আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
পরের জীবনে আমার মতো
হা-ভাতে কবি হয়ো তুমি
তাচ্ছিল্য আর অপমানের বোঝা
বয়ে নিয় যেতে ভারী ঠেকলে
দুদন্ড জিরিয়ে নিও
নিজের লেখার ভিজে আঁচলের তলায়
যে-সব বেজন্মা অক্ষরের জন্ম দিয়েছি
বুকে ক’রে বাঁচি
সে আমার সন্তানের মতো, মায়ের মতো, প্রেমিকের মতো
তুমিও যেদিন আগলাবে দু’হাতে যা কিছু তোমার
রাস্তার ভিখারির মতো নিঃসম্বল, সবকিছু আছে জেনেও
সেদিন নাক উঁচু ক’রে বলবো তোমায়
—কী যে ছাই লেখো!
ফিরে যাওয়া বিকালের পোট্রের্ট
ছায়া ফেলে গেছে সন্ধের গায়ে
তাই, আবছায়া হ’য়ে থাকে
কটাশ রঙ অন্ধকারে দীর্ঘ নারকেলগাছ
দাঁড়িয়ে থাকে, ছায়া খুঁজে
খোয়া গেছে বুঝি!
যুবতী চাঁদ আড়মোড়া ভেঙে
পাতাময় ছড়িয়েছে তার গ্লিশটার মেকআপ
পুরুষবৃক্ষ চাঁদের ইমোজি বুকে
সারারাত, মায়াময়।
অভাবের সবুজ বাষ্প ফেনিয়ে তোলে
গরলে’র বুদবুদ
ছটফটে রাত থিতু হ’য়ে এলে
কান পেতে শোনা যায়
লাস্ট ট্রেনে’র তীক্ষ্ণ হুইশল
অনিচ্ছে’য় সরিয়ে রাখা পোড়া রুটি
একদলা গুড় পাশে
মাছি বসে, মাছি উড়ে যায়
দড়ি’তে টাঙানো তেল-চিটে গামছায়
রেশনে গুঁড়ো-সাবান দেয়নি এবার
সব সরে সরে যায়
মুঠোয় শুধু অম্বলে’র ওষুধ ধরা থাকে আজকাল
রাস্তায় ভাদুরে কুকুরে’র ক্লাইম্যাক্সে ঘাতক সাইকেল আরোহী’র খিস্তি
অভাব শুধু ঘন হয়ে আসে…
একদিন ডেকে নেবে দেখো
চিতাকাঠ, সেও পুড়ে যায়
মনের দোষ কি থাকে বলো
যদি উজানেই ফিরতে সে চায়
দু’হাত বাড়িয়ে ডাকে যদি
নদীকেও ভুলে থাকা যায়
সব প্রেম একদিন জেনো
দাঁড়াবে খাদের কিনারায়
সিলেবাস বদলাবে একদিন
আবদার অনুযোগ আর না
বেনামী চিঠি’র সাথে প্রেম
ছিল যত দাগহীন কান্না।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..