আপ্লুত রজনী
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
মন খারাপের রোদের মাঠে
দাঁড়িয়ে যে রই অনুক্ষণই
অবর্ষিত জমাট মেঘে
আঁখির কোনে বর্ষণ এলো
তুই এলিনা অপ্রণয়ী!
চাঁদমুখী তোর অচুম্বিত অধর খানি
অগম্য এক স্বপ্নাকাশে
অনুধ্যাণই রয়ে গেল;
সত্যাচরণ কবির করে
আর হলি না সীমন্তিনী!
অনুদ্দেশের যাত্রা পথে মন হারালে
ধর যদি আর খোঁজ পেলি না
পারবি কি আর থাকতে রে তুই
চুপটি করে অন্যমনা!
অকিঞ্চণ এক ক্লান্ত পথিক
নিখিল ঘুরে ফিরলো না আর সন্ধ্যালোকে
মেঘের আড়ে রইবি কি তুই সুখচ্ছায়ায়
অনাঘ্রাতা-সচঞ্চলা!
মন খারাপের রোদের মাঠে
কাষ্ঠ হৃদয় তপ্ত উনুন
জল পড়ে না বিন্দু কণা
মন শুকিয়ে পাথর হলো
দৃষ্টি তবু পড়ল না তোর
চন্দ্রবদন সুনয়না!
জলের স্বচ্ছতায় দেখি তোমার অবয়ব
শিশিরের বিন্দু শতেক দানায় মিলে মিশে
জল বালিকার বেশে ডাকছো আমায়।
আমি সেই শিশির দেখব বলে
জেগে আছি নির্ঘুম এক’শ একুশ রাত
নির্দিষ্ট এক ভোরের প্রতীক্ষায়;
তাই পা ফেলিনি নরম দুর্বায়,
ছুঁয়ে দেখিনি মুক্তোর দানা,
তাকিয়েছি দূর থেকে; যদি শুভ্রতা হারাও!
জ্যোৎস্নাবতী মেয়ে
কৃষ্ণ রাতের গহ্বর পেরিয়ে
তুমি কি আমায়
অমরত্বের কাব্য লিখাবে!
এক বুক শূন্যতায় বসত গেড়ে
নিজেকেই খুঁজে ফিরি অহর্নিশ-
আজ আর কোথাও নেই আমি।
কতটা সময় গেলে প্রতীক্ষার প্রহর সমাপ্ত হয়
তুমি জানতে না বলে
শূন্যে বেঁধেছি ঘর অনাদিকালের প্রতীক্ষায়।
জানিনে কখন কিভাবে
হেরে গেছি জীবনের কাছে অথবা প্রতীক্ষার কাছে,
ক্লান্ত পথিকের দিন চলে গেছে সীমাহীন
ফিরে গেছে অগনন রাত
চোখে চুমে অনিদ্রার ছোঁয়া।
ঝাপ তোলা বাতায়নে নয়নে নয়ন মেলে
বাকহীন জলকল্লোল কবেকার স্মৃতি;
ধুসর আঙ্গিনায় পাখা মেলে যায়,
ফিরে বুঝি আর আসবে না কোনো দিন-
এ শুধু তোমারই অবিমৃষ্যকারিতা।
কাঠ-ফাটা রোদ্দুরের তৃষ্ণার জল,
তুমি কি আমার শূন্য জীবনের অংকটা মিলিয়ে দেবে?
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
ভালো আছো, ভুলে আছো একটাই আঙুল একটাই সেতার যতোবার সুর তুলি তোমার নাম ততবার একটাই…..
প্রতীক্ষিত প্রেম চোখের চাহনিতে গভীর প্রণয় অন্তরে তৃষ্ণা সুধায়, একপলক দৃষ্টি আকুলতার নিঃশ্বাসে প্রতীক্ষার অন্তিম…..
মাঝরাতে বেড়াবার একদিন মাঝরাতে ঘুরে বেড়াবার ইচ্ছা হলো আঁধারে কপাল ঠুকে বেরিয়ে পড়লাম সটান দূরের…..