স্মৃতির কপাট খোলা

শেলী সেনগুপ্তা
গল্প
Bengali
স্মৃতির কপাট খোলা

রোদন অফিস থেকে ফিরেই সারা ফ্ল্যাটে ঘুরে দেখে। এটা প্রতিদিনের কাজ, এবং আনন্দের সঙ্গেই করে। ফ্ল্যাটটা ওর খুব পছন্দের জায়গা। ওর কোন বন্ধু নেই, ওর কোন যাবার জায়গা নেই, সারাদিন কাজ শেষে ফ্ল্যাট ওকে ডাকে, মায়ের আদরে বুকে টেনে নেয়। যানজটের শহর থেকে ফিরে এসে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসে।

আজ অফিস থেকে ফিরতে রাত হয়েছে। রাতের খাবার অফিসেই খেয়েছে। আজ বসের জন্মদিন,  তাই সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছে। সবাই বেশ আনন্দ করেছে। ইচ্ছামতো পানাহার , কিন্তু রোদনের মন পড়ে আছে তেরো শ’ স্কোয়ার ফুটের ফ্ল্যাটে। কেউ বের হচ্ছে না দেখে সেও বের হতে পারছে না। বেশ দেরিতে পার্টি ভাঙলো। সবার সাথে অফিসের মাইক্রোবাসে চেপে  ফিরে এসেছে। একটু রাত করেই ওদের এপার্টমেন্ট স্বপ্নভুবনের গেইটে নেমেছে।

রোদন একাই থাকে। বয়স চল্লিশ ছুঁই ছুঁই। বিয়ে করা হয় নি, আদৌ হবে কিনা জানে না। খুব একটা ইচ্ছেও নেই। এ বিষয়ে জোর করারও কেউ নেই। মা মারা গেছে ছোটবেলায় ছোটভাই সুমনের জন্মের সময়। সকালে ঘুম ভেঙে দেখে উঠোনে  মা শুয়ে আছে, চারদিকে অনেক লোকজন, মাকে কোথাও নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছে। আর বাবার কোলে ন্যাকড়ার মধ্যে  কিছু একটা হাতপা নাড়ছে। একবার মনে হয়েছিলো ওদের বারান্দায় থাকা নেড়ি কুত্তার তড়বড় করে বেড়ে ওঠা বাচ্চাটা, যেটাকে সুযোগ পেলেই রোদন ঢিল ছুঁড়ে মারে। কিছুক্ষণ করে কান্নার শব্দ শুনে বুঝেছে এটা মানুষের ছোট্ট সংস্করণ। কিন্তু ওটা বাবার কোলে কেন? ওর সাথে বাবার কী সম্পর্ক? ওর ভাবনাগুলো আঁশ  খোলার আগেই সবাই মাকে নিয়ে চলে গেলো, বাবাও গেলো ছানাটাকে পাশের বাসার করিম চাচীর কোলে দিয়ে। ও বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে, কেউ ওকে খেয়ালও করলো না। করিম চাচা বাবার বন্ধু, ওদের বাসায় বেশ আসাযাওয়া। চাচীর সাথে মায়ের বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। চাচী চার হাতপা নাড়া বস্তুটাকে হালকা হাতে দোলাচ্ছে,আর কান্না কান্না চোখে দেখছে। ওদের বাড়ির কাজের মেয়েটা তুলো ভিজিয়ে খাওয়ানোর কিছু একটা  চেষ্টা করছে। দেখতে ভালো লাগছে না। শুয়ে শুয়ে মা কোথায় গেলো? খুব অভিমান হচ্ছে। ওকে নিলো না, আবার বলেও গেলো না। রোদন ঘরের ভেতর চলে গেলো। আবার বিছানায় শুয়ে পড়লো, নিজের অজান্তেই ঘুমিয়ে পড়লো।

ঘুম ভাঙার পর থেকে ওদের সংসারে এখন তিনজন মানুষ। আগেও তিনজন ছিলো, এখনও। একজন চেনা মানুষের বদলে আরেকজন নতুন মানুষ। চেনা গন্ধটা হারিয়ে গেছে। মাঝে মাঝে নতুন মানুষটার মধ্যে পুরানো মানুষটার গন্ধ খোঁজার চেষ্টা করে, কখনো কখনো পায়, কখনো পায় না। নতুন মানুষটাকে সে মেনে নিতে পারে নি। মনে হয়েছে সে মায়ের জায়গাটা নিতে এসেছে।  ওকে জায়গা দেয়ার জন্যই মা চলে গেছে। একটা কাজের লোক এলো, হেলায় ফেলায় বেড়ে উঠছে ছোট্টমানুষটা। একটু একটু করে যখন হামাগুড়ি দিতে শুরু করলো তখন থেকেই সুযোগ পেলেই তাকে চিমটি কাটতো। আর সে ব্যথা পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ওরই কোলে উঠতে চাইতো। রোদন নিতো না, কাঁদতে থাকা চারপেয়েটাকে  একলা রেখে নিজের রুমে চলে যেত।

রোদনের জন্মদিন, বেশ ঘটা করেই করে। ওর বন্ধুদের ডাকে, আশেপাশের সবাইকে নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে। সেদিন বাড়িতে লাইটিংও করা হয়। সুমন ছোটাছুটি করেই কাজগুলো করে। কিন্তু রোদন কখনো কেক এর টুকরা ওর মুখে তুলে দেয় না। বাবা আর সব বন্ধুদের নিজ হাতে খাওয়ায়, সুমন সামনে দিয়ে কেক এর প্লেট নিয়ে হেঁটে যায়, ভুলেও ওর দিকে তাকায় না। সুমনের মুখ বেদনায় কালো হয়ে যায়। বাবা নিজের মুখ থেকে কেক ভেঙে সুমনের মুখে দেয়।

সুমনের জন্মদিন। এ দিনটা ওদের কাছে কষ্টের দিনও। তাই কখনোই ঘটা করে পালন করে না। বাবা বাইরে থেকে খাবার কিনে আনে আর সুমনকে ওর পছন্দের কিছু একটা জিনিস উপহার দেয়। সেদিন বাবাকে কাঁদতেও দেখা যায়। নিঃশব্দ কান্নায় বাবা ভেঙে পড়ে, কখনো সুমন বাবার কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে থাকে, অথবা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ধু ধু মাঠের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা খোঁজার চেষ্টা করে। বাবার কান্না রোদনকেও কাঁদায়, বর্ষার ভরা নদীর মতো বুকের মধ্যে আথারিপাথারি ঢেউ খেলে যায়। আবার চোখের পানি শুকিয়ে যায় রাগের প্রাবল্যে, মনে হয় সুমনের জন্যই মা বেঁচে নেই, সুমনের জন্যই বাবা কাঁদে। কেন সে এলো? না এলে এমন কী হতো? বরং মা বেঁচে থাকতো।

বাবা ওর কাছে জানতে চেয়েছে , এবার সুমন কী উপহার নেবে? জবাব দিলো না। ঘাড় গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে। মনটা খারাপ হয়ে গেলো। এক একটা জন্মদিন আসে , মা হারানোর অপরাধে নিজেকে অপরাধী করে নিজের ভেতর বাইরে ঝড়ের মোকাবিলা করে।

বার বার জিজ্ঞেস করার পরও কিছু বললো না। কখনোই বলে নি। বাবা নিজের মতোই  কিছু নিয়ে আসে। আজকাল সুমন বিদেশী কয়েন জমায়। বিকেলনাগাদ বাবা সুন্দর একবক্স কয়েন আর পিজ্জা হাট থেকে ওর পছন্দের পিজ্জা নিয়ে এলো, সাথে কোক আর কেক।  ড্রইং রুমে কেক সাজিয়ে মোম জ্বালিয়ে  বাবা রোদনকে ডাকলো। অনেক বিরক্তি নিয়ে এসে দাঁড়ালো, ওর বিরক্তিকে তোয়াক্কা না করেই বাবা গান গেয়ে উঠলো, ‘হ্যাপি বার্থডে  টু ইউ, হ্যাপি বার্থ ডে টু  সুমন,হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ’। গান গাইতে গাইতে সুমনের হাত ধরে কেক কাটলো। সুমনকে খাইয়ে রোদনের দিকে এগোতেই সে বলে উঠলো, ‘ আমি খাবো না’।

বাবা একটু কষ্ট পেলো মনে হলো, সুমন একটা টুকরো নিয়ে ওর দিকে এগিয়ে যেতেই রোদন নিজের ঘরে চলে গেলো। পড়ার টেবিলে বসে পড়াতে মন দেয়ার চেষ্টা করছে, পারছেনা। ওর মনের মধ্যে একসাথে হাজারটা বিছা কামড়াতে শুরু করেছে। কুমোর বাড়ির মাটির স্তুপের মতো চুপ করে বসে আছে। কিন্তু কান খোলা। ও ঘর থেকে বাবা আর সুমনের সব কথা শোনা যাচ্ছে। বাবা ওকে কয়েনের বক্সটা উপহার দিয়েছে। সুমনের সে কী উচ্ছ্বাস!  রোদন সহ্য করতে পারছে না। দু’হাতে কান চেপে ধরলো। শুনতে চায় না ওদের কথাগুলো।

সে রাতের পর সুমনের কয়েনের বক্সটা আর খুঁজে পাওয়া যায় নি, সাথে রান্নাঘরের একটা স্টিলের কৌটাও।  সুমন দু’একবার নীরবে চোখ মুছেছে। বাবা চুপচাপ বসে ছিলো নিজের ঘরে, মাথা ঝুঁকে একেবারে বুকের কাছে চলে এসেছে। বাড়িটা এখন অঘোষিত নীরবতায় ডুবে আছে।নীরবতার জমাট বরফ গলাতে রোদন দুলে দুলে কবিতা আবৃত্তি করছে।

রোদন অফিস থেকে ফিরে এককাপ চা হাতে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালো। ওর নজর এখন উঠোনে বড় নারকেল গাছটার দিকে। আজ পূর্ণিমা, আকাশের কোণে চাঁদটা কনেবউএর মতো উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। রূপালি আলো ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। কৃষকের মাথায় করে বয়ে নেয়া ধানের বোঝা  থেকে  ঝরেপড়া ধানের মতো খানিক  রূপালি আলো  চলকে পড়েছে নারকেল গাছের চিরল পাতায়।  অপরূপ দৃশ্য। রোদন চোখ ফেরাতে পারছে না।

স্বপ্নভুবন শহরের প্রান্তে একটা বহুতল ভবন। নামকরা ডেভেলপার কোম্পানির কাজ। জমির মালিক  রোদনের বাবা। বাবা মাঝারি মাপের ব্যবসায়ী। একবার ব্যবসাতে ভালো লাভ করে শহরের উপকণ্ঠে জমিটা কিনেছে। গেইটের কাছে নিজহাতে নারকেল গাছটা লাগিয়েছে। সেদিন দু’ভাই বাবার দু’দিকে ছিলো। বাবা এক হাতে সুমনকে ধরে রেখেছিলো, সেটা রোদনের ভালো লাগে নি। রাগ রাগ চোখে ওকে দেখতে দেখতে রোদন ঘরে চলে এলো। সেদিন কি বাবা একটু গম্ভীর  হয়ে গিয়েছিলো? তারপর থেকে বাবাকে খুব চিন্তিত দেখাতো।

রোদন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো। সুমনের তখন স্কুলের পড়াশুনা শেষ। বাবার ব্যবসাও চলছে ঢিমেতালে। বাড়িতে নতুন নতুন লোকের আসা যাওয়া। ওদের বাড়ি ভেঙে এপার্টমেন্ট করতে চায়। আলোচনা চলছে। বাবা সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। রোদনের সাথে আলোচনা করে। তারপর আবার নীরব হয়ে যায়।

এভাবে একসময় রোদনের পড়াশুনা শেষ হলো। একটা চাকরিও হলো প্রাইভেট কোম্পানিতে। অনেক টাকা বেতন। সে খুব খুশি। সুমনের সাথে দূরত্ব আরো বেড়ে গেলো। প্রতিদিনই কোন না কোন উপায়ে সুমনকে হেনেস্তা করার চেষ্টা চলছেই। নীরব প্রচেষ্টার দ্বারা বাবা ওকে রোদনের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়, হয়ে ওঠে না।

একদিন  সকালে জানলো সুমন দেশের বাইরে যাচ্ছে। আমেরিকা থেকে স্কলারশিপ পেয়েছে। একসপ্তাহের মধ্যেই চলে যাবে। চলেও গেলো। এখন সারা বাড়িতে রোদন আর বাবা। বাবা বা রোদন কখনো সুমনের নাম উচ্চারণ করে না। ওদের মধ্যে সুমনের কোন অস্তিত্ব নেই, হয়তো কখনো ছিলোই না। তারপরও রোদন কেন যেন খুশি হতে পারছে না।

ডেভেলপার কোম্পানী এলো, বাবার সাথে কথা হলো , বাড়ি ভাঙা হলো। রোদনের শর্ত ছিলো গেইটের কাছে নারকেল গাছটা ওভাবেই থাকবে। তাও থাকলো।

নতুন বাড়িও হলো।  ডেভেলপারের কাছ থেকে পাওয়া সবকটা ফ্ল্যাট বাবা রোদনের নামে লিখে দিয়েছে।

কিন্তু নতুন বাড়িতে ওঠার আগেই বাবা চলে গেলো না ফেরার দেশে। সুমনের আসা হলো না। ওকে ছাড়াই বাবাকে শুইয়ে দেয়া হলো মায়ের পাশে আরেকটা কবরে।

রোদন একাই উঠলো রাস্তামুখী ফ্ল্যাটে। বাকি ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিলো। এখন ও সারাদিন অফিস করে, বিকেল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত  কাটায় বারান্দায় বসে। এভাবেই কাটছে অনেকদিন থেকে। গেইটের কাছের নারকেল গাছটা এখন ওর সাথী। ঋতু বদলের  সাথে সাথে নারকেল গাছের পাতায় আলোর খেলা বদলাতে থাকে, রোদন শুধু তাই ই দেখে। অনুভূতিগুলো বিবর্ণ হয়ে গেছে। এখন আর কারো সাথে রাগ করতে ইচ্ছে করে না। খুশী হওয়ার মতো কিছুই ঘটে না। অনেক রাতে ঘুমাতে যায়, বেলা করে জেগে ওঠে। তারপর অফিস।

আজ ওর তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে গেলো। কেমন যেন একটা শব্দ হচ্ছে। এমনই শব্দ হয়েছিলো বাবার কবর খোঁড়ার  সময়। এছাড়া আরো একবার হয়েছিলো, কিন্তু সেবারের শব্দটা ছিলো বেশ সাবধানী।

মনে হচ্ছে  গেইটের দিকে থেকেই শব্দটা আসছে। মুহূর্তেই শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত নেমে গেলো। দ্রুত বারান্দায় এলো,  মাত্র অন্ধকার কাটতে শুরু করেছে। গেইটের কাছে নারকেল গাছটার নিচে এখনো নর্দমার ঘোলাটে জলের মতো অন্ধকার।  রোদন ঘরের মধ্য গিয়ে চশমাটা নিয়ে এলো। ভালো করে খেয়াল করতেই দেখলো, কেউ এক জন শাবল দিয়ে নারকেল গাছের নিচে মাটি খুঁড়ছে, এক মনে, একই ছন্দে খুঁড়েই যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, ওর আর কোন কাজ নেই,  এটাই এখন ওর একমাত্র কাজ। কোনওদিকে তাকাচ্ছে না। বারান্দা থেকে রোদন তাকিয়ে আছে। বাইরে ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে, তবুও ঘামছে ।

শাবল চালানোর শব্দ একটানা চলছে।  অন্ধকার এখন চাল ধোয়া জলের মতো ধুয়ে যাচ্ছে। একটা সময় শাবল চালানোর শব্দ থামলো। সামনে একটা বেশ বড় গর্ত, লোকটা উপুড় হলো, গর্তের মধ্য থেকে  একটা  স্টিলের কৌটা বের করলো, তার মধ্য থেকে  একটা কয়েনের বক্স বের করলো। আলগোছে কপালের ঘাম মুছলো।  ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি। দু’হাতে বক্সটার উপর জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করলো। তারপর বক্সটা বুকের মধ্যে জড়িয়ে নিয়ে ঝুঁকে ঝুঁকে হেঁটে বের হয়ে গেলো। বাবা এভাবেই হাঁটতো। সবাই বলতো, সুমনের সাথে বাবার বেশ মিল।

রোদনের মনে হলো জ্বর এসেছে। বাইরের হাওয়াটা বেশ ঠান্ডা মনে হচ্ছে। আবার গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো। দু’চোখে এখন কার্তিকের উথালপাথাল ঝড়ের মতো ঘুম নেমেছে।

শেলী সেনগুপ্তা। কবি, গল্পকার ও শিশু সাহিত্যিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পর পেশাগত জীবনে কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে অবসর গ্রহণ করে লেখালিখি ও সংসার দেখাশুনা করে সময় কাটান। শেলী সেনগুপ্তা তার ভাবনায় ও রচনায় কাব্য...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

বালির বেহালা

বালির বেহালা

বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..

তদন্ত

তদন্ত

  এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..