সমর চক্রবর্তীর একগুচ্ছ কবিতা

সমর চক্রবর্তী
কবিতা
Bengali
সমর চক্রবর্তীর একগুচ্ছ কবিতা

ওষ্ঠ্যবর্ণ

কোথাও কবিতা হচ্ছে আমি তার পিপাসা পেয়েছি
আমার শরীর জুড়ে আমার শরীরহীনতায়
যেভাবে তরঙ্গ পাই আঘাসনক্ষত্র কেঁপে উঠি
তোমার ছোবলমুগ্ধ তোমাকে যাপন করি আত্মপাতে
বন্যা ভেঙে জন্মে জন্মে নিঃসীম আশ্বিনে কাশে কাশে
যেভাবে ক্রমশ সাদা
অনক্ষর কাগজের মতো অপেক্ষার সাদা হয়ে যাই
যেভাবে প্রব্রজ্যা পাই যেভাবে সূর্য্যাস্ত পাই ভেতরে ভেতরে
হয়তো সেভাবে নয় হয়তো বা অন্য কোনও মহীয়সী ভাষার অভাবে
আমাকেও শুকনো সব শব্দ থেকে মন্ত্র নিতে হয়
বাক্যে ছকে রাখতে হয় জীবনের উদ্দেশ্য-বিধেয়
তবু হেমন্তের হ্রদে ভেসে-যাওয়া পুরোনো পাতাকে দেখে ভাবি
আবারও টানের দিন আমারও টানের দিন এল
যার মগ্ন বিনির্ম্মাণ হতে থাকে হাঁটুজল ভেতরের বিশীর্ণ মৃণালে
ভিতুর ডিমের মতো সূর্য্যের কুসুমে যার উপমান পড়ি
যার অনুবাদে কাঁপে গোচরের বিকেলে খেলানো শব্দহীন নীল ভিলানেল
কোথাও কবিতা হচ্ছে কোনও স্ফূট ওষ্ঠে কারও বর্ণজন্ম হল
আমার অসহ্য হল কথা-গাঁথা বেরঙমহল
কোথাও কবিতা হচ্ছে আমি তার স্বর্গীয় ছেনালি
পিপাসার্ত্ত দূর থেকে ধরি যেভাবে আমাকে ধরে আঘাসনক্ষত্র গোচারণ

 

পাঙ্‌ক্তেয়

প্রথম পঙ্‌ক্তিটি এল সঙ্গে এল বড়বাগানের সেই বটগাছ
ভিজে বেড়ালের মত এতকাল অপ্রতিভ ঘাপটি মেরে ছিল
আবেগের লোভন আমিষ আজ তাকে তৎপর করেছে
সে এখন ক্ষুৎকাতর আমার পদ্যের মুড়ো চিবোতে চিবোতে
দুমিনিট সে এখন নিমীলিত উপভোগ চায়
আমি তার তীব্র ক্ষিপ্র আউটলাইন বেয়ে সেই ধ্রুব
বটগাছ থেকে নেমে আসি সে এক রোমশ অভিজ্ঞতা
কবিকে বাচাল করে বাচাল যুবাকে করে মূক
দ্বিতীয়োক্ত মানে যুবা জাল ছিঁড়ে জলে পড়ে যায়
অবশ্য জলের চেয়ে প্রেয়সী প্রতিমা পঞ্চভূতে
খুঁজে পাওয়া ভার কবি জানে চিত্রকর জানে
প্রগল্ভ প্রেমিকও বোঝে জলের মহিমা
বেড়াল বোঝে না সে কেবল মুড়ো খোঁজে হায় সে এখন
আমার পদ্যের অষ্ট অঙ্গ গ্রাস করতে চায়
কে জেতে কে হারে দেখি বেড়াল না সেই বটগাছ
উপমান কিংবা উপমেয় একজন অচল আর অন্যজন
মূর্ত্তিমতী চলচপলতা প্রসঙ্গত মনে পড়বে ঋষিবাক্য
গাছেরা গভীর চলা গোপন রাখার কলা জানে
যেমন বেড়ালও জানে আপাতস্থবির ওতপাতা এবং আমরাও জানি
তার সেই জানিবার আনিবার তীক্ষ্ণ সার্থকতা
হেঁশেলের তাকে তাকে তার সেই তক্কে-তক্কে-থাকা
ভঙ্গিমার পরবর্ত্তী প্রগাঢ় উৎপাত
পুনশ্চ কবিতা দেখছি বেড়ালের থাবাজব্দ হল
তাকে যে উদ্ধার করতে হবে তাকে তুলে আনতে হবে
পুনরায় প্রথম পঙ্‌ক্তির সেই বড়বাগানের
বটবৃক্ষের মাথায় এ প্রকল্পে আমাদের
ক্রমশ বেড়াল থেকে কাঠবেড়ালির দিকে যেতে হবে
আর তাকে ভর করে উঠতে হবে সেই বটগাছে
তারপর গাছ থেকে কাঠঠোকরায় যদি এই না-হওয়া কবিতা
যেতে চায় সে হবে বর্ণাঢ্য এক পাখামেলা সুশ্রী অভিজ্ঞতা
যার কাছে তুচ্ছ ঐ বড়বাগানের বূড়ো বট
তুচ্ছতর বেড়ালসম্পৃক্ত এই হঠকারী পদ্যটির নিছক বাচাল চলে আসা

 

বাগর্থ

ভাষা জানিনা সে ভাষায় কাল থেকে একশো আটটা কবিতা লিখেছি।
তার মধ্যে খেজুর বিষয়ে গোটা কুড়ি দারুণ খুলেছে
কাঁটার পরম স্পর্শে শিহরিত মরুমাঠ চিরে
একজন দীর্ঘদাড়ি প্রেরিত পুরুষ মনে হল
তাঁর চিরপ্রার্থিত প্রদেশে চলেছেন
আপাদলম্বিত তাঁর ধূসর পোষাক চুমু খাচ্ছে মুমুক্ষু বাতাস
ওই তিনি চলেছেন দু জন ফরিশ্‌তা তাঁর দুই চোখে
পাখাময় দেখতে পাচ্ছে জান্নাতের দ্যুতির করুণা
ওই তিনি চলেছেন ওই তাঁর কালাতিক্রমের
বালুকাব্যথিত পদতল
আবশ্য এসব ছবি কবিতাগুলোতে ধরা নেই
সেখানে খেজুর আছে খর্জ্জুরকুঞ্জের শীতে জড়োসড়ো কিছু কথা আছে
পাঁচটা আছে পরাগ প্রসঙ্গে লেখা ছোটোবড়ো মন্থর কবিতা
ঋতুমতী পৃথিবীতে পরাগচর্চ্চিত দিন সকলেই কমবেশী যাপন করেছি
একটা করে নিভৃত বাগান আমাদের প্রত্যেকেরই ভিতরে রয়েছে
ফুল্লকুসুমিত মাসে কবোষ্ণ বাতাসে যার বার্ত্তা রটে যায়
যদিও পরাগ একটা সুবিদিত অ্যালার্জ্জেনও বটে আমি ওই
পাঁচটি কবিতার একটিতেও সে তথ্য লিখিনি
লিখেছি ঝিঙের কথা ঝিঙে বলতে ঝিঙেফুল আভাময়
সেই সঙ্গে অনুষঙ্গমাখা গোধুলিধূসর গ্রামদেশ
ত্বগস্থিসম্বল এক শ্রমণের সঙ্গে কোনও এক জন্মান্তরে দেখা হয়েছিল
সাতাশিটা কবিতায় ঘুরে ফিরে তাঁর কথা বিবৃত হয়েছে
পূর্ব্বাশ্রমে তিনি যাঁর আশ্রয়ে ছিলেন
ভৃত্য ও ভার্য্যার প্রতি সে শ্রেষ্ঠীর আচরণে পার্থক্য ছিল না
এমন প্রখর ভর্ত্তা সে যুগেও নিতান্ত বিরল
আমি এই গল্প খুব স্পষ্ট করে কখনও শুনিনি
শ্রমণ আমাকে শুধু নিবৃত্তির কথা বলেছেন
নিবৃত্তিমার্গের কথা তবু কোনও কবিতায় আমি ওই বিষয়ে লিখিনি

প্রকৃতিপ্রত্যয়

আজ শুধু বৃষ্টি পড়ছি সারাদিন ধরে
দেখছি জলশব্দের গঠন বুঝে নিচ্ছি তার শুদ্ধ
প্রকৃতিপ্রত্যয়
যারা আরও ভেতরের যারা খুব ব্যক্তিগত নদী নিয়ে
ঝামেলাসঙ্কুল ঢেউময়
তারা যত বৃষ্টি পড়ে তারও চেয়ে বেশী পড়ে টান
এলেবেলে ছেলেবেলা থেকে এই উচ্ছ্বসিত আশ্বিন অবধি
বৃষ্টি পড়তে পড়তে দেখি শুধুই তাদের জন্য
কোথাও নির্ম্মিত হচ্ছে
সুদক্ষিণ বঙ্গোপসাগর
যতক্ষণ জলশব্দ ততক্ষণ আমি ও জানালা
নিজেদের খুলে রাখছি প্রকৃতি ও প্রত্যয়ের দিকে
জল পড়ো নড়ে ওঠো নিষিক্ত পাতার অভিমান

 

জলফোঁটা

হে বৃহৎ জলফোঁটা
হে বৃহৎ জলফোঁটা তুমি কতক্ষণ
কতক্ষণ এই দৃশ্যে দ্যুতি দিতে পারো
নিজেকে অনুক্ত রেখে একফালি করুণ বাগান
আর ওই আকাশের পাখিহীনতাকে
ভাষ্য দিতে কতক্ষণ ঝুলে থাকতে পারো
শীত আর বিস্মৃতির ফাঁকে
একজন দুঃখী চোখ তোমাকে প্রসব করে ভেসে গেছে
একজন নৌকো এসে নিয়ে গেছে তাকে
বিবর্ণ বইয়ের দেশে
সেখানে বিষণ্ণ এক জেলা লাইব্রেরী
কুয়াশাপোশাক পরা মাথার ওপরে মরা চাঁদ
প্রাগিতিহাসের ঘুম এখনও আমাকে ঘিরে আছে
এই স্বপ্নদৃশ্যে আমি শনাক্ত করেছি
পবিত্রতা যার ম্লান আভা দিয়ে
জীবন রচনা করা যায়
চারপাশ আবছা হয়ে আছে ফুটে উঠছে পৃথিবীর
মলিন মহিমা
তার ঠিক মাঝখানে থাকা-না থাকার ফাঁকে
একা ঝুলে থেকে তুমি হে নিছক জলফোঁটা
এই তুচ্ছ তথ্যটিকে সুগভীর ভূমিকা দিয়েছো
নিজেকে অনুক্ত রেখে বাঙ্‌ময় করেছো ভোরবেলা
তুমি কি চোখের কেউ হও হে অতল জলফোঁটা
চোখ বলে যাকে জানি সে কি কোন নৌকোর আত্মীয়
নৌকো কি চাঁদের অপূর্ণতা
এক ডালে মরা চাঁদ অন্য ডালে সূর্য্যের কুসুম
ঘাস আর আকাশের মাঝখানে আমাকে এভাবে থাকতে হবে
গাছের বিপন্ন উপমায়
হে মহৎ জলফোঁটা কতক্ষণ তুমি কতক্ষণ
দণ্ডিত খণ্ডিত এই চিত্রকল্পে দ্যুতি দিতে পারো

 

সমুদ্র সফেন

যত অভিজ্ঞতা লিখি তত তার
কাছ থেকে
আমাকে বিচ্ছিন্ন করে ভাষাপারাবার
তবু লিখতে ভালো লাগে ভালো লাগে উচ্ছ্বসিত ফেনা
যদিও তা তাকে জানাবে না
যার দেশ অদৃশ্য ওপার
যার কাছে সসাগর দেনা

 

ভাষা

যতটা গভীর হলে ডুবে যাওয়া যেত
ততটা গভীর নও ভাষা
তাই এত সতর্ক সাঁতার
চুল-না-ভেজানো ভালোবাসা

 

পাঠক

তিনি এলেন, আসার কোন খবর ছিল না –
যেমন জলের, যেমন হাওয়ার হঠাৎ বেঁচে ওঠা
তেমনি নীচু, তিথিমলিন তিনি।
এখন বড় টানের সময় অনটনের সময়
পর্য্যটনের সোদর তিনি এলেন
তাঁকে দিলাম শূন্য তিনি বলয় এঁকে নিলেন –
আহা শূন্য এত অর্থ রাখে অনটনের দিনে
তিনি আমার প্রেমিক তিনি এমন ঠা-ঠা বাতাস
জীবন করে নিলেন
এমনি নীচু প্রসঙ্গহীন তিনি।

 

জন্মদিনে

হাওয়ায় দোলে অশক্ত হাত
হাতের মুঠোয় অসম্পূর্ণ
সেই মানুষের সঙ্গে দেখা
সেই মানুষের জন্মদিনে
শব্দ তাকে কষ্ট দিল
স্পর্শ দিল বন্ধ্যা দহন
দৃশ্য কিছু মিথ্যে দিল
এই উপহার জন্মদিনে
স্বজন জানে দুর্ব্বলতা
দুর্ব্বলতায় অনুচ্ছিষ্ট
ইচ্ছে ছিল ভণ্ড হাওয়ায়
নষ্ট হল জন্মদিনে
জন্মদিনে এমন দেখা
এমন দেখা অসম্পূর্ণ
হাওয়ায় দোলে অশক্ত হাত
হাওয়ায় ভাসে অসংলগ্ন …

 

বয়স

সারাটা দিন কোথায় ভেসেছিলি
ঘাটের শিলা ভাঙার অবলীলায় –
এখন কি তোর শ্যাওলানিথর ঋতু?
এখন কি তোর ভিতরমুখো খেলা।

 

টিলা

কোথাও কোথাও থেমে গেছে বাকীটা গতির অবলীলা
এছাড়া ব্যাহত রৌদ্রে আর কোন চলচ্ছবি নেই
মানুষের অসিত মিছিল অনন্তের অধিক ছুঁয়েছে
এও তোর দুমুঠো স্বদেশ এই স্তব্ধ মাদলের টিলা

মহাযানজট

“মূর্খ যখন পথ হেঁটেছে তখন পথে শূন্য ছিল
অঘর্ষণের অবাধ ছিল ঘুরতি সুখের শান্ত অসীম
তেলা মাথায় চর্চ্চিত চুল, মটররঙা ভুঁড়ির চিকন
মূর্খ যখন মাছ ভেজেছে তখন তেলে স্বাস্থ্য ছিল
আমরা এলাম ঠিক অবেলায় যখন আকাশ ব্যবচ্ছিন্ন
স্কাইস্ক্রেপারের অশ্লীলতা বিষ্ঠামুখী বায়সপ্রবর
দূষণ ছিল মধ্যরাতের ব-নাটকের অসম্ভবে
আমরা যখন উড়তে এলাম মহাকাশে যানজটলা”।

 

বেড়ে ওঠা

‘রাত্রি থেকে জন্ম থেকে প্রগাঢ় সঙ্কেত ঝড়ে পড়ে
চোখ থেকে রোমকূপ থেকে
শ্রাবণে খরায়
স্তন্যের অশেষ থেকে বেড়ে উঠি কবিতায়
কবিতাহীনতায়’

-[ রিমি চক্রবর্তী সঙ্কলিত “নির্বাচিত সমর চক্রবর্তী” থেকে উদ্ধৃত। প্রকাশক – হাওয়াকল পাব্লিশার্স ]

 

ভাষান্তর

যদি বলো ময়ূরাক্ষী তবে বননীলাঞ্জনও বোলো
যেখানে বিষাদযোগে প্রাথমিক দেখাশোনা হল
নিজের ছায়ার সঙ্গে। সেই রোগা ছায়াটির কথা
বলতে বলতে গড়ে তোলো মগ্ন নগ্ন অসামাজিকতা
যার শব্দমোচী ভাষা অনশ্বর ঢেউয়ের প্রস্বরে
অন্তর্গত নীলিমার অবিরাম বিনির্ম্মাণ করে।
যদি বলো বিনির্ম্মান তবে সেই রচনাও বোলো
আকাশে নদীতে বনে যা নীল লাবণ্যে থলোথলো।
আরও নীল গাড় নীল আঁকা আছে তারও একটু দূরে
বালকবেলার সেই ঝুম ঝুম ছোটনাগপুরে।
আকাশে হেলান দেওয়া সেই তীব্র ভূগোলোকও বোলো
কিছুটা ভুবনডাঙা যার বাকী তিনভাগ জোলো।
যারা খুব সামাজিক তারা ছেঁড়া জলের দুধারে
বাসা বাঁধে হাসে কাঁদে মানুষের তটস্থ সংসারে।
সেই সমাজের কাছে এই গূঢ় ছায়ারতিকথা
মনে হয় ব্যভিচার আর নয় মূঢ় প্রগল্ভতা –
তবু রতিকথা বোলো যদি বলো বননীলাঞ্জন
যেখানে বিষাদযোগে ছায়া আর তার পাশ দিয়ে নদী
কলনীরবতা বুনে ভেসে যায় অনর্থ অবধি।
যদি ভাবো অনর্থক তবে সেই ভাষান্তর বোলো
প্রসাদে বিষাদে স্বাদে যা নীল তাৎপর্য্যে ছলোমলো।

 

ভাষা – দুই

একদিন কবিতা লিখেছি এখন আমাকে লিখি জলে
ধুয়ে যাই ছুঁয়ে যাই তারও
আগেকালো নীল ফিকে গাড় কাদা
দ্রব মেদিনীর কষ্টে বর্ণবিভেদের আঁকাবাঁকা
শানে বাঁধা ঘাটের চকিত শ্যাওলাশিঘিল সীমারেখা
এতদিন কবিতা লিখেছি এখন জীবন লিখি জলে

 

গাছপুরাণ

গাছের পেছনে কার নদী
আমার কুড়ুল খসে যায়

তাঁহার কুঠার উঠে আসে

গাছ থেকে রক্ত ঝরে কেন
অপ্রাকৃত অনর্থ ক্ষরণ

আড়ালে আবডালে বাড়ে জীবনের খিন্ন কারবালা

ঐ আসে গাছের সেনানী
জীবন, পিছন ফিরে বোসো

আমাকে নিজের মৃত্যু জিতে নিতে দাও

গাছের আড়ালে বসে আছি
উপমার একান্ত হরিণ
ইতিহাস, তোলো তোলো তীর
জেগে ওঠো শিল্পের নিষ্ঠুর

গাছের পিছনে এক নদী
নদীর ওপারে মহাদেশ
কে তুমি আদিত্যবর্ণ ঢেউয়ের শিয়রে জেগে আছো

সমর চক্রবর্তী । কবি ও অধ্যাপক।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..