দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
ঘড়িতে তখন রাত্রি ন’টা বাজে। ক্লাস ফাইভে পড়া দশ বছরের ছোট্ট সৃজন আজকের মতো পড়াশোনার পাঠ সাঙ্গ করে দেখবে বলে সবেমাত্র ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলটা চালিয়েছে। পাশে সোফায় বসে বাবা শ্রেয়াণ মুখার্জি একরাশ অফিসের ফাইলে মগ্ন।
এমন সময় সৃজনের মা তনুজার চিৎকারে শ্রেয়াণ চমকে ওঠে।
অাবার কি হলো..?
দ্যাখো দ্যাখো তোমার গুণধর ছেলের কাণ্ড! স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে দিতে গিয়ে দেখি নোটবুকের মধ্যে রাখা দশ বছরের ছেলের লেখা প্রেম পত্র…..
কী যা তা বলছ?
আমি ঠিকই বলছি। এই দ্যাখো… গার্লফ্রেন্ডের নাম ‘প্রকৃতি’।
কই দেখি দেখি… তাই তো এ তো আমাদের বাবুর হাতের লেখা, প্রিয় প্রকৃতি বলে চিঠিটা লিখে নিচে আবার বাবু নিজের নামও লিখেছে… ইতি, তোমার আদরের সৃজন।
কী সর্বনাশ!
ওইটুকু একটা পুঁচকে ছেলে, যাকে কিনা এখনও নাইয়ে দিতে হয়, খাইয়ে দিতে হয়… সে কিনা প্রেম করছে?
এবার দু’জন মিলে ছেলেকে জেরা করতে শুরু করলে…
বল এই ‘প্রকৃতি’ বলে মেয়েটা কে? কোথায় থাকে? কত দিনের পরিচয়? বল হতচ্ছাড়া ছেলে….
আচমকা বাবা মায়ের রণমূর্তিতে সৃজন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আমতা আমতা করে বললে, ‘আসলে প্রকৃতি আমার স্কুলের একটা…’ ব্যাস আর যায় কোথায়! পুরো কথা শেষ হবার আগেই তার পিঠে পড়ল উত্তম মধ্যম ধোলাই।
এরকম অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর সবাই অভুক্ত। বেচারা সৃজন আজ মার খেয়ে কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়েছে। ওদিকে শ্রেয়াণ আর তনুজার দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উবে গেছে। পড়াশোনা, খেলাধূলা, কো-ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটি সবেতেই সৃজন স্কুলের টপার- সে কিনা এরকম একটা কাজ করে বসল?
অনিদ্রার রাত্রির অবসান হল সকাল ৭টায় শ্রেয়াণের মোবাইলের একটা কল আসায়।
শ্রেয়াণ কল রিসিভ করতেই ও প্রান্তে একজন বলে উঠলেন.. হ্যালো, মিস্টার শ্রেয়াণ মুখার্জির সাথে কথা বলতে পারি?
বলছি…
আমি সৃজনের স্কুলের প্রিন্সিপাল বলছি…
শ্রেয়াণ ফোনটা লাউডে দিল।
হ্যাঁ, বলুন ।
মিস্টার মুখার্জি আপনার ছেলে সৃজনের জন্য আমরা ভীষণ ভাবে গর্বিত।
আমাদের স্কুলটি আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধু মাত্র সৃজনের একক প্রচেষ্টায়।
স্কুল বাউণ্ডারির ভিতরে অযত্নে পড়ে থাকা জায়গায় নিজের হাতে গাছ লাগিয়ে, পরিচর্যার মাধ্যমে তিল তিল করে গড়ে তুলেছে তার এই ড্রিম প্রোজেক্ট… ‘প্রকৃতি’। স্কুলের রুক্ষ মাঠটাও সজীব হয়ে উঠছে। পরিবেশকে ভালো রাখতে এবং গাছ লাগানোর জন্য অন্যদেরও সে মোটিভেট করেছে।
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে স্কুলে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আছে। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে সৃজনকে আমরা সেরার সেরা পুরস্কারটি তুলে দেব। অনুষ্ঠানের শেষে একটা চ্যানেলের পক্ষ থেকে সৃজনের ইন্টারভিউ নেবে তার এই সৃজনশীল কাজের জন্য। প্রকৃতিকে কি করে আরও সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে সে বিষয়ে আজ ওর একটা সুন্দর বক্তৃতা আছে… ‘প্রকৃতি – আওয়ার ড্রিম প্রোজেক্ট’। চিঠির মতো করে লেখাটা আমি পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেছি। ‘সৃজন’ যথার্থই ওর নামকরণ।
সৃজনের ক্লাস টিচার স্কুল নোটবুকের মধ্যে ইনভিটেশন কার্ড পাঠিয়ে দিয়েছেন… আশা করি নিশ্চয়ই পেয়েছেন। তবুও ব্যক্তিগতভাবে আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখলাম… সকাল দশটার মধ্যে সৃজনকে নিয়ে স্কুল অডিটোরিয়ামে উপস্থিত থাকার জন্য।
প্রতি নমস্কার জানিয়ে শ্রেয়াণ ও তনুজা অপরাধীর মতো ঘুমন্ত সৃজনের দিকে চেয়ে রইলো। গতকাল রাতের কৃতকর্মের জন্য বাবা মা হিসেবে তারা জুয়েল ছেলের মুখোমুখি হতে পারবে তো?
উন্মুক্ত জানালা দিয়ে আসা সকালের মুক্ত বাতাসে তখন পত্ পত্ করে উড়ছে সেন্টার টেবিলে রাখা দশ বছরের ছেলেটার কাঁচা হাতে সুন্দর করে লেখা ‘প্রকৃতি’কে খোলা চিঠি।
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..