প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
শুধু একবার চারদিকে চেয়ে দেখি কেউ দেখছে কি না,
তারপর একফাঁকে ডুব দিই আজকের ইতিহাসের কোন তারিখে,
পাথরের পর পাথর, স্তরের নিচে স্তর ভেঙ্গে ভেঙ্গে,
শিহরিত হই,
আমার নখের কোনে কোনে আটকে যাচ্ছে,
এই সময়কার কোন মানুষের শব্দ, কোন মানুষীর নিঃস্তব্ধতা,
তারাও বলত কথা, ভাষায় হারাতো শব্দ,
আত্মা বলে কিছু থাকলে থাক, শব্দেরা জমাট বেঁধে ফসিল হতে চায়।
আমি প্রস্তরীভূত শীতঘুম ভেঙ্গে তুলে আনি সেই সব শব্দ,
অনেক, অনেক, অনেক…
কিছু বিরক্ত, কিছু স্নিগ্ধতা – পৃথিবীর কোষে কোষে,
একজন কবিই পারে আঁকতে তাদের অশ্রুর রং;
শব্দের প্রকান্ড বিশ্বাস, নিখুঁত সাজানো…
কে বলে কবি’রা শব্দ চুরি করে না?
তোমায় ভালবাসার দিনেই তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম – এ কার আংটি?
মাঠের ভিতরে দমকা হাওয়া আর হাওয়ার ভিতরে নিহিত যে আংটি,
জলের ভিতরে মাছ, আর মাছের ভিতরে হারিয়েছিল যে আংটি,
একটা অনেক পুরানো ঘরের ভ্যাপসা গন্ধে ঠাসা দেরাজে যে আংটি,
অনেকটা পরমায়ু নিয়ে সন্তুষ্ট বসন্তের ভিতরে ঝরে যায় যে আংটি।
তুমি পেলে কোথায়?
তুমি কি ঘুমপাড়ানির পাঠশালায় ছিলে কোনদিন?
তুমি কি নিঝুম দুপুরে দাঁড়িপাল্লায় ছিলে কোনদিন?
তুমি কি মিঠাইওয়ালার দোকানে;
কিংবা ঝরে পড়া বাঁশপাতার বাগানে,
অথবা অসম্মতির প্রেমপত্র আঙুলে জড়িয়ে অপেক্ষা করেছিলে কোনদিন?
তবে এ আংটি তোমার প্রাপ্য।
তোমার চোখে ভাসমান জাদুকরী দ্বিপ্রহর।
আমি হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে পারি; তবে;
যাব কি না, সেটা তুমিই আংটিধারী ঈশ্বর হয়ে নিদান দাও।
এখানে এক নাচঘর ছিল,
আর নাচঘর ছিল যখন বাঈজী তো ছিলই,
ধরে নাও এক অসমাপ্ত গল্পের শুরুটা এভাবেই জম্পেশ হয়।
তারপর আর কি?
অবধারিত ভাবেই এসে পড়ে সুরা, বেলোয়ারী কাঁচের ঝিলিক;
নেশাগ্রস্ত আভিজাত্য।
আরে এভাবে নয়; শুধরে দিতে চায় সম্পাদক,
পাবলিক খাবে না; আরো কিছুটা মননশীল, সামান্য রগরগে,
কাউকে না কাউকে তো সতীচরিত্র উপহার দাও।
আমি বাসি বেলফুল সরিয়ে দেখলাম,
একটা খাগের কলম; তখনও নিবটা ভোঁতা হয়ে যায় নি,
রংচটা কাপে©টে বস্তুত দন্ডপ্রাপ্তর মত অবস্থান করছে।
আমি তুলে নিলাম; আভিজাত্য হারিয়ে।
বাঈজীরাও কবিতা লিখত?
সেগুনডেহারির জঙ্গল দেখতে যাওয়া বড় মহৎ কাজ নয়,
পায়ে চলা অসংখ্য পথ আহ্বান জানায়,
‘এই দিকে, এইদিকে, এ পথে এসো’।
আমি জানি, কিন্তু আলাদা করে পথ চিনতে পারি না।
গোধূলী নিভে এলে মনে হয় – সব পথের চরিত্রই এক; সমান।
সব পথেই জারুল, সব ক’টা গলিপথেই মহুয়া।
তবুও আমি কানের পাশে হাত রেখে শোনার চেষ্টা করি,
যদি এখনও কেউ বলে;
‘আয় সমু, আমি এইদিকে’;
‘ভয় পাস না’ বলার মত জঙ্গুলে পথ আছে নাকি?
সেগুনডেহারির জঙ্গল ভ্রমণ আর হয়ে ওঠে না,
হয়ত ফিরতে পারব না আমার শহরে,
ঠিক যেখান থেকে এই জঙ্গলে আসতে চেয়েছিলাম আমি।
বিকেল নিভে আসছে; আর আমি বুঝে যাচ্ছি,
শহরের সাথে বিশেষ কিছুই পাথ©ক্য নেই এখানকার।
আলপথ ধরে হেঁটে আসছিলাম; দেখলাম;
আমার ছোট্ট মা তার ফুলুমাসীর সাথে –
তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালাতে ব্যস্ত, সদ্য কিশোরীর ফ্রকে,
সামান্য নারী হবার উপবীত ধারণ।
পিঠজালীর মাঠে দাঁড়িয়ে সে কোন রাখাল,
আমার মায়ের দিকে তাকিয়ে একদৃষ্টে;
ফুলুমাসীর কাজলচোখ এড়িয়ে মা-ও তাকানোর অবকাশ পায়।
কিন্তু ঈশ্বর রাখালকে আমার বাবার সম্মান দিতে চান না।
তাই মায়ের বিষণ্ণতা দেখি, দেখি হিমশীতল মাঠে –
একটা দুটো খড় উড়ে যাবার দৃশ্য,
এখনি কমলার গোলা হয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন সবিতা।
আমি পাশ কাটিয়ে যাবার আগে,
রাখালের দিকে তাকাই, তার ক্লান্ত চোখে শেষ বসন্ত আঁচল ছড়ায়।
জানলাম এ প্রায় ষাটবছর আগের এক গ্রাম।
ষাটবছর আগে নিভে যাওয়া প্রথম ভালোবাসা।
ষাটবছর পরেও জানতে চাইব না আর।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..