আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
জল এবং আগুন ছাড়া প্রকৃত বন্ধু কে?
পাহাড় ও সমুদ্র সম্পর্কে মোহভঙ্গের পর
আবার অরণ্যের কাছে ফিরেছি।
আমাদের প্রতিবেশী -জোনাকি, প্রজাপতি
আর মারাংবুরু। আছে বুধিয়া, হপন, পানমনি।
শাল, মহুয়া, কেন্দু গাছের ছায়ায়
সুখ-দুঃখের গল্প হয়।
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে শুনি
জলের শব্দে, পাতার শব্দে উৎসারিত গান, দিন ফুরিয়ে গেল। কে নেবে ?
কাকে দিয়ে যাব বাউল এই মনের একতারা।
কোথায় যাবে সেই ধ্বনির প্রবাহ-অলৌকিক ভোরে, অপূর্ব গোধূলি বেলায় আকস্মিক
আমি যার সন্ধান পেয়েছি।
বৃষ্টির পর প্রিয় লেবু গাছের পাতায়
খেলা করে দুষ্টু-মিষ্টি ছেলে মেয়ের মত রোদ। ঘরের অন্ধকারের ভিতর ফিরতে
আর চাইনা। যে মৃত শব্দগুলো
আমরা ছোড়াছুড়ি করেছি তার আঘাতের ক্ষত দেখতে দেখতে ভাবি
টলমল পায়ে হেঁটে বেড়ানোর
কেউ যদি থাকতো!
মাঝরাতে বাড়ি ফিরি।
রেলব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ঝমঝম শব্দে মন অন্য এক ভূবনে পৌঁছে যায়। পথ যেন বাঁক খেয়ে
আকাশের দিকে উঠে গেছে।
মাঝে মাঝে রাত্রিচর পাখি আর
শেয়ালের ডাক
পথকে অসম্ভব দীর্ঘ করে তোলে।
পথের দুপাশে এসে দাঁড়ায়
শূন্য ঘরের দীর্ঘশ্বাস আর
অতিক্রান্ত দিনগুলি, রাতগুলি।
শ্রবণ ও দর্শন ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর
লাঠি ঠুকে ঠুকে পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্ক
রাখার চেষ্টা করেন প্রবীণ শঙ্করলাল।
জল, মাটির স্পর্শে তার ভিতরের কৃষক
সঞ্জীবিত হয়ে ওঠে। যে সবুজকে চোখে
দেখতে পাননা তাকে অন্তর দিয়ে সৃষ্টি করেন, পাখিকে ডাকেন, পতঙ্গের মুখে
ভাষা বসান।
পুরানো জ্ঞানের ঘষামাজা করতে করতে নতুন এক মাঠের সন্ধান করেন।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..