প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
ইদানীং মনের পাহাড় ডিঙ্গোতে পারিনা
তাই নির্ঝরিণী স্পর্শহীনতায়
অবাক তাকিয়ে রয়।
ইদানীং রাত জেগে
শঙ্খচিলের কান্নার শব্দ শুনি
বড় বেশী ভয়ঙ্কর তার প্রতিধ্বনি।
ইদানীং দুঃস্বপ্নের বারান্দায়
অচেনা পায়ের আওয়াজ
বড় বেশী আতঙ্কিত করে তোলে।
ইদানীং দুঃসহ স্মৃতির হাতুড়ি
ভেঙ্গে করে চুরমার
বেঁচে থাকার মহামন্ত্রধ্বনি।
ইদানীং বড় বেশী ভয় কুরে কুরে খায়
দুঃস্বপ্নের বারান্দায়
অচেনা পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়।।
ইচ্ছে করে দিন দুপুরে
তোমায় নিয়ে তাল পুকুরে সাঁতার কাটি
ক্লান্ত হয়ে জলের প’রেই ঘুমিয়ে পড়ি।
ইচ্ছে করে বিকেল বেলায়
তোমায় নিয়ে শিমুল তলায় দাঁড়িয়ে থাকি
পুষ্প ঝরে আব্রু ঢাকে যুক্ত শরীর বুক অবধি।
ইচ্ছে করে জোৎস্না রাতে
তোমায় নিয়ে বেরিয়ে পড়ি
খেয়া ঘাটে গাঁয়ের মাঝির বাঁশি শুনি।
ইচ্ছে করে মধ্যরাতে
তোমার সাথে বাজি ধরি
এক লক্ষ চুমুর বাজি
তুমি জেতো আমিও জিতি।
পোড়াবে যদি অনলে তোমার
কেন তবে শান্তি দিয়েছিলে?
ভাসাবে যদি অথৈ জলে
কেন আপন ঝর্ণায় নাইয়েছিলে?
নিঃশ্বাস যদি বিষিয়ে দিলে
কেন বাতায়ন খুলে দাঁড়িয়ে ছিলে?
দৃষ্টি যদি ফিরিয়ে নিলে
কেন মায়াবী চোখে তাকিয়েছিলে?
অধর যদি সরিয়ে নিলে
কেন তবে চুম্বন এঁকেছিলে?
তেপান্তরের মাঠে শরতের কাশবন
ডেকে বলে মেঘ হও।
আমি পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘের মতো
উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে দেখি
জোছনায় খাবি খায় ধরণী
অথচ শূন্য চাঁদের পেয়ালা বুকে
নিরাশার রথে চড়ে ধুকে ধুকে মরে
বঞ্চিত যুবা-অসহায় নারী।
ভাসমান মেঘ বেদনায় ডানা ঝাপটায়-
চ’লে যেতে চায়।
কাশবন হাতছানি দিয়ে বলে;
ফিরে আয় মেঘ, ফিরে আয় অভিমানী।
আমি বলি, মেঘেরা ফেরেনা-
শত কষ্টের জলকণা বুকে
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
উড়ে চ’লে যায়-বহুদূর অজানায়;
পিছে ফেলে বিরাণ চরাচর, কাশ বন
আর জোছনায় খাবি খাওয়া
নিষ্ঠুর-অসাম্যের পৃথিবী এক।।
ত্রস্ত পায়ে ব্যস্ত হয়ে
সঙ্গোপনে কার পিছু ধাও
সে বুঝি আজ সবাই জানে।
সেই যে গেলে সাড়ম্বরে
সকল বাঁধন ছিন্ন করে
বীণার তারে সুর লাগিয়ে
সে কথা যে সবাই জানে।
জারুল বনে দাঁড়িয়ে ছিলাম
যাবার পথে দেখব বলে
দৃষ্টি তোমার পড়ল বুঝি
কৃপণ চোখে একটুখানি
ঈষৎ আলোয় কেউ দেখেনি-
শুধুই আমি।
রুক্ষ জীবন ধুলোয় মাখা
যতন করে হয়নি দেখা
রুদ্ধশ্বাসে ছুটছে সে যে
করছে বরণ যন্ত্রণাকে।
আজ যে আমার বুকের মাঝে
কিসের যেন যন্ত্রণা হয়
মন্ত্রণা দেয় হৃদয় ভাঙ্গার
জানবে না তো আর কোন দিন।
মস্ত স্মৃতির পাহাড় গুলো
কি করে যে বানিয়ে ধুলো
একলা আমি এতটা পথ পেরিয়ে এলাম
কেউ জানে না।
কিসের আশায় বলতে পারো
জ্বালিয়ে ছিলাম সান্ধ্য প্রদীপ
আসবে বলে সাঁঝের বেলা
আসলে না তো?
সেই থেকে যে রয়ে গেলাম
অন্ধকারের সঙ্গী হয়ে
কষ্টগুলো গুছিয়ে নিলাম
হৃদয় মাঝে যতন করে।
সেই তুমি আজ ফিরবে বলে
ডাক পাঠালে সঙ্গোপনে
কিসের আশায় বলতে পারো
এই যে তোমার ফিরতে চাওয়া
কিংবা ধরো পিছু ধাওয়া?
ত্রস্ত পায়ে ব্যস্ত হয়ে
সঙ্গোপনে কার পিছু ধাও
সে বুঝি আজ সবাই জানে
আমি শুধু বুঁদ হয়ে রই
অযুত-নিযুত অভিমানে।।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..