দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
অলীক ছিল না একটুও।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত উঠে এসছে ধীরে।
কাঁপিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্ত শরীর,—মাংশপেশী এবং জল। বুকের মধ্যে টেনে, চেপে ধরেছিল অনেকক্ষণ। প্রঃশ্বাসে প্রঃশ্বাসে ঘণ হয়েছে আলো ও অন্ধকারের ওইসব সুরঙ। তারপর অসাড় হয়েছে—একসময়— অসাড় হ’তে হ’তে
একটা দেয়াশলাই কাঠির আকস্মিক আর্তচিৎকারে হঠাৎ দৃশ্যমান হয়ে গেছে— নরক
আহ্ !,, আমার চোখ !—
আহ্ !,, আমি কোন হাবিয়ায় এখন ? দ্যাখো, আমার কপাল বেয়ে গড়িয়ে নামছে পাপ। অমোঘ অভীষ্ট সব পাপ।
একটা পাথর পেরিয়ে আরও একটা পাথরের দিকে তাকিয়ে আছি আমরা। যেন তার লৌকিক শরীর ভেঙে বইবার কথা পাপের খরস্রোত। বহুদিন, বহু শতাব্দীর পর, আজ, আবারও তৃষ্ণার্ত হয়েছে আমাদের চোখেরা। শুধু একটি আওয়াজ তুলতে হবে এখন। একটা শব্দ। একটা অক্ষর—
রুদ্ধশ্বাস ভাঙার।।
অর্ধেক দিন গেল কাজে আর অর্ধেক ঘুমিয়ে।
সে আমার অক্ষত বিকেল।
সে আমার অন্য হাওয়ায়
অন্য কল্প-জীবনের ছবি। অথচ আলাদা,—
নিজস্ব মাত্রায় অন্য অবস্থান নিয়েছে আজ বিপরীত
দূরত্বে।
অর্ধেক দিন গেল কাজে আর অর্ধেক অগোচরে।
কল্পনা এবং পরিকল্পনার বাইরে ঘটে যাওয়া কিছু অনিয়ন্ত্রিত ঘটনাই হচ্ছে জীবন।
বাকিটা দুঃসাহস।।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..