স্বপ্নে দুঃস্বপ্নে

ঋতো আহমেদ
কবিতা
স্বপ্নে দুঃস্বপ্নে

পাপ

অলীক ছিল না একটুও।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত উঠে এসছে ধীরে।
কাঁপিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্ত শরীর,—মাংশপেশী এবং জল। বুকের মধ্যে টেনে, চেপে ধরেছিল অনেকক্ষণ। প্রঃশ্বাসে প্রঃশ্বাসে ঘণ হয়েছে আলো ও অন্ধকারের ওইসব সুরঙ। তারপর অসাড় হয়েছে—একসময়— অসাড় হ’তে হ’তে

একটা দেয়াশলাই কাঠির আকস্মিক আর্তচিৎকারে হঠাৎ দৃশ্যমান হয়ে গেছে— নরক

আহ্ !,, আমার চোখ !—
আহ্ !,, আমি কোন হাবিয়ায় এখন ? দ‍্য‍াখো, আমার কপাল বেয়ে গড়িয়ে নামছে পাপ। অমোঘ অভীষ্ট সব পাপ।

 

ভাঙার শব্দ

একটা পাথর পেরিয়ে আরও একটা পাথরের দিকে তাকিয়ে আছি আমরা। যেন তার লৌকিক শরীর ভেঙে ব‌ইবার কথা পাপের খরস্রোত। বহুদিন, বহু শতাব্দীর পর, আজ, আবারও তৃষ্ণার্ত হয়েছে আমাদের চোখেরা। শুধু একটি আওয়াজ তুলতে হবে এখন। একটা শব্দ। একটা অক্ষর—

রুদ্ধশ্বাস ভাঙার।।

অন‍্য জীবনের

অর্ধেক দিন গেল কাজে আর অর্ধেক ঘুমিয়ে।
সে আমার অক্ষত বিকেল।
সে আমার অন‍্য হাওয়ায়
অন‍্য কল্প-জীবনের ছবি। অথচ আলাদা,—
নিজস্ব মাত্রায় অন‍্য অবস্থান নিয়েছে আজ বিপরীত
দূরত্বে।

অর্ধেক দিন গেল কাজে আর অর্ধেক অগোচরে।

দুঃসাহস

কল্পনা এবং পরিকল্পনার বাইরে ঘটে যাওয়া কিছু অনিয়ন্ত্রিত ঘটনাই হচ্ছে জীবন।

বাকিটা দুঃসাহস।।

ঋতো আহমেদ। কবি ও প্রকৌশলী। পৈতৃক বাড়ি মুর্শিদাবাদ। জন্ম ময়মনসিংহ শহরের কালিবাড়ি বাইলেন, কর্মসূত্রে ঢাকায় বসবাস। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট থেকে শিল্প প্রকৌশলে স্নাতক। বর্তমানে একটি টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: 'শতাব্দীর অপার প্রান্তরে', 'ভাঙনের...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ