আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
রন্ধ্রে রন্ধ্রে চলেছে
অনাহুত নাদ
যেন বিনাশ ঝড় উপরে গেছে বৃক্ষদেবী
জলহস্তির হুঙ্কার দিয়ে
বেজেছে কাঁসা ঘণ্টা
তুমুল শীৎকার;
উপলব্ধির পেঁচা প্রতিদিন কুৎসিত কথা কয়
ক্রীতদাস হয়ে ডাকে প্রেমিক
সম্মিলিত শবযাত্রায় সাদা কাপড় থেকে;
ডিঙিয়ে যাই
মস্তকহীন প্রাণীর উরু
চিরে আসা বাতাস
স্পর্শিল ক্যাঙারু
হতচকিত বজ্রপাত
দ্বিখণ্ডিত সড়ক –
কবিতার পঙক্তির ঘরে ঘরে।
আমায় নিয়ে যাও
চালতা ফুলের রেণুর কাছে
গবাদি ঘরের মায়ার কাছে
হাতের কাছে পানের বাটায়
যেতে চাই আমি হিজলতলায়
ডুবে যেখানে রোদের শরীর গভীর জলে
ছবির মতো শিকরসমেত
বৃদ্ধ গাছের ছালের কাছে
নিয়ে যাও আমায় নিঃসঙ্গ ট্রেনলাইন ধরে
এতদূর যাবো যতদূর গেলে
ফিরে আসে না অবুঝের মতো;
নিয়ে যাও আমায়
চোরাবালিতে গভীর খাদে
ডমরু ত্রিশূল ভয়াবহ নাদেঁ
নকশা করা নক্ষত্র মেলায়
হারানো আলোয় নিজেকে সরায়ে
বেঁচে থাকা যায় কোটি বছরের
ফসিল থেকে ফসিল হয়ে।
নিসিন্দার ঘ্রাণ আর ছিঁচকে দুপুরে
বিলিয়ে সন্তানকামী রোদ
শ্রাবণডালে বসে থাকে অনাহারী বিকেলের কৌড়ি
অহরহ অঙ্কুর ধরে
উড়ে আসে বদনাম তার
ভেঙে যায় দেয়ালের কাঠ
কাঠের বন্দর;
পদ্মবনে জাতিস্মর স্মৃতি
নেমে আসে বিকীর্ণ ধূলি কুয়ার জল হয়ে
উপচানো লাগামহীন যৌবনঘরে-
থেকে গেলে জানা যায় প্রত্যাশার বদনাম
সাঁওতালি জানালায় দুঃখ পুষছিলাম।
যে নদীর জল ছুটে আসে
প্রাগৈতিহাসিক সিঁড়ির কাছে
ঘুঙুর ভেজা পায়ে
সহস্র বছর বয়সী মেয়ের লোভে
আমি তারে স্মৃতিতে জড়াই
সে আমায় লয়ে যায় অলীক মানুষে
ধীবরী গানে গানে –
তোমার কথা রেখে যায়
জলের মীন তার গোপন পাখনায়
আমি তারে জালে জড়াই
আমি ধীবরের গান গাই।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..