প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
৫
ভ্রাম্যমান অতিথিরা তার কাছে নিত্য নৈমিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা
ঘণ্টা আর পর্বের দ্রুততা ,তৃপ্তিদায়ী রতির কৌশল ,
স্বৈরিনীর কারুকাজ ,উদার দরাজ দিল-খোলা খদ্দেরের
পালতোলা আকাঙ্ক্ষার আত্মাহুতির রোমাঞ্চকর
গতিবিধির সুতীব্র হুল্লোড় মোচ্ছব ,বধির টঙ্কার-গ্রস্ত
শিরায় শিরায় সৃষ্টি করা উদ্ভ্রান্ত ট্যাঙ্গো নাচ , চ্যাংদোলা
কামতটে সমুদ্রের উদ্দাম তরঙ্গমালা
ধরিত্রীর আদিম গহ্বর থেকে নিয়ে এসে আছড়ে’ দেওয়া
উভয়ের বিলোল শরীরে পৈশাচিক ক্ষুধায় ফুটিয়ে তোলা
আনন্দের ফুল , নির্ভুল নিয়মে অপর সত্ত্বায়
দ্রুত অজানা দুর্লভ বস্তু জন্ম দিয়ে সেই জন্মলগ্নে নিজে
সমাধিস্থ হওয়া নির্লিপ্ত মূর্তির মতো ,দলিত লাঞ্ছিত
তার নষ্ট লুণ্ঠিত অন্তর্বাসের দিব্য প্রতিলিপি ।
পাপ নয়, পূণ্য নয়, পরস্ব হরণ নয় ,প্রতারণা নয় ,
তার যথাসর্বস্ব লুঠেরাদের উদগ্র থাবায় অকাতর
আত্মসমর্পণ ক’রে অনৈচ্ছিক যৌনতার দেবী
নারীত্বের নির্যাস বিলিয়ে হয় নিজেই ক্রমশঃ ছিবড়ের মতো
পরিত্যক্ত সামাজিক দায়াবদ্ধহীন । লক্ষ্যমাত্রা তার
নিত্য নৈমিত্তিক ঘণ্টা আর পর্বের দ্রুততা ,বাড়তি খদ্দের ।
অলক্ষ্যে খোদাই-করা তার যৌনাচার অলৌকিক
উপাখ্যান হ’য়ে উঠে বুভূক্ষুর ক্ষুন্নিবৃত্তি কামের মৌচাক ।
রতির জোনাকে জ্বলে কাম-গন্ধ প্রমোদের রাত ,
মদ আর মাৎসর্যে মদির বিভোর পটে সূর্য নির্বাসিত ।
৬
কেউ আসে, বলা যায় অধিকাংশ আগন্তুক আসে
শরীরের শিরায় শিরায় তীব্র যৌনতার জ্বালা
প্রশমনের আশায় অসহিষ্ণু , তাৎক্ষণিক তাপস ,
স্বেচ্ছাচারে অসম সাহসী , স্বৈরিনীর অহংকারে
আপাদমস্তক নিমজ্জিত হ’তে হ’তে ক্রমশঃ
হ’য়ে উঠে অপব্যয়ী আত্মহননের দস্যু, ক্লীব
মেরুদণ্ডহীন ইচ্ছার সড়কে দ্রুত সংক্রামক
কামার্তির অন্ধ প্রেম, প্রতারক প্রমোদের নেপথ্য নায়ক ,
জীবন বন্ধক রাখে সর্বস্বান্ত জুয়াড়ীর মতো;
কেউ আসে প্রেমকে ঘোড়ায়-টানা টাঙা গাড়ি ভেবে
ভাড়া নিতে ব্যগ্র সওয়ারী উত্তেজনার কাঙাল ,
উপেক্ষিত একাকীত্ত্বের কবলে প’ড়ে কেউ আসে
অসহায় নৈঃসঙ্গ্য হত্যার জন্য বিরক্ত ব্যাকুল,
পথ ভুল করে কেউ ,তীব্র দুঃক্ষোভ-তাড়িত কেউ
চিত্তের শান্তি খুঁজতে আসে স্বীয় স্ত্রীর কাছ থেকে
বিরাগ-ভাজন, রহস্যের কৌতুহলে কেউ মগ্ন,
ভ্রষ্টলগ্ন প্রতিমার কাছে কেউ কেউ থেকে যায়
আজীবন অনুরক্ত আকণ্ঠ তৃপ্তিতে বুঁদ ,উদার সদয় ।
সখ্যতা খোঁজেন কেউ মর্ষকামী ভাষায় ভঙ্গীতে ।
শ্রমিক মজুর কুলি কবি শিল্পী আমলা কেরানী
সাংবাদিক অধ্যাপক ব্যবসায়ী মাস্তান পুলিশ
হকার বেকার দারোয়ান পর্যটক গুপ্তচর
বৈমানিক মাতাল জুয়াড়ী মোল্লা নাবিক ডাক্তার
যারা আসে প্রত্যেকের মন বুঝে ক্ষুধার তীব্রতা
বুঝে,প্রত্যেকের নিজস্ব পদ্ধতি প্রকরণে দ্রুত
সংগতি সাধন ক’রে সাবলীল অবলীলাক্রমে
তৃপ্তির সোপানে নিয়ে যায় সুনিপুণ দক্ষতায়,
এক নারী এতোগুলো ঝকমারির অলৌকিক গুণ
গুণান্বিতা হ’য়ে উঠে , সত্যই যা প্রশংসাভাজন
যার জীবন্ত যান্ত্রিক প্রথা গতানুগতিক ঊষর,
যারা আসে তারা তাকে নিংড়ে’ সুখ খুঁজে , তার দুঃখ বোঝে না।
যেন তারা বেদুঈন,তাঁবু গেড়ে উঠে যায় তাঁবুর তৃষায়
খাঁ খাঁ মনে, জীবনের ঝকমারি তাদেরকে করে যাযাবর ।
৭
যারা আসে তার কাছে তারা কেউ তার
জাতকুল যাচাই করেনা ,পরিচয় নিয়ে মাথা
ঘামায় না কেউ ,চরিত্রের অধঃপাত বিচার করার
তাগিদ রাখে না কিংবা ভুলে যায় সব
সামাজিক স্তরভেদ মর্যাদার মাপকাঠি ঠুনকো বালাই ,
চোলাই প্রেমের পাত্রী বিরাত্রির যৌনতার দেবী
বাছ-বিচারের ঊর্দ্ধে আসঙ্গের অভিশপ্ত ফুল
হ’য়ে উঠে টানটান টঙ্কারের তাদের অধীর
উদগ্র শিশ্নতা জুড়ে ,লক্ষ্যে ঘুরে ইন্দ্রিয়-সম্ভোগ
শুধু , রহস্য আরাধ্য নয়, কলঙ্ক কুলটা নয় ,
নারী শুধু নারী-মাংস লাস্যময়ী বিলাস্য বনিতা
বিচার্য বিষয় সেই নির্লজ্জ লম্পট লুঠেরা কপটচারী
পৌরুষের প্রার্থিত প্রেমের কামার্তির কাছে ।
খদ্দেরের জাতকুল
গণিকার বিচার করার
রীতি নেই ,শুধু দেহদান ক’রে যাওয়া ,অকাতর
অবলীলায় নিপুণ রতিদান ব্রত তার
নিষিদ্ধ গর্হিত কর্মে নরনারী পরস্পর অকুণ্ঠ উদার ।
এই বোধ অবশ্যই প্রশংসার্হ আর ধন্যবাদার্হ ।
সামাজিক পরিণয় চারিত্রিক অধঃপাত নয় , অশালীন
ক্ষুধা নয় , লিপ্সা নয় ,নিষিদ্ধ সংসর্গ নয়,তবু
নরনারী সম্পর্ক কুটিল চুলচেরা নিক্তিদণ্ডে কলুষিত
ইতস্ততঃ আপাদমস্তক ভেদবুদ্ধি আদর্শের মুখোশ পরানো ।
সমাজ জীবনে পরমা-পল্লীর প্রেমের সে মহত্তম বোধ
অর্থাৎ মানুষের জাতকুল দেখার কিছু নেই ,এই উদারতা
থাকতো যদি নিঃশর্ত ,সমাজ সত্যই তবে স্বর্গ বনে’ যেতো ।
৮
এই ব্যবসায়
নিত্য যোগ দ্যায় ঠিকে রূপসীরা
পূর্ব-নির্ধারিত ঘণ্টা আর পর্বের আস্তানায়
শহরের আনাচে কানাচে বিত্তবান অন্দর মহলে ,
সেজেগুজে সতী লক্ষ্মী পরমা সুন্দরী সরলা অবলা নারী
আখড়ায় হ’য়ে ওঠে অসহিষ্ণু ইন্দ্রিয়-সেবার
অনুরাগী মক্ষিকুল
যৌনতার গুলবাগে-ফোটা আত্মঘাতী রূপের অনলে নগ্ন সহচরী
ডানাকাটা পরী হ’য়ে যায় দালালচক্রের পণ্য
বন্য লালসার জন্য ফুলের তোড়ার মতো মাংসের চালান ,
আধুনিক ইন্দ্রিয়-সুখ স্বাচ্ছন্দ্য প্রসাধন জৌলসের তাঁবেদার অর্থের তাগিদে
নারীত্ত্ব ভাড়াটে হয় , সতীত্ত্ব ঘোলাটে হয় , ভ্রষ্টাচারী প্রমত্ত পৌরুষে ।
তবু ধন্য এই রূপসীরা নিষিদ্ধ পল্লীতে গণ্ডীবদ্ধ নিগ্রহে পচে না ।
( ক্রমশ)
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..