প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
হৃদ্-বিষাণ / ১
পলি সরিয়ে সরিয়ে নদীর অতল থেকে
তুলে এনেছিলে মেঘ থেকে খসে পড়া
বজ্রবিদ্যুৎ ৷
আর কেউ না জানলেও জোছনা জানে
শরীরের পিপাসায় আজও ঢেউ তোলে
বীজমন্ত্র
যার প্রতিটা উচ্চারণ তুমি সাজিয়েছিলে
দু’ঠোঁটের আলিঙ্গনে ৷
হৃদ্-বিষাণ / ২
আলো নয় , একটা গহীন অন্ধকারের ভেতর
দেখতে পাই
জলজকুসুমে বালির ভাস্কর্য – পাই
নরম খইয়ের মতো স্পর্শ-সম্মোহন ৷
আমার শীতের ভেতর যে বর্ষা আছে
তাতে কী এখনও ভেজো তুমি লুকিয়ে ?
ভাবতে ভাবতে উড়ে আসে চুমুর চাবুক
আর ঘুঙুরের মতো বেজে ওঠে স্মৃতি ৷
হৃদ্-বিষাণ / ৩
সময় অলংকার খুলে রাখলে ফুটে ওঠে
জোছনা-জোনাকিদের মিহি মোলাকাত ৷
সমুদ্রসাঁতার অভ্যেস হয়ে গেছে –
ঢেউ-আঁকা স্পর্শ আমি গুছিয়ে রাখি
কোলবালিশের উষ্ণতায় ৷
ঘুম গাঢ় না হলে লাফ দিয়ে উঠে আসে
সোহাগ-ফড়িং , নত হয়ে বসে আমার
হৃদয়ঝোরায় ৷
হৃদ্-বিষাণ / ৪
কখনও কখনও তোমাকে
একটা হারিয়ে ফেলা পান্ডুলিপির মতো মনে হয় ৷
অক্ষর থেকে অক্ষরে ভেসে ওঠে
শূন্যতার নিভৃত উন্মাদনা – আঙুলের ডগায়
খুঁজি উষ্ণ নিঃশ্বাসের কবিতা আর
রুপোলি রাতের নিঝুম ইন্দ্রজাল ৷
হারিয়ে ফেলা কবিতারা তোমার একেকটা চাউনির মতো –
দেখা যায় , পড়া যায় না…
হৃদ্-বিষাণ / ৫
আমার যাবতীয় উৎসব তোমার শেষ পদচিহ্নের নীচে
চাপা পড়ে আছে ৷
তাই তো প্রহর জুড়ে বিষাদবন্দিশ…
ভোরের শিউলিতলায় ভেজা ভেজা স্বপ্ন কুড়িয়ে রাখি
বুকপকেটে আর ছাইয়ের সাথে মিলে যায় ছাই ৷
আগুনের কাছে আমার সমর্পণগুলো
কাগজের নৌকায় ফিরে আসে পর পর , আমার
ভ্রষ্ট কবিজন্মে ফণা তুলে দাঁড়ায় শিশিরভেজা প্রেম ৷
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..