প্রেমিক
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
শুষ্ক হাতে এখনো দাঁড়িয়ে আছো?- ভাঙা কাঁচের জানালায়;
কতিপয় ডুমুরের ডালে পাখির ঘরে- কারো প্রত্যাশায়?
হাত ভরে পিঁপড়ার বসত ডিমের সংসার- প্রেমিক না হত্যাকারী?
কুয়াশা – কুয়াশা – বাতাসের জমানো দুঃখ
ভারি হয়ে বলে যায় – প্রেমিক হয়েছো? দিন কাটে না-
আলোর মতো জ্বলে না – এখনও দাঁড়িয়ে;
কে জড়িয়ে রয় এমন মুখের দ্বারে- জমানো নিকোটিনে
অদ্ভুত চাপা অক্ষরে – খসে পড়া চুলে
না জানা ভবিষ্যতে – জানার বর্তমানে – শার্টের হাতায়
নিকৃষ্ট ঘামে – দাঁড়িয়ে থাকো অর্বাচীন প্রেমিক!
রবিবার চলে যায় দমের দামে, দেখো নির্বোধ। দাঁড়িয়ে আছো।
কিছু নেই তোমার চোখের দূরত্বে উত্তাপ সব – দাঁড়িয়ে আছো এমন
কুয়াশার ভিতর নদী ধরে অজানার দেয়ালে- খুঁজছ কিছু অবোধ?
যে হাত চলে যায় শরীর নিয়ে লোপাটের আশায়
কতদূর যায় – কী পায়- কী জমায়- কী লোটায় – কী ফলায়
দাঁড়িয়ে থাকো এমন- প্রেমিকের সাইরেন নিয়ে –
পিছনের জানালয় জ্বলে উঠুক এক ঢোঁক জল
তোমার তৃষ্ণায়।
ধুলার আস্তরণে বোবা শহর ডেকে যায় ভোর
নীল জমাট ইনসোমনিয়া ভেঙ্গে – বোঝাপড়ার দিন;
লাগাতার এমন চৌকাঠে নেমে আসে, ত্রস্ত কান,
দলা পাকানো চুলের নিমগন্ধি রোদ পায়তারা করে-
ডেকে যাক এক ছিটকাপড়ওয়ালা;
জানালার গ্রিলে বিগত যৌবনা দোপাট্টা খিল দেয়-
কারফিও হউক শহরে, বেড়ি পড়ুক চাকার পায়ে
বাইসাইকেল ঠ্যাং ভাঙ্গুক ভাঙ্গারির ঘরে,
বাড়ি ফিরুক নতুনের দল- ভেঁপু – জলবাহারের গান;
রঙ্গিন কাপড় যেন বসে থাকে এক রূপবতীর মতো
কল্পনার ডুব জলে জেনে যাই রঙিনের ডাক
ছিটকাপড় নিন, ছিটকাপড়।
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..
স্মৃতি চাঁদের আজ দুঃখ পাবার কিছু নেই ! সবুজ পৃথিবীতে আজকের এই বিকেলে আকাশে উড়ে…..
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..