ফ্রেম
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
এখানে এসো—
আর মিলিয়ে যাও
মুখ, মথেরা আমার
লোহা পুড়ানো হচ্ছে, বাজারে—
কামারের পেশী—শিল্প মনে হচ্ছে
দূর থেকে, ঠাণ্ডা বাতাসে
শুধু এই শীতের জন্য।
কে পাঠাচ্ছে?
তুমি সেই রাগি বেড়াল—
লেজ ফুলিয়ে
যেন রোদকে শাসন করছো।
এটা ছোট্ট দিন—
আমি আমার ঘুম ভাঙ্গতে চাই না
তুমি এসো, যমদূত—
এখানে কয়লা পড়ে আছে
ধুয়ে দাও। মগজ—
আর ডেকো না আমাকে।
কি বলতে এসেছিলাম—
তার কিছুই বলতে পারিনি
যদিও আমি, ঈশ্বরের ছুঁড়া পাথর
কখনও কখনও হয়তো—
একটুআধটু জ্বলে উঠি কোথাও
অন্য কোথাও—
জানি এর কোনো শর্ত নেই!
তবুও এসো, মিলিয়ে নাও—
আমরা হাঁটতে হাঁটতে
যখন লাফিয়ে উঠবো বাতাসে
দ্যাখো, শেষবারের মতো—
শেষবার বাতি নেভার আগে
যেভাবে জ্বলে উঠে—
হঠাৎ, আলো!
তারপর আমি যাই—
আরও দূরে, আকাশ থেকে ঢিল মারি
আমার চোখের মণি।
আমার সাথে যে কারও—
যে কোনো পরিচয়ই অর্থহীন
যেহেতু আমি চলেই যাবো—
তুমিও যাবে, যে কোনোদিন
এখন এইসব কথার কথা—
শরীর, কলকব্জা, মিথ, পাখি
আমি তার কিছুই না—
সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকি
দেখি, ওই শূন্যে—
ঝুলে থাকা ঘর
একটি আমার জন্যে—
অন্যটি চির অমর
এখানে মূলত আমি নাই—
ওগো, তুমি কেমন মেয়ে
আসলে তুমিও তো নাই—
দ্যাখো, নিজ সমস্তটা খুলে
আমাদের ছিলো না দিন—
অনিয়ন্ত্রিত যেন দুটি গাধা
তবু জলে তাকিয়ে উড্ডীন—
দেখেছি মাছের মাতা-পিতা
বস্তুত, এইসব কিছুর—
আছে কাজের কাজী
আমি যদি হুজুর—
তবে আল্লাহ কী?
আপনি ভেতরে আসুন।
হ্যাঁ, ভেতরে আসুন।
এবং তুমি আমার ভেতর আসো—
দমবন্ধ করে বসো কিছুক্ষণ
তারপর দেখো—
এই আমি, যাদু শেখাচ্ছি
কিভাবে পাতারা ধীর—
তার শিরাগুলো মেলে ধরছে।
যেন মানুষের লালা—
না মিষ্টি—না তেঁতো!
তুমি একটা গাছের মতো—
খানিকটা বাঁকা
এবং সোজা—
আমিও ঠিক ভেক ধরেছি সেখানে
যেন ফুল একটি উজ্জ্বল তরঙ্গ!
বাতাসে দুলছে কেউ—
তাকে ছুঁয়ো না—
এই বাসনা
রক্তিম, ঠক ঠক শব্দ করছে দরজা।
তুমি সেই পাখি—
যে বাতাস সুইং করে করে যাচ্ছে
তার ঠোঁটে
এবং একটা অবাধ্য সুর
তাকে টেনে ধরে রেখো না পেছনে
সে যাচ্ছে…
যে ফুল প্লাস্টিকের চেয়েও মূঢ়
আর মূর্খ মাথার চুল
গ্রাম থেকে এসেছে
উড়ে উড়ে—
তাকে বলো,
শহর কেবলই খাদ্য
তুমি যা খাবে আমিও তাই খাই
এবং সুইং করতে করতে—
আসো, আমরা একটা গান গাই
তোমার ঠৌঁটের উপর ছড়ানো
এটাই পৃথিবীর শেষ মহিমা।
আমার জুতা হারিয়ে গেছে।
এখানে—ওখানে, যারা জানতো—
তারা সুন্দরী ছিলো এককালে
কিন্তু পিতলের আয়না
সে রূপকথার মতো, আম্মা বলতেন—
বাছা, তোর তো পালাবার পথ নেই আর।
দেখ, প্রাচীন এই পেট—
তুই যখন এখানে থাকতি, অন্ধকার
তাদের ভালোবাসতি তুই
পানির ভেতর, মৃৎ—মৎস্য ছিলি আমার।
সমস্ত ঋতু দিয়ে বানানো সে পুকুর ঘাট
ও গোলাপ, ও জবা—
তুই কি শুধুই লাল?
যেন এই প্রথম লজ্জা—
আমাকে ছুঁয়ে মরে গেছে গতকাল!
তবু বলি আয়, আয় এখানে—
এই পেটের ভেতর—
আবার নতুন করে জুতা বানানো শুরু করি
তোর মতো এক পাগলের আশায়।
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
বিজয়ের সব মুহূর্তেই… তার অধিকার! কেন্দ্র হোক আর কেন্দ্রাতিগ বলের আসন; কেউকেউ বোরকায় রমনীয় সঙ্গানুসঙ্গের;…..
আমার প্রথম প্রেম কৃষ্ণচূড়া দ্বিতীয় প্রেম হলো ছাতিম। তুমি তবে আমার কী! তুমি যে আমার…..
এগুতে এগুতে দেখি ইচ্ছের বীজতলা অনাবাদী পড়ে আছে বয়সী প্রজাপতির কাছে কিছুই হয়নি জানা বিহ্বলতার…..