নদী যেখানে
মরে যাওয়ার আগে স্বপ্ন দেখছি ঘুমের আগে ভাবি কোথাও অদেখা থেকে গেছে পিপাসার্ত নদী আর…..
ভেসে যাচ্ছি তরল বায়বীয়ে, দানাদার বুদবুদে!
ভোরের ঘোরলাগা অস্থির মজ্জা-শরীরে…
একটা রাতজাগা পাখা এনে দাও না রাতের শিশির?
নাহয় কিছুক্ষণ বুঁদ হয়ে থাকি, সুরের বারামখানায়
অকারণে কান পেতে থাকি তাহাদের লহরীতে
মানবীয় মিশ্রণে গমকে ঠমকে কাঁপি অদ্ভুত ব্যথায়
কাহারবা অতলস্পর্শে ভাসি জ্বলদ সেতার সংযোগে…
আলোর রোশনাইয়ে সমস্ত আদর খুইয়ে অনাদর দেয়ালের পাঁজরের হাড়ে
মৃত সঞ্জীবনী খোঁজে! ঝকমারি বাজারি আলোয় বিঁধে যাচ্ছে
তার না-মানুষী অস্থির মন…
একদা সেও এই আলোর চমকে অজস্র ঝিকিঝিকি লাল-নীল পাথরের চোখে
উড়ন্ত জোনাকির আলোয়ানে ঠোঁটের সীমানা পেরুতো!
সমুদ্রের কাঙাল ঢেউয়ে দুপুর-রাতের বিকলাঙ্গ অস্থিরতায় থির থাকতো
এখন না-মানুষী শরীরী অবয়বে গভীর খাদের উপর ভালোবাসার অন্ধ সফলতায়…
স্তব্ধ শ্বাসে…প্রস্তুত হয়…অতল গহ্বরে, অলৌকিক তারাদের মাঝে মিশে যেতে…
অথচ ভালোবাসা সম্পর্কীয় গ্রামের সেই অবিশ্বাসী পুরুষ যুবাটি কপালে তিলক এঁকে
তখন মন্ত্র আওড়াচ্ছে প্রতিমা বিসর্জনের!
মরে যাওয়ার আগে স্বপ্ন দেখছি ঘুমের আগে ভাবি কোথাও অদেখা থেকে গেছে পিপাসার্ত নদী আর…..
ঝড়ের মুখে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে! ঝড় এসেছে, ঝড় আসছে- ঝড়! ফেস্টুনটাকে ভাগাতে ভাগেতে তেড়ে আসছে…..
মাধুকরী জানলা দিয়ে ভিক্ষুকের মতো চাঁদ উঁকি দেয় রমণীর শরীরী হরফে। রাত্রির নগ্ন পেয়ালায় মহুয়া…..
উনি আমাদের গেরামকেএলেন, আমাদের দাওয়ায় বসলেন, আমার ঘরে দাওয়াত খেলেন। যাবার আগে, আমার ল্যাংটা, নাকে…..