সময়টা বিকেল

শ্রাবণী সিংহ
কবিতা
Bengali
সময়টা বিকেল

রুহের উচাটন

কখনই জানতে চাইনি সিন্ধুতে বিন্দু বিন্দু জল কতটা?
ইচ্ছাকৃত অবহেলার আগুন কতটা তীর্যক

হতে পারে

কবেকার আলতামিরায় দু-চারটে শব্দ অথবা সিলুয়েট
মুছে দিলে আবার জুড়ে নেবে কোনোদিন

কিছু ক্ষতের লাল দাগ অথবা গোপন আর্তস্বর
পুষে রাখলে রক্তের মধ্যে ছৌনাচ জাগিয়ে তোলে কতটা?

একটা শব্দ ভালোবাসার অথবা নেতি অনুরাগের
পয়ারের মত মুছে দিলেও
মুচড়িয়ে যায় বিস্তর

এলোপাক খেয়ে যায় রুহের উচাটন
আরো কত কি যে হয়,বলা মুশকিল!

 

সন্ধি

ধ্রুপদী আকাশ থেকে ছিটকে যায় বিদ্যুৎ তরঙ্গ,
এক পশলা বৃষ্টি এলে

জানলা খুলে গৃহস্থালির উপর বইয়ে দিলে
নিশ্চিত হালকা হয় মেদহীন দেওয়ালের শরীর,মেঝের বুক।

বৃষ্টিচূর্ণ লেগে লেগে বাদামখোসার মত মিইয়ে আসে
মাথার ডৌল, তছনছ এলোচুলের সংসার।
বিবর্ণ আঙুলে আংটির মত
সন্ধিতে জড়াতে চায় শুধু…

সময়টা বিকেল

সময়টা বিকেল জড়িয়ে

আর
ঘূণ ছোঁয়ার মত কড়কড়ে ভালোলাগা
ভেসে ওঠে চক্‌চকে চোখের আদিম মুগ্ধতা
দৃষ্টি যেদিকেই যাবে পালাবে হরিণ

আর বিবিধ রঙের কুন্ঠা

অনায়াস যেদিকে, দিগন্ত ও পাহাড় সমুদ্র ছুঁয়ে
দ্বীপান্তর পাখিও চলে যায় নজরমিনার ঘেঁষে…

সবই চলে যায় অতীতে
বর্তমান ন্যাড়া পড়ে থাকে বেলতলায়।

শূন্যতাই অনুবাদক

বেলা গড়ায় ক্ষিপ্র পাখির মত!
এই গড়িয়ে যাওয়া নিউটনেরও ব্যাখ্যার বাইরে…

মরা লগের মত শুয়ে শূন্য গল্পের সিঁড়ি
শূন্যতাই অনুবাদক আজও শূন্য প্রহরের।

 

শ্রাবণী সিংহ। কবি। জন্ম ও নিবাস উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরে।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..