আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
বিদ্রুপ এসেছে গ্রাস করতে
হিংসের গাছ গান গায়
আগুনের শোকে,
জল চেয়ে স্বপ্নের যমুনা
ঢুকেছে আহ্লাদের নাভিমূলে।
লোহা গলানো রক্ত স্রোত
অল্পে খুশি হয়ে
বিষয়ের প্রিয় বিষাদ দাও
এক নিঃশ্বাসে শুষে নেব
অবশ করা অবসাদ দাও
নির্দ্বিধায় মেনে নেব,
শুধু করুণার মগজে থাক
অভিশাপ মাখা সন্ধ্যা ।
অন্যান্য আরো কিছুর মত
অভিযোগ গুলোও গেঁথে আছে
নিষিদ্ধ সময়ের গভীরে,
পলকে গুটিয়ে অমিমাংসিত পথ
চোখ কথা বলে।
উদ্দেশ্যহীন ভ্রমনে দিন কখন ঘুমায়
– নক্ষত্র জাগে, জানেনা দূরত্ব,
জপ মালা কাঁদলে অবস হাতে
হৃৎপিণ্ড ভরে যায় বিষাক্ত নিঃশ্বাসে ।
লাভায় ঢাকা মৃতদেহ
– উপড়ানো গাছ
বন্ধ্যা মাটির মায়া ছুঁয়ে
দূরের সন্ধ্যাকে জ্বলবার
প্রেরণা ছুড়ে দিয়ে
উত্তরহীন বাতাসকে কাঁদিয়ে
ওৎ পেতে থাকা
মিথ্যার শরীরে
অসংবৃত সময়’কে পাওনি
দুষ্ট স্বপ্ন ?
আকাশ দেখেনি প্রস্থান
নর্তকী নাচ ভুলেছে
পাথর ছুঁয়ে..
বজ্রের চঞ্চলতায় জ্বলে
থমকানো নিশ্বাস
অস্থিরতার উপস্থিতীতে
বিস্ত্রস্ততা ফুঁসে,
প্রেমের শেষ বিন্দু
তুমি কি খুঁজো
মোহ – মায়া – কামে?
বিদায়ি হাওয়া ছুঁয়েছে
এখন স্থির থাকা যাবেনা..
আগুনের ব্যথা খুঁজতে আমি
সন্ধ্যার ভেতর ঢুকবো
অনেকেই কবিতা লিখবে
রাত জেগে থাকবে একা ,
শুশ্রূষাহীন ভাবনা ফিরে গেলে
দূর থেকেও দূরে
স্বপ্নের নিহত হওয়ার সংবাদে
অনুভূতি লিখবে আমার বন্ধুরা…
ধ্যান ভাঙ্গাবার ধ্যানে স্পষ্ট নীল ঘুমে
কংকাল না হৃদয় কে প্রতিরোধ করে?
আরাধনা মন্ত্রে সম্পূর্ণ করে সমস্ত ভুল
স্বতোৎসার শ্লোক ; গৃহত্যাগী জ্যোৎস্নায়
– সাহসের মত শান্ত অন্ধকারে
নিয়তি বদল করার আবদার থেকে
ছুটি নিয়ে, অধঃপতনের গাঢ় শব্দে
শরীরের দোষে মোহিত হয়ে
সংস্কারের মঞ্চে খন্ডকালীন সভায়
সমস্ত ঘৃণার প্রতি প্রেম ছুঁড়ে দেব
আবেগী শব্দমালায়।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..