নাগরিকত্ব
আমার ধ্বসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
রাত গাঢ় হয়ে আসে, চমকানো তারারা অপরূপা
আকাশ জানে না সঠিক কোন তারা তার মেহবুবা
দুই
আমাকে তুমি ভাঙতো পারো, গড়তে পারো দ্বিধায়
আঁকতে পারো, লিখতে পারো, আপন মুসাবিদায়…
তিন
নকশা তোমার গুপ্তধনের পুরোটা আমার হাতে
দেখা হবে আঁধার ভীষণ অমরাবতীর রাতে
তোমার ঘরে উঠে আসে সোনাগাছি, সূত্রের কাম
পিওন শিখে সে সূত্র সাথে মালি পুরুষের বদনাম
দুই
ধারে কিনেছি ভালোবাসা, দাদন দিতে হয়
আর্তি এবং বিক্ষোভ সাথে হারানোর ভয়
তিন
বুকের মাঝে দলা পাকায় প্রেম
হৃদরোগ তার নাম আজ জানলেম
চার
ফুলেদের নাম রাখিনি মনে, বিরাণ তাই সন্ধ্যা
অভিমানে ফোটেনি ভোরে প্রিয় অলকানন্দা
পাঁচ
ঘাসেরা শুয়ে থাকে, শয্যা ভেবে নেয় আকাশ
মাঝের শূন্যতা টেনে রাখে মিলনের রাশ…
ছয়
ঘাসফুল চুপচাপ, ফরিঙেরা উড়ে আসে
রঙগুলোর ফিসফাস, প্রণয়ের হাঁসফাঁসে
সাত
মেলা থেকে কিনেছে চুড়ি সে, ভালো
রাতের চাদর ভাঙা কাচ আগোছালো
নেমেসিস হৃদয় অপেক্ষা করে
তার তরে
একা
ধ্বংস, মৃত্যু, জরা আর শোক
তার হোক
দেখা
শুদ্ধ বায়ু খুঁজে ফিরি
মনের ভেতর হারিকিরি
করছে তাড়া
বলছে দাঁড়া
ঢাকার বাতাস দূষিত দারুণ
নগর বাউল শহর ছাড়ুন
হারিকিরি আসছে ধেয়ে
নগরে থাকা শহুরে মেয়ে
যেমন আসেন গিলে নিতে
কাছে পেতে
বিবশ আকাশ
সব অবকাশ
নগর বাউল ছাড়ুন শহর
নকল জীবন সোনার মোহর
তোমাকে বলি যোগ্য হয়ে ওঠো, রমণ যোগ্য
ভাবো অসুবিধা নেই, এতো ঠিক তুমি ভোগ্য
দেবতার ভোগ থেকে ভোগ্য আসে
আমি কি দেবতা, যে তোমায় ভালোবাসে …
তোমাকে দিয়ে যাই গোপন চাবি
খুঁজে পেতে ভালোবাসা আর হাবিজাবি
কাজে দেবে
অঙ্কের হিসেবে
ফিরে পাবে সব
হারানো উৎসব
এবং সময়
দেরাজ পুরোটা তুমিময়
আমার ধ্বসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
নিজেদের ভেঙে পড়া ঝনঝনানি শব্দে প্রতিটি ভোর হয়। ভাঙা টুকরোগুলো নতুন অবয়বে জুড়ে দেয়ার…..
অচেনা আমি হতাশার নোনাজল ঢেউ খেলে হৃদয়ের আঙিনায়। ভাঙনের সুর মাতাল অগ্নি ঝরা সায়াহ্নে আঁধার…..
তোমায় নিয়ে বাঁচি একদিন আমাদের পৃথিবীটাকে সূর্যসমেত গিলে খাবে একটা কালো বিন্দু সেদিন কি পুরো…..