প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
কেন কবিতা লিখি? কেন পড়ি? এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট কোনও উত্তর নেই। কবিতা ‘রক লজিক’ নয়। তাই উত্তরে বিভিন্নতা থাকতে বাধ্য। এই সঙ্কলনে সেই বিভিন্নতাকে রাখা হল অবুসন্ধিৎসু পাঠকদের জন্য। কয়েকটা সহজ উত্তর অবশ্যই আছে, যেমন, ’জানিনা’, ‘বলবো না’ বা ‘কেন বলবো’, ‘ইচ্ছে করে, তাই লিখি’, ‘আর কিছু পারিনা, তাই’ ইত্যাদি।এসবও উত্তর, কবিরা দিতেই পারেন। আবার সিলভিয়া প্লাথের মত কেউ কেউ বলতে পারেন-
“I want to write because I have the urge to excel in one medium of translation and expression of life. I can’t be satisfied with the colossal job of merely living. Oh, no, I must order life in sonnets and sestinas and provide a verbal reflector for my 60-watt lighted head.”
কবিতা বা যে কোনও লেখাই সৃষ্ট হতে পারে ব্যক্তিক প্রকাশের ব্যবস্থাপনায়, জীবনকে ভারমুক্ত করার বাসনায়, লেখায় আলোকিত মস্তিষ্কের মুখর প্রতিফলনে অথবা অন্য আরও বহুবিধ কারণে। এই সঙ্কলনের কবিরাও তাঁদের অন্তর্ভেদী অনুভবের নিরিখে এই দুটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। কত বিচিত্র, কত ভাবনাময় এই উত্তরগুলি, পাঠক পাঠান্তেই বুঝতে পারবেন। কবিতা কিন্তু সৃষ্ট হয়েই আছে, কবি সেই হয়ে থাকা সৃষ্টিকেই লিপিবদ্ধ করেন,আমরা সেই লিপিকেই কবিতা বলি। কবি নানাভাবেই কবিতাকে চিহ্ণিত করতে পারেন। কোনও ‘ফর্মুলা’ নেই কবিতা খুঁজে পাওয়ার। অন্যদিকে কবি জড় পদার্থ নন। সমাজ, নীতিবোধ, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং তাঁর নিজস্ব সময় কবিকে বেঁধে রাখে, নিপীড়ন করে, আনন্দ দেয়, হতাশ করে, আশাবাদী করে যেমন সমাজের সব স্তরের মানুষকে করে থাকে। এই প্রথম জগৎ থেকে কবির অনুভূতি তাঁকে যুক্ত করে দেয় এক নতুন এক দুনিয়ার সঙ্গে, কবি বারীন ঘোষাল যাকে বলতেন ‘দ্বিতীয় পৃথিবী’। কবির মানসলোকে এর স্থান। কবিকে জানতেই হয় তাঁর এই অন্য ভুবনের কাল্পনিকতাগুলি। যাঁরা বলেন, জানার দরকার নেই, কী হবে জেনে, তাঁদের সম্পর্কেই রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, “নিজের অজ্ঞতা সম্বন্ধে অজ্ঞানতার মতো অজ্ঞান আর তো কিছুই নেই” ।
আর কবির এই চেতনাময় জগতটি গড়ে ওঠে তাঁর পাঠের মাধ্যমে। তাঁর পড়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে নিজের লেখার প্রতিও মনস্ক করে তোলে। ভেতরে একধরনের প্রতিস্পর্ধাও তৈরি হতে পারে একটি অসাধারণ কবিতার বই পাঠ করে। টি,এস এলিয়টের সেই বিখ্যাত উক্তিটি এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য, ‘Immature poets imitate; mature poets steal.’ কিছুটা শ্লেষাত্মক হলেও ওই ‘চুরি’টাই কবির দক্ষতা যা তাকে আলাদা করে দেয় তার উৎস কবিতাটি থেকে। অদক্ষ কবিরা নকল করে যেতে থাকেন। তবে দুটি ক্ষেত্রেই কবিকে পড়তে হয়। কবিতার পাঠক হতে হয়। তবে এক্ষেত্রে টি,এস এলিয়টের উক্তিকে একমাত্র সত্য বলে মেনে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। আজকের দুনিয়ায় ‘একমেবাদ্বিতীয়ম’ বলে কিছু হয় না। প্রতিটি ব্যক্তি আলাদা। কবিও তাই। ফলত তার কবিতা পাঠের কারণ এবং পাঠাভ্যাসও আলাদা হতে বাধ্য। এই সঙ্কলনে কবিরা কেন তাঁরা কবিতা পড়েন, কেন কবিতা লেখেন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই বিভিন্নতাকেই প্রতিষ্ঠা করেছেন। আশা করবো কবিদের এই উত্তরমালা পাঠক হিসেবে আপনাদের ভাল লাগবে এবং হয়ত আপনাকেও উদ্দীপ্ত করে তুলবে একটি কবিতা লেখার জন্য।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..