শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
এসো, মৃত্যুর মুখোমুখি বসি,
উষ্ণ খাদে এখন মাঘ মাস,
মন সেদ্ধ ভোরে
মেঘ মাটি না ছুঁলে
নতুন বসন্ত আসে না,
তাই ব্যবচ্ছেদের আগে
শবের নৈঃশব্দ্যে
অজস্র লাশ,
এসো, অসুখের বুক খুঁড়ি,
মাংসাশী জিভে গেঁথে দিই
সহস্র কচি সবুজ ঘাস।
এখন আর খবর রাখিনা;
খবর রাখিনা,
ঠিক কতগুলো দিন
দিনলিপি থেকে ছিঁড়ে দিয়ে
পৌঁছে যাই গন্তব্যে,
এখন সমান্তরাল বয়ে চলে চাকা,
রয়ে যায় বেশ কিছু সম্বল;
তবু ছেড়ে যাওয়া হুইসেলে
বসে থাকি ওয়েটিং রুমে;
একগাল হাসি নিয়ে দেখি,
ছুটে যাওয়া
মানুষের উন্মাদনা;
এখন সকলে পরিণত বলে
এখন আমি পরিণত,
আসলে,
প্রহেলিকায় মরীচিকা
বাসা বাঁধলেই
মানুষের বৃক্ষে রূপান্তরিত।
পুনরায় একই রূপে সম্পূর্ণ
ফিরিয়ে যাওয়া যায়,
আচ্ছা
ঠিক কতটা বল প্রয়োগ করলে
মরচে ধরে স্থিতিস্থাপকতায়!
আমরা যারা
ক্ষেত্রফলহীণ বর্গ একক,
যারা
অগুন্তি ক্ষতিতে
পচিয়ে ফেলছি কোরক,
একমাত্র তারাই,
একমাত্র তারাই জেনেছি,
উচ্চতা উষ্ণতা ছুঁলে
গাঢ়ত্বের গভীরে
পাকিয়ে ওঠে ক্ষয়!
আমরা যারা শুনেছি
ঘুমের গভীরে হাহাকার,
যারা
রাত্রি জেগে দেখেছি
ভোরের নিস্তব্ধতায়
রাতের অন্ধকার,
একমাত্র তারাই ,
একমাত্র তারাই শিখেছি,
কিভাবে অক্ষরে অক্ষর ঘষে
আগুন জ্বালাতে হয়,
কিভাবে শব্দের মধ্যে দিয়ে
তোমায় নিংড়ে নিতে হয়,
আমরা যারা…
প্রতিটি প্রত্যাখানে
নিত্যবাহীর খরস্রোত উপাখ্যান,
তবু বৃষ্টি আশায় মৃত্যু নদীর
চড়াই পাখির প্রাণ।
অন্তর্বর্তী অন্ধতায়,
প্রত্যাবর্তণ পুণরায়,
তবু প্রেম পোড়া স্রোত
প্রেম পেতে চায়!
যে কোকিল গেয়েছিলো
কাকের বাসায় গান
সে ছিঁড়তে শিখিয়েছে
সহস্র সুতোর টান,
প্রতি প্রত্যাখানে ঝলসানো উপাখ্যান
তবু বাঁচার নেশায় মৃত বুকের
নতুন উপাখ্যান।
টেবিলের ওপারে মুখোমুখি সমুদ্র,
লাভার স্রোত বয়ে
আলজিবে শব্দ সয়ে
তৃষাতুর ঠোঁট নিস্তব্ধ
তোর চোখ স্তব্ধ মৃত্যুর বাঁক
মুখোমুখি ক্ষয়িষ্ণু,
বন্ধ্যা বুকে আঘাতেই ঘর বাঁধ;
এ গভীরে অফুরন্ত অদৃশ্য তাড়না,
পোষ্যপ্রেম, হরফের প্রসব বেদনা!
তবুও কলমের নোনা স্বাদ
অভিসারিকার হৃদয়,
শহুরে মৃত্যুর খাদ!
বাঁচে থাকা আর
বাঁচতে চাওয়ার
সমান্তরালে রক্তপাত…
সরিসৃপী মেরুদণ্ডে
এজন্মের আদিমতা পরজন্মে থাক।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..