প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
প্রেম আর সঙ্গম আজ স্বর্গীয় সম্পূরক
একটা স্ট্রিট সং শুনার পর অদ্ভুত ভাবে এই উপলব্ধি পাচ্ছি
আমার বাঁ স্তন’টা তোমার পুরনো স্পর্শ বোধ করে
আমি আপ্রাণ আর প্রাণপণ আর আজীবনের জন্য জাপটে ধরে ভেতরে নিই গ্রাস, সব্যসাচী।
“আর কেউ নেই”-এর মতো।
“চলে যাবে ছাড়লে”-এর মতো।
এসব স্বপ্ন বিধায়, তোমার আমার চমৎকার জোড় বাঁধা উলঙ্গ দৃশ্য’র পাশে নিজেই দাঁড়াতে পারলাম
দৃশ্যে আচমকা আমার চেহারা বদলে বদলে গিয়ে তোমার হবু বউ হয়ে গেলো, সব্যসাচী!
সে বেশ উৎফুল্ল আর ভালো
তুমি বেশ আনন্দ পাও।
তুমি তাতে আনন্দ পাও, সব্যসাচী
কী ভয়ংকর কষ্ট আমার ভাবো!
তোমার বিয়ের খবর যখন বিশ্ব-কান খানখান করে সমস্ত সংবাদ মাধ্যমে এলো
নিজেকে বেশ কুৎসিত লাগে, সব্যসাচী।
এতোটা মেদবাহুল্য, কপালের এপাশ ওপাশ জুড়ে উদগত লোমরাজি আর অবাঞ্ছিত দাড়িগোঁফ না থাকলেওতো হত
এই নালিশ-ফ্যাসাদ কার কাছে করি, সব্যসাচী?
আমি নাস্তিক
সব্যসাচী,
তোমার বিয়ে’তে দুঃখ পাচ্ছি বেশ
আশ-পাশ বেমালুম থাকা’র মতো দুঃখ।
গলায় কফের দলা পাকানো, এমন।
সব্যসাচী,
বন্যার ত্রাণ লুফে পাওয়া হাসি-খুশি শাবক
আর ডেঙ্গুর জলে ফোলে ফোলে ঢোল লাশ
সড়ক আভিজাত্যে মরা দশ-পাঁচটা দৈনিক লু
গরাদ পুরা, ব্লেডে সজ্জিত জরায়ু, খবর বানিজ্য
এসব কতো রোবোটিক দেখ আমার চোখে আজ!
সব্যসাচী,
আমি কাঁথা মুড়ি দিয়ে এই শুইলাম। আমি দুঃখ-বিলাসী।
অন্তত গোটা দুই দিন আর কোথাও কোনো প্রতিবাদ করতে হবে না তাই
সব্যসাচী,
ধন্যবাদ
এই বর্ষা’টা নতুন করে তছনছ মোরে করছে
সেই কবেকার দূরের আতশ-দুইহাত মনে পড়ছে
জানি সত্য, জায়া ছাঁচের এই আমিতো নই
তবুও থাকতে, নাইবা যেতে-নাইবা যেতে, ঐ
এত যে পূর্বে মাগিয়াছি কোটে, ডাকিয়াছি দাও মমতা
‘বাসিয়াছি জেনে দেখালে বিশদে, দেখালে গতে’র ক্ষমতা
দুর্বল ‘পরে দুর্বলতার নজির যে নাই জানি
ঢাকিতাম প্রেম, আগে জানলে নজিরের রীতি মানি
কতো পাণি চায় হতভাগ্যের একটু স্পর্শ হায়
হৃৎ যারে চায়, সে মোরে বিগতে কভু কেন না চায়!
“আর বাঁচবো না” “আর বাঁচবো না” বলো না। আমার সন্ধ্যা থেকে, থেকে-থেকে কান্দা পায়। তারপর কামনা করি, তোমার অথর্ব দিন আসুক, কোলে হিসু করো, টাইলসে পাতলা হেগে দাও। তোমার বেঁচে থাকা আমাদের উভয়ের কাছেই বিষ হোক। তারপর তুমি মরে যাও।
সেই দস্যি মাথাচাড়া’র সাহস হয়নি কখনো
সাহস হয়নি পালাবার
শরীর ঘটিত পুরনো সতীত্বের প্রেক্ষিতে তুমি হয়তো আর আমায় ফিরিয়েই আনলে না
বাউলি-পনায় প্রতিবার চরম ভয়।
আর পাইও।
উধাও পালিয়ে দিন দশেক পর হয়তো ফিরতে চাইলাম
তোমার ফটকে এদিকে আকাশ-ইমা হয়েছে অম্বুজায়
সমস্ত ভেবে ভেবে ভীতু, পালালাম না।
না পালিয়ে গিয়ে, থেকে থেকে, প্রেম হয়ে গেল, বাড়ি!
প্রিয়,
দলিল বলছে আমার নও কস্মিনকালেও।
নিয়তি বলছে আমাকে যেতে হবে যেকোনো রীতিতে এবার
তবে জুজু দেখিয়ে আটকে রেখেছিলে কেন?
-কী লেখিস কী লেখিস কী লেখিস
বালের জিনিস-পত্র
জটিল ফন্দি ফিকির
ধাঁধাঁয় লোক ঠকানোর ধান্দা
টেকা বিহীন স্বামী সন্তান বিহীন মরে যাবি, মর্কি
রঙ্গিলা দিন আর থাকবে না
যইবন গুয়াইয়া মরবি, মর্কি
এই লাস্য আর থাকবে না
মর্গের বেওয়ারিশ হয়ে মরবি, মর্কি
ঘাটের মরাও এসে লাশে ফ্যাদা ফেলবে না, এই জানিস।
-আর্দ্রতম গরমের মধ্যবিত্ত বাথরুমে আমি এক অমোঘ ল্যাটা-জির।
টালির ফালি ফালি দাগগুলোতে অদৃশ্য উদ্বাস্তু হয়ে বাঁচতে চাই।
কোনো একটা রোগ হয়েছে বোধহয়। ধ্বনি নাদ আওয়াজ, এসব ভালো লাগেনা। শিশুর কান্না, হাতা-কড়াই ঠোকাঠুকি, লাশের পা ঘষা শব্দ, কিচ্ছু না।
কর্ভুমের মাথা ভরতনাট্যম করা বিকেলে, শীতরোদ ছাদের যে অংশে সবচেয়ে বেশি টিকে থাকে, ঐদিকে দাঁড়াই।
করকরে শ্যাওলা দেখে ছোটবেলার নিকেতনের কথা মনে পড়ে।
নিঃশব্দ নিকেতন, টিনের চাল, রঙচঙে দুটো রুম অনেক ছবি-তবলা-নূপুর। ওরা নিঃশব্দ।
একটা অবিরাম সালাম ঠুকতে থাকা পাগল, গানের ক্লাসে এসে বারান্দায় হাঁ করে ঘুমাতো। সেও নিঃশব্দ।
এরকম নৈঃশব্দ্য কামনা করার রোগে পেয়েছে আজকাল।
পাগল হয়ে যাবো নাতো? তারপর যদি ল্যাংটা সকল ভালোলাগা, না লাগায় নির্বিশেষে সালাম ঠুকতে থাকি..!
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..