আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
কোনো এক রাতের নিকষ আঁধার
বক্ষে জড়িয়ে আমিও আত্মঘাতী হতে পারতাম!
আমিও খুন করতে পারতাম
আমার হৃৎপিণ্ডকে —
অনিরুদ্ধ, তোমার সাধনার গানের মতো আমিও
উপহার দিতে পারতাম আমার মৃত্যুর গান।
সে গানে তুমিও
ডুবে যেতে একটু একটু কোরে।
দেখো হৃৎপিণ্ডটা ঘন্টা বাজিয়েই চলছে অবিরাম,
স্বেচ্ছাচারীতার স্বাদ পেয়ে দুলে ওঠছে ক্ষণে ক্ষণে।
অনিরুদ্ধ, আমি তোমায় কথা দিয়েছিলাম আমি থাকবো
কাছাকাছি পাশাপাশি কোনো
জ্যোৎস্না রাতের সঙ্গী হয়ে
আমি কথা দিয়েছিলাম রোজ
অন্ধকার হাতড়ে আমার
অধরের বিষ মেখে ঢেলে দেবো তোমার বুকে
নির্ভেজাল প্রেমে লেপে দেবো তোমার পশমী বুকের উঠোন।
কথা ছিল চৈতন্যকে বিদায় দেয়ার সন্ধিক্ষণের সঙ্গী হবে —
অথচ কি ভীষণ বোকা তুমি,
ভণিতাকে ভেবে নিলে চতুরতা।
তোমার মূর্খতাকে অট্টহাসিতে
সম্ভাষণ জানিয়ে ঠাঁয় চোখ মেলে আছি
তোমার ব্যাথাতুর হৃদয় দেখার নেশায়
দ্বার খুলে আছি।
সেদিন তোমারো তেষ্টা পাবে ভীষণ —
একখণ্ড নির্ভেজাল প্রেমের তেষ্টা।
হৃৎপিণ্ড হাহাকার কোরে ওঠবে,
বুকের ছাতি ফেঁটে যাবে তেষ্টায়,
চিৎকার কোরে ওঠবে দূর্ভিক্ষপীড়িত শিশুর মতো।
সেদিন তুমিও সঙ্গম তেষ্টাকে দু’হাতে খাঁমচে ধরে
খুন করে —
বিরামহীন চোখে খুঁজে চলবে দুটো শীতল হাত।
অভ্রনীল,
তুমি আমার প্রেমিক ছিলে?
নাকি বন্ধু?
নাকি প্রেম আর অপ্রেমের মাঝেই দাঁড়িয়েছিলাম আমরা দুজন!
মনে আছে তোমার,
তুমিই আমায় প্রথম আকাশ দেখতে শিখিয়েছিলে?
আমার প্রথম শিহরণ,
প্রথম রাতভেজানো লোচন,
আমার প্রথম কবিতা
প্রথম সবিতা
সব তো তুমিই দিয়েছিলে!
মনে আছে অভ্র?
তোমার মনে আছে?
প্রথম সঙ্গমের তৃপ্তি নিয়ে
আমাদের বয়স বাড়তে থাকবে, আর
কালো চুল ধোঁয়াটে হবে,
তারপর আমরা হাঁটতে থাকবো মৃত্যুর দিকে।
তারপর কোনো একদিন আর
তেষ্টা পাবেনা সঙ্গমের
শরীরের থলথলে বীভৎস ভাঁজে
খুঁজতে থাকবো একমুঠো ভালোবাসা,
ঝুলে পরা চামড়াতেই খুঁজে নেবো
পুরোনো প্রেম,
যে প্রেম একবার সৌন্দর্যমণ্ডিত শরীরে সঙ্গম এনেছিল!
নীলকান্ত কখনো দেখেনি প্রেমিকার প্রেমাক্রান্ত চোখ
যে চোখে ডুব দিয়ে সানন্দে
অস্বীকার করা যায় পৃথিবীকে,
সে বোঝেনি উচ্ছ্বল প্রেমিকা কেন ঢাকে মুখ
আহ্লাদিত প্রেমিকের বুকে।
নীলকান্ত পায়নি কোনো শীতল হাতের শুভ্র আদর
পরম মমতায় তার পথে বিছায়নি কেউ প্রেমচাদর!
সে উদ্ভাসিত মুখোশে মুখাবয়ব ঢেকে
হাঁটে পৃথিবীর পথে,
গণিকার শরীর খুঁড়ে চলে
স্বেচ্ছাবিহারী হাতে,
আলো ভেবে ভুল করে নিজেকে মেশায়
আঁধারের সাথে।
নীলকান্ত মদের গেলাসে ডুবে গিয়ে হাতড়ায় সুখ
অথচ হৃদয়ে তার শুয়ে থাকে অবাধ্য অসুখ!
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..