের
তারে বিলীন করেছি প্রজাদের নির্বাক চাবুকে
স্বদেশী অন্ধকারে বিদ্ধ কবিতা রাষ্ট্রীয় প্রকাশ জানে না
হাহাকার অগোছালো বয়েসী কানন
অপবিত্র হাতেরা হারমোনিয়াম আকাঙ্খায় চ্যাচায়!
তলদেশ থেকে হাঙর নাচ, সুরভেজা সড়কমুখ দেখার আশায়
চরিত্র তার অতীত দাগ ছেড়ে উঁকিঝুকি,
স্কুলমাঠে, ইউনিফর্মে…
মৃদু তৃষ্ণায় খুলে অনড় হাওয়ার মুখ
খুনী জাল, মরীচিকা দৃশ্যমান
চন্দ্রতাড়নায় শহরের বুককাঁপা সংগ্রাম
বেনামী বিকেল খরচায় মিটে যাই ঐশ্বর্যের স্বাদ
মানুষ আর ঈশ্বরের মাঝে পুরষ্কারহীন আরবিট্রেশন
নাকে খত দিলে চাপা পড়ে আকাশ, দামাদামির বিলাপে
ঈশ্বর আর মানুষ মাঝে পশুর পোড়া চামড়া
বনপোড়া বিশ্ব দাঁড়িয়ে থাকে বনসাই হাতে।
এখানে সামান্য অক্সিজেন হবে?
কিছু কৃষ্ণচূড়া অনুষঙ্গ
বাতিজ্বালা জ্ঞানীর অনন্তকাল জেগে থাকা ঘর
এখানে কি ভিখারীর গানে ঈশ্বর আসেন অতিথি হয়ে?
সামান্য অক্সিজেন হবে?
যতটা আমার দম ফেটে জন্ম নিবে আরেক শিশু
স্তনের কাছে এসে শরীরের গন্ধ শুঁকে নিলো কুকুরের মত
আমি আমার মায়ের গন্ধ মেখে এসেছিলাম
পোড়া নাভি কেটে প্রেমিক আমার খুব আত্মার জহর নিয়ে আসত অশান্ত রাতে
এখন নতুন খদ্দেরগুলো টাকা গুজে রাখে সেই পরিত্যক্ত সুড়ঙ্গে
নতুন মা প্রথমদিনেই মদ বরফ আর গয়নায় ঢেকে দিতে চাইলো জন্মদাত্রীর সুঘ্রাণ
ইঞ্জেকশন দিলো যাতে প্রেমিককে খাওয়া চুমুর সাথে কাস্টমারদের সেবার কোনো পার্থক্য না থাকে
মাগীর দালাল এটাই জানলো না
বেশ্যা হতে গেলে আগে প্রেমিকের দুটুকরো হৃদয়ের মাঝখানে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করা লাগে
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..