যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
ল্যাম্পপোস্টের নিয়নে দুই মাতালের তর্কাতর্কি
সাদা জামার মাতাল, অন্যজন কালো পাঞ্জাবী
জামা, পাঞ্জাবী দু’টোই বিনয় কাকার খুব সখ
কখনও মনের দামে কোনোদিন পড়েনি বেভুলে
পেনশন ফাইল জমা…জামার পকেটে বহুদিন
আর, ছেলের চাকরী…পাঞ্জাবীর হাতালেই ঝুলে
মাতালের মাতলামি বেড়ে গেছে রাষ্ট্রের মোড়কে
জামা, পাঞ্জাবীর খোপে উদাস বৃদ্ধের লক্ষ্মীপুজো
পাঞ্জাবী চায় অগ্রীম। বন্দি ফাইল ছাড়ে না জামা উপায় না পেয়ে ছোঁটে প্রান্ত বেলার বৃদ্ধ নাবিক
জামাকে বন্ধক রাখে পাঞ্জাবীর শুভ্র সাদা থানে
পুরোটা জীবন বেঁচে সোনার হরিণ নিলো কিনে
কালো আর সাদা যোগে ধূসর রঙের খেলা জমে
কে এঁকেছে মৃত্যু ভালো…দু’মাতাল করে তর্কাতর্কি
বসন্ত বৃষ্টির শিশ্নে…অদিপাউস-আন্তিগোনের
হাঁটার মগ্নতা লিখো, মরপৃথিবীর যত সাধ-
কৌশিক রোদ্দুর ছুঁয়ে জানালার কাঁধে বাঁকা চাঁদ
আয়ূধ ভোরের শীষ—নগ্নতার হিরন্ময় ক্ষণে।
সাকি-সুরার ছোঁয়ায় কাপালি-ক্লিভেজ গিলে চিল
নরোত্তম! কী সুন্দর! ফিনফিন দুপুর-সন্ধ্যায়-
সাঁড়াশি মাতাল জ্বরে দুই জঙ্ঘার পুলক, হায়!
নিয়ন আলোর দূরে এটুকু…না হোক, ঝিলমিল।
সুদূরে পালক খসে…দেবতার ইতিকা। যদিও
বিতৃষ্ণার ধূমজালে স্বর্গীক গন্ধম প্রাণ খুলে-
হেঁটে আসে লীলাধামে; এবং প্রেম প্রেম বোতলে
ফিনিক্স ফিনিক্স উড়া। এটুকু…থাক সুখ তবুও।
এখনও বৃষ্টিতে ভিজে আদম-ইভ মিলে মৌবন এ,
বসন্তের ছাল খুলে—উচ্ছ্বল প্রেম ছিলা যৌবন এ।
মেটালিক পোড় খাওয়া উষ্ণ আর্দ্রতার গুপ্ত বিষ
শামুক হা-মুখ খোলে নিয়নের আলো খুব ক্ষীণ,
ফোঁটাফোঁটা দুঃখ-ব্যথা বিনয় সময়ে অর্বাচীন
দিশেহারা মাঠ জুড়ে পাতার উদরে জাগে শীষ।
কোথাও পায় না খোঁজে সোনালি মায়ার রামধনু
রঙেঢঙে কাঁচা-পাকা ঘোরলাগা আহ্লাদী সংসার,
ফেলে আসি বহুদূর; ঝিলম নদীতে পোড়ে, আর
ভেসে আসে তানপুরা। নহলা জ্বালায় ক্ষুদ্র তনু।
বিস্বাদের পাঁড় জানে, ব্রাকেট-কোলন-ড্যাশ শেষে
তটের বিবাগী হাসে। সুদূরের ভেসে আসা ফেনা
কাঁচুলির পাশে জমে হিসাবের পাতা জুড়ে দেনা
রেখে গেছে পলাতক কাককালো মেঘেদের দেশে।
ক্ষুদ্র আলোর কণাও ঝঞ্ঝার প্রহারেও জ্বলে স্বাতি
বিন্দু…এক পথরেখা- সিন্ধুতে জ্বলে হৃদয়ে বাতি।
সময়ের মেহফিলে মায়াবী পাশা ছোটে সচল…
দূর থেকে ভোর এসে, ক্লান্তির বজরা ঘাটে বাঁধা;
বহুদূর ক্রোশ হেঁটে- অজানা শঙ্কায় কত রাঁধা
অতিদূর থেকে কাঁদে—জীবনের শ্লোগান অচল।
গোধূলি আঁচলে মুখ লুকিয়ে রেখেছি শত রণ…
ছোট্ট নীড়ের ভিতর, জমেছে সফেদ অন্ধকার;
সংসারের মুখোমুখি…নাঙলের ফলা বারংবার
সোনাঝরা মাঠে মেলে আলোকচ্ছটার বিচ্ছূরণ।
আশার ছলনা রেখে… মরীচিকা সুদূরের পথ…
নিধুবণে কতকাল? কান্তার ঘূর্ণিস্রোতে মাতাল;
কোন্ কুলক্ষণে চাঁদ, দিশা হারালো তার চাতাল
দাঁড়াবার মাটি সরে- ভাঙা পাড়ের ‘পর বসত।
মুখোশের ফাটা রোদে পিচ্ছিল সময় ঝিলমিল…
ক্ষত বিষে মীড় বাঁজে মিছিলের মতো পিলপিল।
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..