প্রেমিক
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
বালিশে আক্ষরিক আকাশ- সবুজ বাতাসে বাংলাদেশের মানচিত্র দীর্ঘায়িত হয়।
চিন্তার চোরাবলিতে উন্নাসিক কোলাহল।
চাঁদের প্রহসন; বৃষ্টির আকাশে আলতারাঙা চোখ দেখে।
অভিধান ও ব্যাকরণের পথ বেয়ে যারা বসবাস করে প্রগতিশীলতার বাস্তুভিটায়-
তারা কোটি দৃশ্যের প্রজাপতি নিয়ে বসে থাকে।
মহামায়া খেলার সামগ্রী, রক্তের ভিতর জেগে থাকে নিউটনের সূত্র, ৭১-এর প্রচ্ছদ।
ইতিহাসের বোতাম খুলে দেখো- পৃথিবী আজন্ম মহামূন্যের কোলে রক্তাক্ত পড়ে থাকে।
রাজপথে রৌদ্র…, আঁচলে পরিকল্পিত গল্প।
সমগ্র বাংলা আজ অনুবাদ করা কবিতার মত।
রাজসভার রহস্যগুলো পুঁজিবাদী হাওয়ায় শ্রেণিচেতনার ক্যানভাস।
গণতন্ত্র আজ মুখোস পরা বোধের চূঁড়া।
আলোকবর্ষ দূরে থেকেও বাতাসের গন্ধ শুঁকে
সমাজতন্ত্র নক্ষত্রের আলোয় বসে বিচ্ছিন্নতাবোধের চাষাবাদ করে।
সভ্যতা লজ্জায় সাতচল্লিশ, বায়ান্ন, উনসত্তুর, একাত্তরের পায়ে ঘুঙুর পরিয়ে দেয়।
ভুবনডাঙার সংবিধানের লেখা থাকবে অসংখ্য ফেলানীর ঘাসফুল শরীরের গল্প।
এলিয়েন ভেবে; নিজেকে কেবল ডিজিটাল ক্যামেরা হিসাবে বিনির্মাণ করি।
যেখানে মহাকাশ, সভ্যতা, মহাকালের মিছিল ধেয়ে আসে নিরন্তর।
রোদের ঢেউ বাতাসে রোমন্থন করে চোখের ওঠানামা।
বালক বৃক্ষ স্মৃতির উঠোন থেকে
কুড়িয়ে আনে কিছু অর্থবোধক শব্দমালা।
প্রার্থনার দরজায় ধন্বন্তরী ভিটার জায়নামাজ।
প্রত্নস্মৃতি বেহুলার কাহিনী…;
বৈধব্যের দেবালয়ে সমুদ্র, নক্ষত্র অবিরত লখিন্দরের প্রাণবীজ
আহরণ করে।
সাররাত জেগে থেকে বেহুলা জোসনায় ভিজে দৃষ্টির প্রদীপ দেখে।
লখিন্দরের জীবন সাইরেন বেজে ওঠে বসন্তদিনে।
চাঁদের শরীর অস্পৃশ্য রমনীর মত পৌরাণিক সংকেত দেয়।
প্রত্নলিপির পাঠ দিনক্ষণহীন মৃত্তিকার ফসল।
জাগ্রত সত্ত্বা থেকে বেরিয়ে আসে বেহুলার ভেলায় কাটানো কিছু সময়।
এসবই বোধের আঙ্গিনায় লুটোপুটি খায়।
জন্মের কষ্ট জলজন্মের হাওয়ায় ভর করে জীবনের মহার্ঘ্য দান করেছিলো মা। জন্মের রহস্য পুনর্জন্মের দিনক্ষণ ঠিক করেছিলো। জন্মের এই কাহিনী থেকে বেড়িয়ে মাকে আবিস্কার করলাম। মাটির উদর থেকে, গর্ভমূল থেকে উন্মুক্ত হওয়া এই আমি জরায়ু হলাম। মাকে ঈশ্বর করে বুকের উৎসমুখ খুলে দিয়ে নক্ষত্রের চাষ করেছিলাম যোনির ভিতর আকাশে। আকণ্ঠ পান করেছিলাম মায়ের দুধ।
মায়ের স্পর্শে জেগে উঠেছি সহ¯্রবার। দেহের ভিতর প্রাণবীজ রেখে লক্ষ কোটিবার অদৃশ্য ঈশ্বরের ধ্যানে মগ্ন থেকেছি। রূপ দেখেছি সিক্তবসনা নারী- কাশফুল, জলন্ত চুল্লী, মমতাময়ী মায়ের…।
‘ছুঁলেইতো বেশ! শরীর নিজেই এক স্পর্শবিদ্যা।’
হুমম। অথচ- তোমাকে ছুঁতে চাইলেই পৃথিবী গর্জে ওঠে।
উঠুক না। ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সিক্তবসনা এক মানবী হয়ে উঠলাম।
দারুণভাবে মিশে থাকলাম তোমার নিঃশ্বাসের জাগ্রত ভিসুভিয়াসে।
তোমার বুকের পাটাতনে;
ঘাসের চাদরে অনুভূতির লাভা উদগীরন হতে থাকে।
সেই উদগীরন আমায় ভাসাতে থাকে মহাশূন্যে…,
ঐ দেখো কত মেঘ।
আমার ইচ্ছের পাখাগুলো মেলে দিয়ে অদ্ভুত ভালোলাগায় মোহনীয়তা আনছে।
তোমার চোখের কার্ণিয়ায় ভেসে ওঠে একটি উদোম,
আদিম; শৈল্পিক হৃদয়।
যা অনবরত তোমাকে ডুবিয়ে দেয় মহাসমুদ্রে, সভ্যতার পাদপিঠে।
অবশেষে তুমি আর মহাকাল পড়ে থাকে নিঃশ্বাসের সীমাহীন শুদ্ধতায়।
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..
স্মৃতি চাঁদের আজ দুঃখ পাবার কিছু নেই ! সবুজ পৃথিবীতে আজকের এই বিকেলে আকাশে উড়ে…..
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..