বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
কী ভীষণ স্তব্ধতা চারিদিকে
সূর্যটাও যেনো ফিকে,
মানুষেরা ততোধিক
যেনো মৃতের অধিক!
এ কেমন কাল এলো
আমি ভাসি সঙ্গরোধে
তুমি একা জ্বলো।
আমাগো তো ঘর নাই, রমনার ঝোপই আমাগো ঘর
যেইহানে রাইতে আপনেরা আমার বর
আপনেগো ঘর আছে, আমার নাই
এই আকালের কালে কন তো, কোনহানে যাই ।
নির্মাণ শিল্পিত হতে হয়
নয়
ভেঙ্গে যায় প্রার্থিত মহল
জল
শুধু থাকে অতঃপর।
নির্মাণ অন্যের হয়ে যায়
হায়
নকশাটা ভুল হয়ে গেলে
নীলে
আকাশেরা ভেসে থাকে।
প্রশ্নটা করি উত্তর থাক
জানি কি রয়েছে তাতে
ভালোবাসা থাকে বিষাদের প্রত্যাঘাতে
তুমি কি জানো তা, নাকি
অজানা রয়েছে সেই কথা
চলো, দুজনে ভাঙি সাজানো সব প্রথা
প্রশ্নটা হলো আর উত্তর
বলি তাকে খুব সরাসরি
তুমি তৈরি, আমি রাস্তায়, একসাথে মরি।
তোমাকে দিতে চেয়েছিলাম সব
তুমি করলে অহেতুক কলরব!
প্রেমের কবিতা লিখার সময় এই
জানি তো, তাই লিখি দুঃসময়েই।
বলতে পারো ভয় কাটাতেই লেখা
ভয়ের কাছেই ভালোবাসতে শেখা।
এক)
লিখছি লিরিক অপেক্ষা, লিখছি তাকে স্মৃতি
কিবোর্ডটা কাঁপছে ভীষণ, দুঃখগুলো কৃতি।
মনিটরটা ভাঙছে একা বিষাদ দিনের কাহন
মাউসটা হচ্ছে নিজেই ফিরে যাবার বাহন।
দুই)
ফিরতে ফিরতে যাবে কোথায় হার্ডডিস্কটা ভরা
সাথে আছে স্ক্র্যাপ আর গহীন শোকের জরা।
লিখছি লিরিক অপেক্ষা, ভুলছি তাকে খুব
পাওয়ারটা বন্ধ করে এই আমি যে চুপ।
চলো, কোথায় যাবো, কতটা পথ
কতদূর গেলে মিলবে পরিত্রাণ –
নিশ্চিত সে পথে যাবো, বাধা
পেরুবো ঠিক, পদব্রজে আপ্রাণ।
তুমি বলো, গন্তব্য কোথায়
কোনখানে হয়েছে শেষ সেই পথ,
বলো, যতটা বন্ধুর হোক
হাত তুলে দুজনে নিই, পৌঁছানোর শপথ।
বলবে এবার, কতদূর যেতে হবে
তুমি যাবে নাকি সাথে –
সাহস হারালে এখনি, অথবা ভয়
পথের অভিসম্পাতে!
চলো নামি পথে, পদব্রজে
পথের পাথর পদতলে ধুলি হোক,
পেছনে জাগুক শত জনপদ
জনেরা ভুলুক সব হারানোর শোক।
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..