যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
অন্তহীন সবুজের ফাঁকে, নিঃশব্দ নিশ্ছিদ্র
শব্দ গন্ধ
আলোর আলপনা,
ঝরাপাতা অস্ত্তিত্বের অনন্ত ছাড়িয়ে-
ফুল ফুটুক বা না ফুটুক
বসন্তের দেশে-
সোঁদা মাটির ভেজা স্পর্শে
শব্দ হীন শিশিরের টুপটাপ ঝরে পড়া-
দেখিনি কখনও।
চল্ চল্ চলমান জলবিন্দু নদীর বুকেতে
কল কল কলতান বয়ে যাওয়া
পাথুরে পাহাড় কেটে কেটে-
চির স্থির কবে নীর
মনে পড়ে? কোয়েলের কাছে
গিয়েছি কখনও।
তিন সমুদ্র সাতাশ নদীর ধূসর দিগন্ত
পেরিয়েছি
চা বাগান হরিয়ালি, দিকচক্রবালে-
যেতে পারি,
যে কোন দিকেই
আমি তো দক্ষিণে যাবো।
নরম সবুজ ঘাসে
সকালে বিকালে
কত কষ্ট আরাম রোদ্দুরে,
আলোছায়া আলতো হেলানে
পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ
শুনিতেছি আমি।
মণিকোঠা থেকে কত নামিয়ে এনেছি স্মৃতি-
বহুবর্ণ উল্টে যাই পাতা
সাবধানে, কত যত্নে, আগলে রেখেছি হাতে-
স্বর্ণ রেণু সুগন্ধ সুবাসে।
চলন্ত ট্রেনের পাশে
ক্রমাগত পাল্টে যাওয়া জীবনের ছবি
ছুটে চলে-
বিষণ্ণ সন্ধ্যা নামে
ইতি উতি
ভেসে থাকে
চকিত চঞ্চল কিছু আলোক প্রতিমা-
বিষণ্ণ সন্ধ্যা নামে ।
কত গল্প, কত গাঁথা,
কত উষ্ণ মেদুরতা-
স্বচ্ছ সুরে গানের ভেলায়-
এখনো তো খুঁজে চলি
উচ্চ নীচ হর্ম্যরাজি
ক্রমাগত নেড়ে যাই কড়া-
হারিয়ে ফেলেছি সেই
রৌদ্রে ধোয়া মাঠ খানি
অবিরাম হেঁটে চলা দিন,
কোথায় বা, কখন বা কবে-
অনেক উচ্চ থেকে
কখনো কি ভেসে আসে
কুঞ্চিত চক্ষু তার
সংশয় বাক্য ক্ষীণ-
কে আছে ওখানে? কে যায়?
পড়ন্ত বিকেলে সেই ছুটন্ত
ট্রেনের দুপাশে
ছুটে চলে দুরন্ত জীবন-
সময় এগিয়ে চলে
একরোখা দ্রুত পায়ে-
শৈত্য এসে ঘিরে নেয় বেলা
অবশেষে।
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..