প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
লোভীর মতো আয়নার কাচে জরিপ করছি নিজেকে – পরমার্থের খোঁজে।
পারদ জন্মকালেই কষেছিল ছক, তার তীব্রতায় শুধু ‘আমি’কেই উষ্ণ করা যায় ভেবেছে প্রলাপ।
এই যে, দাঁতের খাঁজে উঁকি মেরে পড়ে থাকে শকুন চিলেদের আঁতুর – গলার হাড় গ্রীবায় ধূর্ত শেয়ালের কুতকুতে লালসা।
স্তন ভাঁজে রিক্ত কত ছেড়ে আসা প্লাবনের সুখ, বৈভবে কালো তবু নাভিমূলে দুপুরের শ্রান্ত জিজ্ঞাসা।
পরমার্থই বটে এসব!
হিংস্র কামনায় পুরুষাঙ্গ, লাস্যে পিচ্ছিল যোনিমুখ, কাদামাখা জলে ধুয়ে সাফ অপাঙতেয়ের জঠরও — আমাদের অহংকার, ম্লেচ্ছতার দায়, গাঁজাখুরী গল্পের ছাঁচে সরকারি পরোয়ানা
তবু আছি ‘আমি’ দাঁড়িয়ে আয়নার পর্দা নেমে আসে নতমুখ।
শেষরাতে প্রেমিকের বুকে ছায়া ফেলেছিল জ্যোৎস্না বিষম – ব্যর্থ আদরে বুদবুদ হয়ে ভালোবাসা ঠিকানা হারিয়ে বলেছিল, কঠিন এক অহম জড়িয়েছ খোলসে – আসলেও তুমি নগ্ন নও প্রিয়তমা।
আসলেই আয়নাতেও সুচারু রূপেই দৃশ্যত হয়ে আসে আমাদের আবৃত দেহ সৌষ্ঠব।
উদোম নকল আমির খোঁজ হয়ত পরম ব্রহ্মাও জানেন না।
সেও তো সেই খুঁজেছে গোপন কম্মোটি – ছল আহাম্মকী!
ভোরের নৈঃশব্দ্য চিরে শান্ত শিউলি আর মাতাল বকুলের টুপটাপ শব্দ কুড়িয়ে নেবো ভেবেছিলাম, তোমার বুক ছুঁয়ে।
হয়ত ধমকে বলতে, দগ্ধ চৈত্রের শেষ আর শিশির মাখা ঘ্রাণের তফাত কী আজও বুঝবি না সু…!
এখন যে ঝড়ের বৈশাখ, আমের মুকুলের সদ্য রঙিন সুবাস। এর ভিতরেও ছত্রের প্রতিপাদ্যে আমার নিঃশ্বাসে তলিয়ে নিস একমুঠো জীবন-প্রত্যাশায়।
প্রতারক গোলাপকাঁটার মোহনীয় চতুরতায় আমার আঁচল আটকে যায় নীল, ফিনকির চেয়েও বেশি বিভীষিকা এই শোণিত ধারাপাত।
টুকরো টুকরো হতে থাকে আমার জিজীবিষা – তোমার দ্বিখন্ডিত পাঁজর বেয়ে শিউলির মালা, প্রিয় গন্ধরাজ
আমার একলা আকাশ অনন্তের অনুনাদ সপ্তম সুর মূর্ছনায় –
সানাই এর অস্তরাগে এসময় ইছামতীর নির্বাক দৃষ্টিসুখ।
মাঝি বৈঠা বাওয়া থামাও। চাঁদের আলোর মতো গলতে থাকি তোমার বিস্ময়ে – তুমি থেকো অপলক।
পরিণত ঝিঙেফুল বোঁটা থেকে ঝরে পড়ার কালে মাটির হৃদস্পন্দন গভীর ওমে বিগলিত হয়।
সর্ষেক্ষেতকে থামিয়ে রেখে আমাদের ঠোঁট জোড়া নড়ে ওঠে। দূরে সন্ধে নেমে আসে জলভূমি ও আকাশের সঙ্গমে।
তোমার বৈঠা থেকে উৎপন্ন ছলাৎ স্বর আমার নিবিড়তার ধৈর্য্য চ্যুতি ঘটায়। মাছরাঙার স্থির দৃষ্টি কেঁপে যায়।
আমাদের স্পর্শে জলের আভরণ বৃত্ত আঁকতে আঁকতে বৃহৎ মিলনক্ষেত্র – ভাঙনের শব্দে তীর জাপটে থাকুক শিকড়।
তুমি শুধু নিষ্পলক ঠোঁটে গান গেয়ে যাও।
ভূমিহীন আমি সাবাই ঘাসে ঘর ছাই।
একতারাটা এইবেলা উদাস যাপনে রয়ে যাক অব্যবহৃত।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..