প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
সুতপা, তুমি চলে যাবার পর
আমাকে দিয়ে গেলে এক গ্লাস হতাশার
তরিৎ বিভব, পারদ সহিষ্ণুতা। তাই
সিগারেটকে ভালোবেসে ছিলাম বলেই
সে দিয়েছিল আমাকে এক বুক উষ্ণতা।
ভুলতে শিখিয়েছে পাহাড়সম কষ্টের
একাকীত্ত্বতা আর বিচ্ছেদের রঙে
ছড়িয়েছে ধূসর আলপনা ফুসফুস হতে
গোটা হৃদপিন্ডের রক্তিম ধমনী শিরায়,
তারপর স্নায়ুকে নেশায় করেছে জড়জড়িত।
বলো তো সুতপা, কি করে ছেড়ে দেই
এই বন্ধন? ভুলে যাই, পাহাড়সম কষ্ট!
ডাক্তার বলেছে, ফুসফুসের নাকি ক্ষয় হচ্ছে
আয়ু আজ পরমায়ুতে এসে বিচ্ছেদ টেনেছে।
যেতে হবে তাই চলে যাই, তোর গোগ্রাসে….
সুখ আর ভাল্লাগে না, চাই নিরাসক্ত ঘুম।
ঘুমের বড়ি রেখে গেলাম, তোর শিথানে
ডাক্তার যা দিয়েছিল রিয়েলাইজ স্লিপে।
থাক না জেগে নিশি রাতের চাঁদ,
দুঃস্বপ্নের মাঝে । জোসনাবিলাস তাই
ভাল্লাগে, সাথে ঝরা পাতার বিলাপ।
চল না বিচ্ছেদে ব্যবধান কমিয়ে
নেমে পড়ি কবিতার পুকুরে, স্নান শেষে
বিশুদ্ধতা নেই পাললিক কোষের পরতে পরতে।
একটা ৫৭০ সাবান, ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর একটি বাড়ি, আমার প্রিয় নদী মধুমতি কালের সাক্ষী।
নিথর পিতার শরীর থেকে ধুলোবালি আর এ জাতির পুঞ্জিভূত পাপ ধুয়ে মুছে ছাফ করেছিল ৫৭০।
বুলেটের আঘাত শরীরে শরীর পেতে নিয়েছিল যে ইতিহাসের বাড়ি ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর।
প্রিয় মধুবতীর কোলে বেড়ে ওঠা রাখাল বালকের
রক্তঋণ শুধিতে ব্যাকুল নদী ঘণঘোর বরষায় বার বার
কেঁদে কেঁদে ফুসলে উঠে, নদীতে জোয়ারের বান ডেকে
রাখালের শরীরের সকল রক্ত টেনে নিয়ে বুকে
সলিল সমাধিতে গড়ে দেয় চেতনার ভাস্কর্য।
পিতা তুমি আছো, মধুমতির জলে মিশে
চেতনার শরীর, তুমি ইতিহাস
পিতা আমার বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,
একটি বাড়ি আজ ইতিহাস হোল,
একটা ৫৭০ সাবান এ জাতির মৃত্তিকা শরীর
মুছে দিল পাপীষ্টদের হাতের স্পর্শ।
কতটা ব্যাথা বয়ে চলে, নিরবধি মধুমতি…
কতটা স্টেইগানের ট্রিগারের শব্দ শুনে
পাথর শরীর একটি বাড়ি।
ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর সড়ক কথার মিছিল।
ছোট্র একটা প্রজাপতির কাছে
ইদানিং পরাজিত হই নির্ভয়ে নিঃসংকোচে।
তারপর হই জড়জড়িত
তার অসম্ভব অসামাজিকতায়।
ঐ যে বুড়ো বটগাছ তার কাছেও
আমি আদ্যোপান্ত পাঠ নেই
ফেলে আশা অতীতের।
একটা শেফালী তার প্রথম যৌবনে
পা রেখে আমাকে উপহার দিয়েছিল
তার বয়ঃসন্ধির কারুবিন্যাস।
আমি মুগ্ধতায় মুগ্ধতায় তাকে
ভরিয়ে দিয়েছি অকথিত ভালোবাসায়….
আমি তার কাছেও চিরঋণী।
একটা প্রজাপতি, একটা বট গাছ
আর শেফালির কারুবিন্যাস
তারপর আজকের এই আমি,
কবি তুমি তোমাকে চিনতে পাচ্ছো!
ভরদুপুরে পুকুরঘাটে মাছরাঙার ঠোঁটে
কিংবা মরা গাঙের গাঙচিলের ডানায়
ভর করে পাড় করেছো কত উদাস দুপুর।
কিংবা যৌবন দেখানো উর্বশীর চোখে
চোখ রেখে প্রকৃতির কাছাকাছি।
জীবন হেঁটে যায় জীবনের ছায়াতলে,
একটা ছোট্ট প্রজাপতি একটা মাছরাঙা
কিংবা একটা ডাহুক একটা গাঙচিল
শেফালির প্রথম যৌবনের কারুবিন্যাসে
আমি আজ অবধি ব্যঞ্জনসন্নাস নিয়েছি।
হারিয়ে যাই আজ আমি। আমি পাঠ নেই
ফেলে আশা বসন্তের জটাধারী বটগাছের কাছে।
সমাজের কাছে একটা দায়বদ্ধতা
থেকে তোকে লিখছি, স্বদেশ
সমাজ বল আর তুই রাষ্ট্র বল, সবখানে
গরীবের রক্ত চুষে খেতে খেতে
রাত থেকে দিন এভাবে চলে,
উঁচু নিচুর ভেদাভেদ।
ক্ষুধা দারিদ্র্যের একমুঠো সকাল
রাস্তার পাশের ড্রেনের পানিতে
মুখ দিয়ে দিনের হালখাতা খুলে,
বিমুর্ত নাগরিক শহর কোলকাতা
দামী ফ্লাট আর গাড়িগুলো
এই অহিষ্ণুতার চাপ নিতে নিতে
ইদানিং গতি হারিয়ে হয়েছে বেপরোয়া।
ট্রাফিক জ্যামের কী দোষ!
যদি চাই আরও গাড়ি, ফ্লাট আর বাড়ি
কার্বন সিসায় বুক করে ভারী!
চুনসুর্কির পুরনো ভগ্নপ্রাচীরে
ধাবমান অচেনা পরগাছা নিয়েছে
আশ্রয়, প্রাণের অস্থিকলায়, আমি
এই কায়া এই ভষ্ম করেছি দান,
ভিখারি হয়েছি বলে, খুঁজেছি প্রাণ
ওগো প্রাণেশ্বর দেখা দাও ভূতলে,
আজি সোপেছি প্রাণ আমি নিরভয়ে।
দায়বদ্ধতা থেকে তোকে বলছি, স্বদেশ
মন ভালো নেই, তাই অসুখের কী দোষ?
এত এত টাকা, ফ্লাটবাড়ি ফাঁকা
এত এত নেশা, খেয়ে আছি সিসা
অবেলার শেষ খেয়ায় কে গরীব?
কে ধনী? আমি তুমি সবাই যে প্রজা।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..