প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
কুয়াশার অসমাপ্ত সিঁড়ি পার হলেই এক তুলসী ঝোপ।
তার ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা শূন্যের প্রার্থনা, স্কুল ফেরত
কোনো ছেলেকে সাইকেলে বসিয়ে বাড়ি নিয়ে যায় মা
আমরা দুজনে হেঁটে যাই ; ছায়া রোদ আর বিষ্ণুপুর
এর পরেই আলোর রেখা –
কোনো জলাভূমি নেই , মাঠের গভীরে নির্জন গন্ধের রোদ
কলাগাছ আঁকা বিকেল উড়ে হাওয়ায় হাওয়ায়
কিছু দৃশ্য সমেত নানা বর্ণের গান ছড়িয়ে পড়ে, ছড়িয়ে
পড়ে হলুদ খাম – গত প্রজন্মের পর আগুনের এপারে
ঠিকুজিহীন দিগন্তের দিকে হেঁটে যাই –
কিছু কাল মেঘ থাকা ভালো
যে সমস্ত ধুলো জমে বাতাসের বুকে
নির্জন তৃষ্ণা এলেই লিখে ফেলি আত্মহত্যার চিঠি
তাকে বলি আকাশের কথা
আকণ্ঠ সুখের পূজক হতে চাই না কোনোদিন
আড়ালের অগণন নক্ষত্রেরা ছিপছিপে
সে কথায় রাত বাড়ুক, হাতের তালু বেয়ে গড়িয়ে
যাক জল ; এমন এই মন্দির চাতাল
ওপারের আগুন আর এপারে নীল অপরাজিতা নারীটি
নৌকার কারুকাজে ছটপট করে ভেসে যাওয়ার,
স্নায়ুগন্ধের যন্ত্রণায় আটকে থাকে মোহিনীর খেয়াঘাট –
সে গানের সুরে দূর বহুদূর আলপথের কাঁপন,
তরঙ্গ খুঁজছে ঝড়, বৃষ্টি নিয়ে উঠোন ভর্তি প্রহর
ঘামবিন্দুর আড়াল ভূগোলহীন, ভিজবে গলাভর্তি অভাবে –
গিরগিটির চলন শিরায় শিরায়, পাতার শব্দ ঝরে,
সেও চলে যায় কালের ভিতর – কান্না থেকে সারি সারি আলো
আলেয়া নিয়ে লবনাক্ত টানে বাঁশবাগান কাঁপায়, হাত পেতে
দাঁড়ায় চৌরাশিয়া উজান; বিপন্নতা কাটাতে আমি শুধু আঁকি
ভূমধ্য সাগর
যাবতীয় অসুখের ভিতর পাখিদের রোদকথার মুখ
তার ভেতর মানুষের সোহাগি বাসর আর ঝিম্ লাগা ধানখেত
নিচু হয়ে আসা গর্ভভার, মেঠোপথ চলতে চলতে ছুয়ে দেয়
বকের পালক, থিতু সংসারে চাঁপাফুলের সুবাস – সকালবেলা
কাশির সাথে উঠে আসে শিৎকারের দাগ – তবুও খড়গাদার ধারে
উই পোকার গায়ে কাঁটা দেওয়া তাপ, দেয়াল শুকিয়ে অপেক্ষা করে ঝড় –
সেই সব মেদওয়ালা পরিদর্শকের মুখভার
গোল গোল শব্দের পদক্ষেপ গুলিতে কাক এসে বসে
যদিও বেমানান, ইচ্ছায় জ্বরাগ্নি –
খালি কলসি হাতে ফিরে যাচ্ছে তারা, পেছনে স্বপ্নের
গায়ে সন্ধ্যা – ছায়া হারিয়ে ফেলছে তালুরেখার ভাগ্যপথ,
জল নেই – এমনই অন্ধকার চুঁইয়ে আসা চোখের আশপাশে
উঁকি মারছে নিতম্বগান ; বেহাগ চারণ – এঁকে যায় কাঁটা ঝোপের
নগ্নমুখ; আলো নেভার আগে খালি পায়ের চামড়া পিশে দেয়
মোরামের কর্কশ। শূণ্য কলসিতে বাতাসের এক বাঁশিময় শব্দ,
তৃষ্ণার গুঢ় হাহাকারে সীমান্তের সবুজ পৌঁছে যাচ্ছে জলছবির
আলোয় — বিমূঢ় দেবতার মতো বসে আছে মাটি চাঁদটা
গেরুয়া হতে হতে রটিয়ে দিচ্ছে উদাসীন সুবাস ; কদমফুলের—
শ্মশানের মৃত অনুরোধগুলি যোগ দিতে চায় ছুটন্ত রাস্তার শিকড়ে,
আর পঞ্চপল্লবের রাঙানো সিঁন্দুর থেকে ঝকঝকে রোদ ঝাঁপ দেয়
ক্ষতমুখ আস্থায় – এই নিয়ে প্রতিদিন অপেক্ষা ; দুপুর গড়িয়ে রাত,
সেখানে আমিই কেবল জুগিয়ে যাচ্ছি জল – নদীর ব্যর্থতা থেকে
তুলে নিচ্ছি জমাট পলি, যদি চুম্বনে রাজি থাকে তবে
তামাটে চাঁদ ছুঁয়ে দেখি শান্ত খাল বিল, গভীর চোখের নিচে
ক্রমাগত মৃত্যু সান্ত্বনার ডুব সাঁতার – কখনো রঙিন পোকা উড়ে যায়
মোহ’র আড়ালে – জানতাম নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এই স্বপ্নেরা
পেরিয়ে যাবে মাঝরাত –
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..