প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
ভেজা বর্ষার ভোরে,
ভিজে ভিজে
চেয়ে আনি রোজ
কদম গাছের কাছ থেকে কদম
ফুল গুলো,
সাঙ্গ হয় সকাল কদম হাতে স্বাগত জানাতে অসীমে।
তারপর অসীমের শূণ্যতায় ন্যাতা ন্যাতা হয় ফুলগুলো,
খসে যায় মলিন জীর্ণতায়।
প্রখর তপ্ত দুপুর রৌদ্র স্নানে
শুদ্ধ করি শুদ্ধ হৃদয়,
কাঠ গোলাপের শুভ্রতা জড়িয়ে খোঁপায়,
চেয়ে থাকি আবার ও অসীমে।
অতঃপর ক্লান্ত খোঁপা ও খুলে যায় বিবর্ণ দৈণ্যতায়।
গোধূলির কনে দেখা আলোয় কৃঞ্চচূড়ার রঙ চেয়ে আনি
আগুন কপালে নির্বাক ঠোঁটে,
চোখ সাজাই সন্ধ্যার মেঘে!
অথচ মেঘ গুলো বাষ্প হয়ে ওড়ে বিহব্বলতায়।
রাত আসে বাদুড়ের কালো ডানা মেলে,
নিকষ কালো অন্ধকারে ঘুমিয়ে
পরে পৃথিবী।
আমি তবু জেগে থাকি অতন্দ্রীলা।
অপেক্ষার বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আবার ও ভিজব বলে।
অথচ অপেক্ষার ওপারে কেউ ছিলো না!
ছিলো না কারো লেশ, বিন্দু মাত্র।
তবু ও মন !!
কেন পোড়ে?
কেন পোড়ে?
হৃদয় হারানোর দীর্ঘশ্বাস শুনেছ কখনও?
শোন নি বুঝি!
শুনবে কি করে?
তুমি তো হৃদয় পূর্ণ।
তবে কখনও
তুমি ছিলে হৃদয়হীন শরীরী এক খাঁচা!
কত শ্রম, সময়, যত্ন , নিষ্ঠা দিয়ে তোমার খাঁচায়
আমার হৃদয় প্রতিস্থাপন করেছিলাম।
তুমি সুখী হলে না;;
কারণ!
তোমার চোখ ছিলো অথচ সে চোখে দৃষ্টি ছিলো না,
দেখতে না পারার যন্ত্রণায় তুমি ক্ষয়ে যেতে নিরবে।
তোমার কষ্টের তীব্রতায় বিহব্বল আমি,
আমার দৃষ্টি তোমার চোখে রেখে জ্বালিয়ে ছিলাম দৃষ্টি প্রদীপ!
তুমি স্বস্তি পেলে না।
কারণ!
তোমার অনেক কথা ছিল,
কিন্তু তোমার জবান স্তব্ধ !
কথা বলতে না পেরে তুমি বুক চাপড়াতে কষ্টের কষ্টামিতে।
তোমার বুক চাপড়ানোর হাহাকারে ব্যাকুল আমি,
আমার সব কথা লুকিয়ে জবান দিয়েছিলাম তোমাকে।
তোমার শূণ্য খাঁচা এখন
হৃদয় পূর্ণ,
তোমার চোখের দৃষ্টি
এখন বহুদূর,
তোমার কথা’রা এখন লাগামহীন দুরন্ত,
তুমি এখন চলতে পারো জীবন যাপনে।
তুমি শান্তি পেলে না।
কারণ!
তুমি সব কেন পেলে?
তাই বললে আমাকে,
চলে যাও!
আমি অবাক হইনি,
মোটেও ;
শুধু কষ্ট পেয়েছিলাম খুব
বুঝতে দিইনি তাও।
চলে এসেছি তোমার থেকে অনেক দূরে!
জানি ভালো আছো খুব
ভালোই থাকবে।
কারণ আমি আমাকে চিনি,
যে হৃদয় যে দৃষ্টি যে জবান তুমি ধারণ কর সে সব যে আমার।
আমি জানি ঐ হৃদয় কি চাইবে সকল শেষে,
আমি জানি ঐ দৃষ্টির সীমা কতদূর,
আমি জানি ঐ কথা’রা কোথায় ফুরোবে,
ততদিনে নিঃস্ব আমি,
সর্বহারা আমি হারাবো অন্তরীক্ষের দহনে।
বোকা তুমি বুঝবে সেদিন
দৃষ্টি জবান হৃদয় হারিয়ে ও রয়েছি তোমাতেই,
তোমার অজান্তেই।
স্টেশনের নামটি খুব অদ্ভুত,
ঘুম!
অথচ ঘুম পালায়
অবলীলায়;
স্টেশনের জেগে থাকায়!
প্রথম দেখা এখানেই হয়েছিল।
শেষ রাতের শেষ ট্রেন থেকে নেমে এই ঘুমের জমিনে।
ভুল ট্রেনে উঠেছিলাম দুজন,
শেষ রাতের ক্লান্তিতে
ভুল স্টেশনে নেমে ও ছিলাম দুজন।
তারপর ভোগান্তি,
গন্তব্যে আমরা কেউ পৌঁছাতে পারিনি।
গন্তব্যের খোঁজে দুজনেই দুজন কে ছেড়েছিলাম।
তারপর এ জমিন ও জমিন করে আবার এই ঘুমের জমিনে!
তবে সময় যে বড্ড বেয়াড়া।
বয়ে গেছে নিয়ম করে
নিয়ে ও গেছে করজোড়ে।
অতঃপর ক্লান্ত, জর্জরিত, বিপর্যস্ত দুজন পুরোনোতেই ফিরতে আবার এই স্টেশনে।
শেষ রাতের শেষ ট্রেন!
ফিরব দুজন একসাথে।
কোথায় ফিরব?
দুজনের চোখে একই প্রশ্ন।
উত্তর?
সেও একই!
যেখানে ভুলের শুরু!
সেখানে।
অর্ফিয়াস,
কোথায় তুমি?
কোথায় তোমার বাঁশরী?
আমার শহরে আজ অলিখিত কারফ্যিউ,
কবিতা গুলো হারিয়েছে সেই কবে !!বোহেমিয়ান কবিদের শ্যাম্পেনের ফেনায়।
গল্প গুলো অযথায় গল্প হয়ে এখন রেড ওয়াইন এর গ্লাসে বিবর্ণ,
ছড়া গুলো ও অকারণে হেঁটে গেছে বিদঘুটে গন্ধের বিয়ারের ক্যানে বন্দী হবে বলে!
আর আমি?
আমি হারিয়েছি নিজস্ব নিয়মে নিজের তৈরি খামে।।
কেন বলো তো??
ছন্দ হীন, কবিতা হীন, গল্প হীন, আমি হীন,
আমি কতটা নিঃপ্রাণ তা তো তুমি জানো!!
অর্ফিয়াস তুমি,
তোমার ঔদ্ধত্যের বাঁশরী বাজিয়ে
ভেঙে দাও
আমার শহরের কারফ্যিউ।
মেঘ দেশ, নীল মেঘ,
ঢেউ গোনা ক্ষণ,
জোনাকির আলো নিয়ে ফিরে আসুক কবিতা!
দ্রোহে, প্রেমে, কামে, জীবন, যাপনে।
রঙিন ডানার প্রজাপতির মায়ায় জড়ানো গল্প গুলো
ওয়াইনের রঙ ছেড়ে ফিরুক আবার নিজের ঢঙে।
ছড়ায় ছন্দে বিয়ারের ক্যান হোক ঢোল মাদলের তরঙ্গ।
আর আমি হয়ে উঠি তোমার সুরে প্রিয়দর্শীনী ভীষণ রকম।।
অর্ফিয়াস,
এসো একবার অথবা বারবার।
আমার মনের নোঙর
তোমাকে,
খুব ভালোবেসেছিলাম!
বাঁধ ভাঙা ভালোবাসা চেয়েছিলাম তোমার কাছে ও।
চেয়েছিলাম রাবনের মত ছিনতাইকারী প্রেমিক হবে তুমি,
ভালোবাসবে আমার সব দুর্বলতা জেনে ভীষণ দুর্নিবার!!
পেয়েওছিলাম সেই আবাহন তোমার কন্ঠে।
তবে তা শুধু কন্ঠেই সীমাবদ্ধ ছিল,
হৃদয়ে নয়,
তাই অযথা আত্মা পোড়ে খুব দহনে।
তবুও মন!
এতটাই তোমাকে ভালোবেসেছে,
যে আর কাউকে ভালোবাসতেই পারলনা।
ঘাটে ঘাটে নোঙর ফেলে,
নোঙরের আঙটায় কষ্ট বাঁধি বুকে রোজ রোজ।
দলিত হয়ে ক্ষয়ে যায় শরীর, জ্বলে যায় হৃদয় ,
ছিড়ে যায় হৃদপিন্ডটা।
শুধু মনের নোঙর পরে থাকে অপরিসীম স্বার্থপর তবুও স্বস্তির তোমার চোখে।।।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..