দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
হেমন্তের গাভীন রোদ গায়ে মেখে বসে আছে শহর,যেন চলছে।চলছে পিঁপড়ের সাঁড়ি বাস মানুষজন সাইকেল রিকশা।থমকে দাঁড়াচ্ছে,ঠিক রাস্তা পার হবার আগের মূহুর্তটিতে।দোকানী পসারীর ডাকে সরগরম যে চত্বর তাকে রঙীন করেছে এইমাত্র নেমে আসা পাহাড়িয়া কমলা,যেন কোনো সুদূর থেকে সে এসেছে শুধুমাত্র এই শহরকে রঙীন করবে বলেই।বাতাসে সুঘ্রাণ তার।তার কোয়ার মতো জিন্স কিশোরীর অনাঘ্রাত ঠোঁটেও সে বুলিয়ে দিয়েছে তার রঙ।এইমাত্র যে চলে গেলো সহজে…তাকে কি মনে রবে বহুকাল?অল্প হাওয়ার তোড়ে ওড়া সোজা চুল তার,চকিত কটাক্ষ,মনের ভেতর ছড়িয়ে থাকবে,ছড়িয়ে থাকবে রঙীন মেঘের মতোন,আকাশের এলোমেলো হয়ে যাওয়া রামধনুর মতোন…ফ্ল্যাশব্যাকে ঘুরবে সিনেমার রিল…
দুই.
মাসাধিক অন্তরে দেখে প্রথমে চিনতেই পারিনি তোমায়।কি নিপুণ হয়েছ।অথচ এই তো মাত্র কদিন আগেও দামাল,সদ্য কিশোরী যেন মাথা দোলাতো সারাদিন,আর বয়ে যাওয়া হাওয়া তার বুকের ওপর,এলোমেলো ইতস্ততঃ ছায়াচ্ছন্ন পাড়া গাঁ,বসে থাকা দুপুর পা ছড়িয়ে শান্ত গাছতলাটির নিচে।এমনিই ছেড়ে গিয়েছিলাম,যেন হাত নেড়েছিলে তুমি,বলেছিলে-এসো শীগগীর।এমনিই ছেড়ে গিয়েছিলাম সেইদিন বিকেলে।অথচ আজ এসে দেখি কি অসাধারণ,দুধে ভরে আছে তোমার স্তন,চোখ ফেরানো যাচ্ছে না এমন।হয়তো ঈষৎ ঝুঁকেই আছো তুমি।আর আরো আরো গাঢ় নীলাকাশ নেমে আসছে তোমার ওপর…ডানা মেলছে সকালের সোনা রোদ…
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..