ঋতো আহমেদের কবিতা

ঋতো আহমেদ
কবিতা
Bengali
ঋতো আহমেদের কবিতা

সংক্রমিত অধ্যায়

কাকতালীয় ভাবে
আবারও দেখা হয়
সংক্রমণের সাথে

সুন্দর
সকরুণ
সংক্রমণ

পৃথিবীর আয়ুর সাথে ফিরে আসে সে
ফিরে ফিরে দ‍্যাখে

আমি তাকে বলি লুকিয়ে ওড়ানো বিকেল সাড়ে চারটার
বহু আগে
বিস্মৃতির সচল বনে বেদনার কোনো এক পথ
খোলা পড়ে ছিল
তাই
হয়তোবা সেইজন্যই
তুমি ও আমি– আমাদের.. আমাদের এই দেখা– নিগূঢ়

কে জানে কী সে বুঝেছিল তার মানে
মনে মনে
সংক্রমণে

আয়নায়

এ কার মুখ
এ মুখে কতোটা সময়
কতো লেখাজোকা কতোটা অন‍্যচোখ এখনো আবাদ হয়

এ কার মুখ
এ মুখ কতোটা মানায়
কতো হুলস্থুল কতোটা ওলটপালট এখানে আড়াল হয়

মেলে না মেলে না পোশাক ছাপিয়ে দেখি বেজে ওঠে ভুল
অহঙ
পরাজয়

এ কার মুখ
এ মুখ কতোটা সু-ময়

বৃন্দাবন

কেউ কি তবে দৃষ্টি হবে
কেউ কি হবে গান
আদর মাখা নদের বুকে ভাসিয়ে দেবো মান

তোমার দিকেই গড়িয়ে দেব হৃদ-যমুনার বান

কেউ কি তবে দৃশ্য হবে
কেউ কি হবে জান
প্রণয় মাখা মাঠের দিকে ছুটলো এবার বাণ

বুকের ভেতর শূন্য চোখের পাথর হলো খান

কেউ কি তবে ঈর্ষা হবে
কেউ কি হবে শান
আপন জেনে জ্বালিয়ে দিলাম সাত-জনমের ধ‍্য‌ান

তোমার উপর আমার ছায়া– যেন বৃন্দাবনের তান

অনুরোধ

অনুরোধটুকু পড়ে আছে
অলক্ষ্যে
উপরের ওই ঘরে
ওই কর্ণারের ছোট্ট খাঁচায় বহুদিন আজ

কবে যে রক্ত হবে আমার করবী
কবে যে বন্ধু হবে–

ছবি হয়ে ভেসে গেলে সময়-রেখায় ছবি লিখি ছবি লিখি
ছবিদের লিখে রাখি

লিখে রাখি দেয়ালের ভাঁজ

অনুরোধটুকু পড়ে আছে– পড়ে আছে রাজ

জনম

চোখের ভেতর ছুড়ে দিয়েছি জন্মান্তের মুখ
তোমরা এবার তাকাতে পারো
তোমরা এবার তাকাও
সরাসরি দৃষ্টি ফ্যালো দেখার

কায়ার ভেতর ভেসে উঠলাম– এই যে দ‍্যাখো– এই জন্ম
বাবার
চোখের ভেতর ছুড়ে দিয়েছি জন্মান্তের সুখ
তোমরা এবার তাকাতে পারো
তোমরা এবার তাকাও
সরাসরি দৃষ্টি ফ্যালো আশার

মায়ার ভেতর জেগে উঠলাম– এই যে দ‍্যাখো– এই জন্ম‌ও
সাবার

সন্তাপ

ছায়াদের ফিরে পেতে হয়
সময়
সংলাপ

ছায়ারা যে যার মতো বেগবান হ’লে
মৃত্যুরা সরে যায় দূরে
দূর
দূরতায়
ছায়াদের ফিরে আসা পথ ছায়াপথে
লিখে লিখে
মহাকাল
মহাশতাব্দীর পর

ছায়াদের ভুলে যেতে হয়
প্রণয়
সন্তাপ

ছায়ারা যে যার মতো বেগবান হ’লে–
যেমনটা নিয়ম…

ঋতো আহমেদ। কবি ও প্রকৌশলী। পৈতৃক বাড়ি মুর্শিদাবাদ। জন্ম ময়মনসিংহ শহরের কালিবাড়ি বাইলেন, কর্মসূত্রে ঢাকায় বসবাস। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট থেকে শিল্প প্রকৌশলে স্নাতক। বর্তমানে একটি টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: 'শতাব্দীর অপার প্রান্তরে', 'ভাঙনের...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..