দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
খাল্লাম্মা, আক্কাস ঘুম থেকে উঠেছে?
–না বাবা। এখনও ঘুম। তুমি বস আমি চা দিতেছি। পত্রিকা পড়। পড়তেই পড়তেই ও উইঠা পড়ব। খাল্লাম্মা বল্লো।
–আজকে তিন মাসের উপর হইল, আক্কাস টাকা ধার নিয়া ফেরত দেয় না। পত্রিকায় তার কবিতা ছাপাইছে, সম্পাদককে খাওয়ানের জন্য আমার কাছ থেকে ধার নিছিল। আজকে তাই সক্কাল বেলা ওরে ধরতে আইসা পড়লাম। আধা ঘন্টার বেশী হইয়া গেল, আক্কাসের উঠার নাম নাই। নাহ্ আমার এবার ভিতরে গিয়া ওরে ঘুম থেকে উঠাইতে হইব।
***
বুকের উপর এক চিলতে বস্ত্র বিছিয়ে ইউক্যালিপ্টাসের গন্ধ আড়াল করে পাজামায় মুঠো ভরা চোরকাঁটা নিয়ে তুমি এলে। প্রিয় পারিজাত। দরজা খুলেতেই ফ্যানের ভারী বাতসে দোপাট্টা খসে পড়ে, খসে পড়ে সুডৌল মোমবাতি উষ্ণতা, শরতের শেষ নিস্তব্দতা নিয়ে চেয়ার পেতে বসেছিল, বলার মত কোন কথা হয়ত ছিলনা তবুও কাগজের নৌকার মত নরম নোলক ভাসিয়ে থেমে থেমে কিছু কথা বলতে লাগলে, কিছু জোনাকি উড়তে লাগল, প্রজাপতি প্রদোষে চাঁদডোবা হলদেটে জোছনা তখন আমাদের মাঝে এসে পড়েছে। তোমার অনাবৃত হাতে সুবর্ণ বাহুতে মশাদের ক্ষিপ্র সূঁচ, নোনা রক্তের স্রোত ঝরনার কাঁচের শব্দে রিমঝিম কথা বলে, বিষমাখা বিষয়বস্তু ভুলে তোমার প্রগলভ কথাগুলি একটি বিন্দুর অভিমুখে চলে যাচ্ছিল।
তারপর মৌন মুগ্ধতায় আমি কথার ঘায়ে স্নাত তোমার নিভাঁজ বগলের দিকে সারাক্ষণ তাকিয়ে রইলাম। ঘন শ্বাস টেনে তুমি বললে তোমার প্রয়াত বাবার কথা, আমাকে নাকি শেভ করার সময় বাবার মত দেখায়, বাবার মত মানুষটি কখন যে তার গোলপাতা বনে গোপনে লুকিয়ে পড়েছিল, আমি জানতে পারি নাই। লুপ্তপ্রায় অনাড়ম্বর সুরে তার গানের কথা, তার বিলাসী ঘুমের কথা, এসব বলতে বলতে পারিজাত ঢুকে পড়ে ঘোর সবুজ মেহগনি বনের ভিতরে, ফানুসের ধোঁয়ার ভিতরে, রঙঝলমলে ডানার ভিতরে….. আরো গভীরে যেতে চেয়েছিল। তারা আগেই ঝড় ওঠে, ডালপালা ধ্বসে পড়ে, আমিও হোঁচট খেয়ে পড়ে যাই।
***
ভুমিকম্পের আওয়াজে আক্কাস ধড়মড় করে উঠে। নাহ, ভুজাল নয়। দরজায় কেউ জোরে জোরে ধাক্কা দিচ্ছে। আক্কাস অসমাপ্ত স্বপ্ন ছেঁড়ে উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলতেই কোন ভুমিকা না করে সরাসরি বলি, আক্কাস আমার টাকাগুলো অক্ষুনি দিয়া দিবা।
— দোস্ত আমি বহুৎ শরমিন্দা। আর কটা দিন ধৈর্য্য ধর। আগামী মাসেই টিউশনির টাকা পাইয়াই তোর টাকা দিয়া দিমু। এক্কেরে শিউর শট।
— তোরে আর সময় দেয়া যায় না বইলাই ওর বালিশের তলা থেকে মানি ব্যাগটা নিয়া নিলাম। ভিতরে ৭ শত ৩৩ টাকা। আক্কাস ছৌঁ মেরে মানিব্যাগটা কেড়ে নিতে চাইল। কিন্তু না পেরে সোজা এসে আমার দুপা জড়িয়ে ধরে বলে,
–দোস্ত পারিজাতরে কথা দিছি, আজকে ওরে কালা বুড়িগঙ্গায় বেড়াতে নিয়ে যাব। আকুতি করে।
আমি ৫শত টাকা পকেটে রেখে বলি, বাকীটা রইল। বুড়িগঙ্গা নালা দেখাইতে দুই’শ টাকার বেশী লাগে না। বাকী টাকায় ওরে সিমবীচি ভাজা খাওয়াইয়া দিস।
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..