মনিনিকার একদিন প্রতিদিন
সকাল সকাল ওঠা মনিনিকার বরাবরের অভ্যেস। সকালে এক বড় কাপে অর্গ্যানিক গ্রিন টি নিয়ে সোফায়…..
সতীশকে এ তল্লাটের সবাই চেনে। কিন্তু কেউ কোনোদিন সতীশের মুখোমুখি হয় নি। এতে কোনো ভৌতিক বা ঐশ্বরিক ব্যাপার নেই।
সতীশের বয়স তিরিশ পেরিয়েছে সেই কবে। তবু সতীশের কোনো ফুলপ্যান্ট নেই। ওরা এতটা গরীব নয় যে ফুলপ্যান্ট জোটে না। ওর ভাই নীতিশ এবারই ফ্যান্সি মার্কেট থেকে কিনেছে একটা অ্যাসিড ওয়াশ জিনস। সতীশের শুধু হাফপ্যান্ট।
সতীশের একটা চারচাকা আছে। ওয়াগনার কিম্বা অলটো নয়। কাস্টোম মেড। ওটা ও একাই চালাতে পারে। নীতিশ পারে না, বোন প্রীতিও না। প্রীতি সাইকেল চালাতে পারে, নীতিশ বাইক। সতীশ পারে না।
সতীশকে সকলে নীচু চোখে দেখে। কিন্তু সতীশ চোর চিটিংবাজ বা নেশাড়ু নয়। কেবল ছোট বাচ্চারা সতীশের চোখের দিকে সোজাসুজি তাকাতে পারে।
সতীশ প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটতে পারে না। কারো নাক ঘুঁষি চালিয়ে ফাটিয়ে দিতে পারে না। কারো মুখে থুতু ছিটিয়ে দিতে পারে না।
তবু বোবা কালা মেয়েটাকে লোকগুলো যখন টেনে নিয়েছিল পরিত্যক্ত গ্যারেজটায়, বড় বড় অন্ধকার অচল ডাবলডেকার বাসের নীচে যখন নখে দাঁতে ছিঁড়ে ফেলছিল শেষ প্রতিরোধ, একমাত্র সতীশই দেখতে পেয়েছিল। চিৎকার করে উঠেছিল। খ্যাপা হিংস্র প্রতিবাদের চিৎকার। লোকগুলো ভাবেনি ধরা পড়ে যাবে।
পরদিন খবরের কাগজের লোকেরা এসে সতীশের ছবি তুলেছিল। পুলিশ কর্তারা ওর পিঠে চাপড়িয়েছিল। মন্ত্রীমশাই ওকে পদক পরিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। কারণ সেই ছোট্টবেলায় অমনই একটা ডাবলডেকার কেড়ে নিয়েছিল সতীশের দুই ঊরুর নীচের অংশ।
লক্ষ হাততালির মধ্যে সতীশের মাথা সেদিন সবার কোমরের তলায় ছিল, কিন্তু তার সাহসী ছায়া ছাপিয়ে গেছিল সকলকে।
সকাল সকাল ওঠা মনিনিকার বরাবরের অভ্যেস। সকালে এক বড় কাপে অর্গ্যানিক গ্রিন টি নিয়ে সোফায়…..
পরম প্রাপ্তি বাসস্টপেজেই অতনুর বাড়ি। রাত বাড়লে বাসস্টপেজ একটা আমোদের জায়গা হয়ে যায়। অন্ধকারে শুয়ে…..
জনৈক রবি মোবাইল অপারেটর গ্রাহক রবি কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিচ্ছে। পনেরো মিনিট পর অপরপ্রান্ত থেকে…..
ওই এক পাগলা আছিল। ঘুরে বেড়ায় খায় দায় তারপর কোথায় উড়ে যায়।পাগলার গল্প শুনে রঞ্জনের…..