আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অপরূপা মোহময়ী মডেল তুমি
অনন্য তোমার শরীরী বিভঙ্গ,
সমাজের নীল আম্লিক বিষে পরিশুদ্ধ
নীল ঊর্বশী তুমি।
প্রকাশিত হয়েছ আপন দম্ভে,
খুলে লজ্জার সাজ,
লজ্জাতো সমাজের……
সমাজ পরিয়েছে তোমায়
লালসার কারুকাজ,
তোমার গর্ভে জন্ম আমার
তোমার আদরিনী আমি,
আমিওতো নারী শরীর
আমিতো তাই দামী।
লালসা আমায় ছিঁড়েছে তাই
অ্যাসিড করিয়েছে স্নান।
প্রতি রোমকূপে পুড়েছি আমি,
ছাড়িনি তবু লড়াইয়ের ময়দান।
তোমারি গর্বে গর্বিত আমি
হয়েছি দিগম্বরী,
সভ্য সমাজ তাকিয়ে দেখো
আমিও নীল অপ্সরী।
তোমরা লজ্জায় চোখ ঢেকোনা
আমার নগ্নতা দেখে,
সুসভ্যতার নগ্ন অলংকারে
এই স্পর্ধিত শরীর রয়েছে ঢেকে।
তোমার কাছে বার বার হেরে যাই
মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে থাকি
হেরে ভুত হয়ে যাওয়া আমি,
তীরে এসে তরী ডুবে যাওয়া
পরাজিত এক নাবিকের মত
পরাজিত কিন্তু ভীত নয়।
নত মস্তক কিন্তু অপমানিত নই।
জানি এখনিই দুহাতে জড়িয়ে টেনে নেবে
বুকের ওমের ভরসা টুকু দিয়ে।
যেখানে নিশ্চিত নিভৃত আশ্রয় আমার
যেখানে আদুরে আমি চোখ বুজি,
একটি কথাই শুনতে চাই বার বার
পাশে আছি, শুধুই পাশে আছি চিরকাল।
বিষন্ন পাহাড়ের কাঁধে উছল কুমারী ঝরণা,
তির তির স্রোতের বুকে দুরন্ত নীল ঘুর্ণী।
অতল খাদের আদিমতা তোমার আলিঙ্গনে,
গহন অরন্য চুল আর নগ্ন কাঁধ খসা উড়নি।
অবুঝ উষ্ণ ঠোঁট জড়ায় শিরদাঁড়ার বাঁক,
আলতো ছোঁয়ায় জাগে নগ্ন উপত্যকা।
আঙ্গুলের রূপকথা লেখা বুকের ঘণ খাঁজ,
ক্লান্ত ঘুমের শেষে শরীর জড়িয়ে থাকা।
আবার ফেরা ‘মন খারাপের বিকেল বেলা’র পথে,
একঘেয়ে কাজ পরিশ্রান্ত উদাস অফিস বেলা।
তোমার স্মৃতি বনের মাঝে এক পশলা ভেজা হাওয়া,
গভীর পথের গহন বাঁকে,টুকরো খুশির মেলা।
তোমার সাথে হারিয়ে যাওয়া ধূ ধূ মাঠের আলে,
যেখানে দিগন্ত মেশা পাহাড় চূড়া অরণ্য থাকে ঢেকে।
সেথা উছল ঝরণা বয়ে চলে নীল নদের সাথে,
একলা পাহাড় দাঁড়িয়ে থাকে আকাশ গায়ে মেখে।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..