যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
অক্ষরে অনুভূতিগুলো ধাক্কা খেতে খেতে
অভিধানের উদ্যানে শীতল হতে যায়।
ঘুরতে ফিরতে যোগ-বিয়োগ করে
জীবন সাধনার। তারপর,
পঞ্চবটী গাছের তলায় বসে
একাগ্র মনে সঞ্চয়ের পরিমাণ
পরীক্ষা করে কিছুক্ষণ।
তখন,
মনের একপাশ ছাত্র হয়ে ওঠে..
আরেকটা পাশ শিক্ষক।
বুকের কাছটা জুম করে নিলে
ঈগলের চোখ নেমে আসে তীব্র গতি সহযোগে।
দুটো আঙুল ভিজিয়ে তৃপ্তির হাসি হেসে
আবিস্কার করতে চায় অভিনব পদ্ধতি কিছু।
আমি যে বুকের কথা বলছি, সে বুক নারীর।
আমি যে মনোবৃত্তির জ্যামিতি,
উপস্থাপন করছি
সে মনোবৃত্তিতে পালক বা ফুলের
কোনও কোমল স্থান নেই।
বুকের কাছটা জুম করে নিয়ে
সেই সব চোখ শুধুই গাঢ়ত্ব মেপেছে ক্লিভেজের।
তারা কি করে জানবে
তারা কি করে বুঝবে যে,
ওই ক্লিভেজ আসলে যন্ত্রণার ভুবন খাদ।
সেদিন জানবো কবি হয়ে উঠেছি,
যেদিন আমার কবিতাগুলো
‘চিরকালীন টাটকা’ হয়ে উঠবে।
সেদিন জানবো কবি হয়ে উঠেছি,
কয়েক দিনের টাটকা রাখার জন্য
যেদিন থেকে
কবিতাগুলোকে আর
রাখতে হবে না ফ্রিজে।
খুব দুঃখ পেলে আমি
পুকুরপাড়ে বসে ঢিল ছুঁড়ি পুকুরের মেটে সবুজ জলে।
বিষাদ বুকে ওই ঢিল ফিরে এসে লাগে।
চিৎকার করার কোনও উৎস খুঁজে পাই না..
চোখের ভেতর ছলাৎ ছল শব্দ হয়।
(২)
খুব ভালোবাসা পেলে মন
সবুজাভ সাদা ফুল ফুটিয়ে বেড়ায় চারিদিক।
আদরযোগে কুড়িয়ে তোলে হৃৎপিন্ড পাতা..
চোখের রাজ্যে উপজ হয় গুলঞ্চলতা।
বুকের ভেতর কেমন একটা ব্যতিক্রমী শব্দ হয় ।
(৩)
ভীষণ রেগে গেলে আমি,
কাগজ জড়ো করি যেখানে যা পাই।
সেই সব কাগজগুলোকে টুকরোটুকরো করে
দুহাতে দুমুঠো ভরে
শূন্যে ছুঁড়ে দি…
কাগজগুলো ভেসে ভেসে পড়তে থাকলে
বৃষ্টি পড়ার শব্দ হয়।
আমরা রাস্তা পেরোতে পেরোতে
সময় গুনতে গুনতে
কত কিছু ফেলে এসেছি, হিসেব রাখিনি তার।
অন্ধ হয়েছি শুধু,
মোহান্ধতা আকন্ঠ পান করেছে আমাদের।
ভাবিনি, এরকমটা নয় অন্যরকম কিছু।
ভাবায়ওনি কেউ।
আমরা শুধু ঊর্দ্ধ কামনায় মত্ত হতে হতে
নিজেরাই নিজেদের প্রতিযোগী করে তুলেছি।
অথচ প্রতিযোগীরা যে শান্তি পায়না কোনও দিন
সেকথা বুঝেও বুঝিনি।
শরীরের সমস্ত জল যে নিভৃতে টগর হয়ে ফুটেছে
সেদিকে ফিরেও তাকায়নি,
উল্টে বরং বিরোধিতা করেছি বারংবার,
কেন তা পলাশ হলো না।
তখন জ্যোৎস্না রাত,
আকাশের গায়ে চুমকি বসানো নক্ষত্ররা
তাকিয়ে আছে ধোঁয়া ধোঁয়া অন্তরীক্ষে।
তুমি ঘুমিয়ে পড়েছো সূচনার আবাহনে,
কানের পাশে ঘনিয়েছে লাল মেঘ।
যেভাবে চুমু দিচ্ছে জ্যোৎস্নার ধূসরতা,
সেভাবেই সমস্ত আবেগ মিশে যাচ্ছে নিশীথে।
বেড়াজাল বিস্তৃত হচ্ছে শুষ্ক হৃদয়ের
অ্যালোভেরা গাছে।
ভাসমান স্বপ্নঘোরে, নিভৃতে নেশা ধরাচ্ছে
তুলো তুলো সাদা ঘোড়া।
তখন জ্যোৎস্না রাত
শেষ প্রহর,
ফুটে গেছে প্রকৃতির সমস্ত সাদা ফুল,
শুধু একটা কুঁড়ি জন্মাতে ভুলে গেছে।
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..