পাগল
চৌদ্দ পনেরো বছর আগের কথা; আমি বসে আছি একটি দোকানে, দোকানটি মূলত আমাদেরেই। দোকানের সামনে…..
সম্পর্ক কী?
ভালোলাগা থেকেই একটি সম্পর্কের শুরু, যার রেশ টেনে যায় ভালোবাসায়, আর সমাপ্তি বিয়ে পর্যন্ত। কিন্তু এই স্বর্গতুল্য সম্পর্ককে টিকিয়ে বা আগলে রাখার দায়ভার কার- নারী না পুরুষের? নিশ্চয়ই একার কারোর নয়, দু’জনেরই।
কিন্তু কৌশলগত দিক থেকে কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য ও বোঝাপড়া দু’জনের জন্য অত্যন্ত গুররত্বপূর্ণ। ধরুন আপনার ভালোবাসার মানুষটি আপনার কাছ থেকে অনেক দূরে, দিনে কেন কখনো কখনো মাসেও একবারের জন্য তার সাথে সরাসরি দেখা সাক্ষাৎ হয়না, একথায় শূন্যের ওপর সে ভালোবাসাটি অবস্থান করছে। সেক্ষেত্রে আপনার কী করণীয়? সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি আপনার ভালোবাসার মানুষটির প্রতি কেয়ারিং হয়ে উঠুন, দায়িত্ববান হয়ে উঠুন, সময় দিন, তাকে বুঝতে দিন আপনি দূরে থেকেও তার কাছেই আছেন। সাহস জোগান মনে, কথা বলার মুহূর্তে সবসময় অন্যের আলোচনা না করে অন্তত একটা সময় শুধু দু’জনের কথা বলুন। দায়িত্ব নিন দু’জনেই একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠতে।
উভয়েরই মনে রাখা উচিত, আর যাই হোক একতরফা কখনই সম্পর্ক সুস্থ থাকে না। সম্পর্ক একটা চারাগাছের মত, তার যত্নের প্রয়োজন হয় আর সে যত্নের জন্য সময়েরও প্রয়োজন হয়। আমরা প্রায়ই ভুল করি রিলেশনশিপ টিকিয়ে রাখার নিয়ম-নীতি নিয়ে। এমনকী ভাঙনের সমস্ত দায়িত্ব একে অপরের ওপর ছেড়ে দিই, মেয়েটি ছেলেটিকে আর ছেলেটি মেয়েটিকে। আমি মনে করি একটি সম্পর্ক ক্যারি করার পেছনে দু’জনের সমান দায়ভার থাকতে হয়। একইরকম না হলেও হোক না, তা একটু ভিন্ন এতে কোন সমস্যা নেই; কিন্তু দায়ভার থাকতে হয়। সম্পর্ক মানেই দু’জন দু’জনার প্রতি রেসপনসিবিলিটি, সেনসিবিলিটি ও যত্ন। যদি তা না-ই থাকে, তাহলে তা সম্পর্ক নয়। আর থাকলেও এমন সম্পর্কগুলো একসময় সবুজ পাতা শুকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ঠাডা পড়া গাছের ন্যায়। সম্পর্ক একটা সুক্ষ্ম টান যা বলার অবকাশ রাখেনা, হৃদয় ঠিক ঠিক বুঝে ফেলে। এতে সম্পর্কের ব্যক্তিটি দূরেই থাকুক বা কাছেই থাকুক।
সম্পর্ক হলো দাড়িপাল্লার মতো, যার দু’টো দিক সমান ভার নিলেই ভারসাম্য বজায় থাকে। সম্পর্ক আমার কাছে মনে হয় সতেজ সবুজ আর বুক ভরা অক্সিজেন। মানলাম সম্পর্কে রাগ, মান-অভিমান সবই থাকে, এসব সম্পর্কেরই একটি পার্ট, এসব ছাড়া সম্পর্ক হয় না, কিন্তু সেটাকেও কিছু সময় পর ছূঁড়ে ফেলতে হয়। নয়তো ব্যক্তিটি হেরে যায় উল্লিখিত সেন্টিমেন্টের কাছে। নিজেকে পরিচালিত করবার তখন আর কোনো নিজস্ব শক্তিই রাখেনা সে।
নারী-পুরুষ দু’জনেরই ব্যস্ততা থাকে। তবে একটা কথা না বললেই নয়, সবচেয়ে ব্যস্ততম মানুষটিও সবচেয়ে বেশি সম্পর্কযুক্ত থাকার ক্ষমতা রাখেন। শুধু ইচ্ছে থাকতে হয়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মাঝে ফোন করে খোঁজ-খবর নেয়া, যেমন- তিনি কেমন আছেন, কী করছেন, খেয়েছেন কীনা, একদম সময় নেই বলে কিছু নেই; তবে ভুলে যাওয়াটা ভিন্ন বিষয়।
প্রিয় মানুষের প্রতি মনোযোগ মানে এই নয় যে, তার দিকে সর্বক্ষণ নজর রাখতে হবে, তাকেই সারাক্ষণ ভাবতে হবে। তবে খেয়াল রাখাটা খুব খুব জরুরী। আবার এমনও হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটি আপনার প্রতি একটু বেশিই যত্নশীল ও দায়িত্বশীল। হয়তো আপনি কোথাও ব্যস্ত আছেন বা কোনো কাজ হাতে আছে, আপনার প্রিয় মানুষটির ফোন পেয়ে ঝাঁজিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন। ভেবে দেখুন তো- তিনি আপনাকে ভালোবাসেন বলেই আপনাকে নিয়ে ভাবেন, আপনার ফোনের জন্য অপেক্ষা করেন, আপনাকে ফোন করেন এতে বিরক্তি প্রকাশের তো কিছু নেই।
সম্পর্কের মানুষ দু’টির উভয়ের ভালোবাসার প্রকাশ করাটা খুব জরুরি। কথায় কথায় ভালোবাসি বলতে হবে তা কিন্তু নয়। আপনার কাজ ও আচার-আচরণে যেনো সেটা প্রকাশ পায় আপনার কাঙ্খিত মানুষটির কাছে।
আরো একটা বিষয় মনে রাখা জরুরী – আপনি কি রাগী? আপনার ভালোবাসার মানুষটি কি আপনাকে ভয় পান? আপনার ভালোবাসার মানুষটি আপনার কার্যকলাপের ওপর আস্থা রেখে আপনাকে আশ্রয় ভাবেন? ইত্যাদি।
পরিশেষে এটাই বলা- অতি রাগ, অহংকারী আচরণ এবং ভয় সম্পর্কের মধ্যে ভালো কিছু বয়ে না এনে শুধু দূরত্বই সৃষ্টি করে।
চৌদ্দ পনেরো বছর আগের কথা; আমি বসে আছি একটি দোকানে, দোকানটি মূলত আমাদেরেই। দোকানের সামনে…..
১৮ মার্চ ২০১৯ মধ্যরাত! চারদিক অন্ধকারে ঢেকে আছে শুধু বাড়ির চারিপাশে বিদ্যুতের বাল্বগুলো জ্বলছে তাদের…..
জোছনা করেছে আড়ি আসে না আমার বাড়ি গলি দিয়ে চলে যায়, গলি দিয়ে চলে যায়…..
পাঠকদের প্রায় জনেই হয়ত জানেন, সমকাম কি ? সমকামী কারা ? সমকামীর প্রকারভেদ, কেন…..