দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
স্থির হতে পারিনি
স্থির হতে পারিনি, কখনো
স্ট্রবেরি ওষ্ঠে কী কারো ভ্রু’র পুস্পদ্যানে
স্থির হতে পারিনি, কখনো
উত্তরাধুনিক স্তনে অথবা ঊরুতে, কোথাও।
নিটোল নাভিতে কিংবা বিস্ময়ভরা বুকে
প্রেমিকা কি পতিতাপাড়া, কোথাও
দু’দণ্ড দাঁড়াতে পারিনি, কোনদিন।
ব্যথা- ব্যর্থতায় অথবা সফলতা শিখরে
স্থির হতে পারিনি, কস্মিনকালে
মহাপাপ কী পুণ্যের পাঠশালায়ও।
প্রণয় কিংবা প্রত্যাখ্যান ঝরা পাতায়
আটকে থাকতে পারিনি-
স্মৃতি- বিস্মৃতির বেচাকেনায়, কোথাও।
পেচিয়ে ফিতা দক্ষ হাতে ছুঁড়ে মারা
লাটিমের ন্যায় ঘুরি ভনভন
এখান থেকে সেখানে অহর্নিশ আজীবন।
বাবা
বাবা এক বসুন্ধরা, নীরব দুর্ভিক্ষের- অন্তরালে রক্তপাতের
বাবা এক বোবা পাহাড়, দুঃখ- শোকের ঝড়ঝাপ্টায় অটল
বাবা এক অসুখ, প্রত্যহ অনিদ্রা- অরুচি এবং অপ্রাপ্তির
বাবা এক অভিযোগ বাক্স, পরিবার পরিজন এবং প্রতিবেশীর
বাবা এক ঠিকানা, শেষ বয়সে নিঃসঙ্গতার- বৃদ্ধাশ্রমের
তুমি
তুমি হাঁটছ-
লাল গালিচায় ঢেকে যাচ্ছে পিচঢালা পথ
আর স্যালুট করার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে
দু’পাশের সমস্ত অট্টালিকা
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..