ঝরা শিউলি
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
মাঘ মাস শেষ হলেও শীতের ভাবটা এখনো রয়ে গেছে। হাওর এক্সপ্রেস- এই আন্তঃনগর ট্রেন থেকে নেমেই সেটা বুঝতে পারলাম। স্টেশনের নামটা বেশ ভাল লাগলো- অতিথপুর স্টেশন। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। মাগরিবের আজান ভেসে আসছে দূরের মসজিদ থেকে। খুব একটা ভিড় নেই, যাত্রী উঠানামা করেছে হাতেগোণা কয়েকজন। দু’একটা বাদাম বিক্রেতা গলায় ঝুলিয়ে রাখা নিজের বাদামের টুকরি থেকে অলস ভঙ্গিতে একটা করে বাদাম ভেঙ্গে খাচ্ছে আর যাত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
ট্রেন নেত্রকোনা ষ্টেশন ছাড়ার সময় আমি সুবীর বাবুকে মোবাইলে ফোন দিয়েছিলাম। উনি আমাকে বললেন- মেরুণ কালারের চাদর থাকবে উনার গায়ে, চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। ষ্টেশনে পানের টং দোকানের সামনে আমার জন্য অপেক্ষা করবেন। সুবীর বাবু হলেন অতিথপুর গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। আর আমি যাচ্ছি সেই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে জয়েন করতে। কোথাও কিছু হচ্ছিল না। শেষমেশ মফস্বলের এই স্কুলে চাকরি নিয়ে চলে এলাম। আমার এই চাকরির কারণে অনেক গুলো ভালো জিনিস সংসারে ঘটবে, মা অবশ্য তাই বিশ্বাস করে। বিলুর বিয়ে হবে ভাল ঘরে, বাবার চোখের ছানির অপারেশন হবে, সংসারে একটা সুখী সুখী ভাব আসবে। অভাবের যন্ত্রণা আর টানাপোড়েন কমবে।
পানের দোকানের সামনে সুবীর বাবু আমার জন্যে দাঁড়িয়ে আছেন। একজন আরেকজনকে চিনে নিতে অসুবিধা হয়নি। সুবীর বাবুর বয়স পঁয়তাল্লিশ পার হয়েছে। মাঝারি গড়ন, চোখের নীচে কিছুটা কালি জমেছে। খুব মাই ডিয়ার টাইপ মানুষ। প্রথম পরিচয়েই তাকে আমার ভালো লেগে গেলো। পানের পিক ফেলতে ফেলতে তিনি জানতে চাইলেন- হিমাদ্রি বাবু, পথে কোন প্রবলেম ফেইস করেননি তো? আমি খুব টেনশন নিয়ে আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। নতুন জায়গা, আপনি ঠিকমতো আসতে পারেন কী না। আমি হালকা হেসে বললাম- জ্বী না স্যার, কোন প্রবলেম হয়নি। সুবীর বাবু হেসে বললেন- অসুবিধা হওয়ার কথাও না। তিনি আমাকে নিয়ে স্টেশন থেকে বেরিয়ে একটা রিকশা ঠিক করলেন।
স্কুলের ভেতরেই প্রধান শিক্ষকের বাসভবন। টিন শেড বিল্ডিং, এল-টাইপ। রিকশা বাসার গেইটের সামনে এসে থামলো। বাসার ভেতর থেকে একজন কাজের মেয়ে এসে আমার ব্যাগ নিয়ে গেল ভেতরে। পথে অবশ্য স্কুল নিয়ে, অন্য শিক্ষকদের বিষয়ে মোটামুটি একটা রাফ আইডিয়া আমাকে দিলেন সুবীর বাবু। স্কুল নিয়ে লোকাল পলিটিক্সের কথাও জানালেন। আমি ড্রয়িং রুমে বসলাম। উনি আমাকে ওয়াশ রুম দেখিয়ে দিলেন। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে, নিজেকে গুছিয়ে নিলাম। কিছুক্ষণ পর সুবীর বাবু ভেতর থেকে আসলেন। হাসতে হাসতে বললেন- বুঝলেন হিমাদ্রি বাবু, আমার লেট মেরেজ। লাস্ট ইয়ার বিয়ে করলাম। ওয়াইফ এখানকার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। একটু অপেক্ষা করুন , আপনার বউদি নাস্তা নিয়ে আসছে ।
আমার কিছুটা অস্বস্তি লাগছে। যদিও আগামীকাল জয়েন করার পর আমার থাকার ব্যবস্হা ফাইনাল হবে। আজকের রাতটা উনার বাসাতেই থাকতে হবে। আমার বাড়ির কথা, বিলুর কথা, মা বাবার কথা খুব মনে পড়ছে। আমার ভাবনায় ছেদ পড়লো যখন সুবীর বাবুর স্ত্রী চা নাস্তা নিয়ে ঢুকলেন। সুবীর বাবু পরিচয় করিয়ে দিলেন- ইনি হলেন আমাদের স্কুলের নতুন ইংরেজি শিক্ষক হিমাদ্রি বাবু। আমি দাঁড়িয়ে তার স্ত্রীকে নমস্কার দিলাম। আর আমার স্ত্রী অপলা- সুবীর বাবু হাসতে হাসতে বললেন।
আমি কিছুতেই নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি কাকে দেখলাম! এ তো অপলা, আমার সেই অপলা! সে কি আমাকে চিনতে পেরেছে নাকি যাতে চিনতে না হয়, সেই কারণে আপনারা গল্প করুন। আমি রান্না দেখছি- বলেই চলে গেল! সুবীর বাবু আমার সম্পর্কে খুব আগ্রহ নিয়ে জানার চেষ্টা করছেন, বাড়ির খবর জানতে চাইছেন। কিন্তু আমার ভেতরে কী এক বিশাল তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে তা কেমন করে উনি বুঝবেন!
রাতে বেশ যত্ন সহকারে নানাপদের খাবার দিয়ে টেবিল সাজালেন স্বামী-স্ত্রী। সুবীর বাবু বলেই যাচ্ছেন- আমাদের এখানে মাছ বেশ সস্তা। আর এখন প্রচুর মাছ পাওয়া যায়, সেই সাথে টাটকা সবজি। আমি কেবল কৈ মাছের তরকারি দিয়ে খাচ্ছি, যদিও অপলা আমাকে কাঁচকি মাছের অনেকটা তরকারি পাতে তুলে দিয়েছে। সে হাসি মাখা মুখে বললো- হিমাদ্রি বাবু, আপনাকে সব আইটেম খেতে হবে। এতো কষ্ট করে রান্না করেছি। তাছাড়া আপনি হলেন আমাদের স্পেশাল গেস্ট। কোন কথা না বলে আমি একবার অপলার চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম কিছু সময়ের জন্য। সেই চোখ, সেই গালে টোলপড়া হাসি! সুবীর বাবুর আগেই আমি খাওয়া শেষ করে ফেলেছি। হাত ধুয়ে বসার ঘরে গিয়ে বসলাম। ইচ্ছে হচ্ছে এক্ষুনি কোথাও চলে যাই। যে অপলা সারা জীবনের জন্য আমার হতে পারতো, সেই অপলা আজ মধ্যবয়সী এক স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী। সেদিন আমিই তো তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আমার ছন্নছাড়া, অনিশ্চিত জীবনের সাথে তাকে জড়াতে চাইনি। কিন্তু সে আমার জন্য সব ছেড়ে চলে এসেছিল। আমাকে সবধরণের সাহস দিয়েছিলো। তবু আমি অপলাকে আমার করে নিতে পারিনি! এখন বাস্তবতা হলো- যে অপলা আমার হতে পারতো, সেই অপলা আজ আমার কেউ না!
সুবীর বাবু বালিশ মিষ্টি আর পান নিয়ে আসলেন। অপলার হাতে পানির গ্লাস। আমি অপলক দৃষ্টিতে অপলার চোখে তাকিয়ে আছি। সুবীর বাবু কি কিছু বুঝতে পারছেন? আমার মতো অপলার হৃদয়ে কি কোন তোলপাড় হচ্ছে না? আমি জানি, সে ইচ্ছে করেই আমাকে চিনতে চাইছে না। কিন্তু তুমি কি ইচ্ছে করলেই আমাকে অস্বীকার করতে পারবে অপলা?
বেশ রাত হয়েছে। সুবীর বাবু আর তার স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েছেন। আমি বাতি নিভিয়ে নিস্পলক দৃষ্টি নিয়ে অন্ধকারে অপলার মুখ মনে করছি। ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি টেরই পেলাম না। যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন ঘড়িতে সাড়ে সাতটা বাজে। আমি ঝটপট বিছানা ছেড়ে ওয়াশ রুমে ঢুকলাম। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আবার বিছানায় আধশোয়া হয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ পর সুবীর বাবু আসলেন-
-রাতে ঘুম কেমন হল ভাই? কোন সমস্যা হয়নি তো আপনার?
-একদম না। খুব ভালো ঘুম হয়েছে, যাকে বলে সাউন্ড স্লিপ।
-স্নান করবেন? গরম পানি দিতে বলবো?
-না, না, এ তো সকালে স্নান করার অভ্যাস নেই।
-থাক তাহলে, পরে আবার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। নতুন জায়গায় এসেছেন, ওয়েদার এডজাস্ট হোক আগে। আমি অবশ্য প্রতিদিন আর্লি মর্নিং স্নান পর্ব শেষ করে ফেলি। সারাদিনের ঝামেলা শেষ। একটু অপেক্ষা করুন। আপনার বৌদি ভুনা খিচুড়ি রান্না করছে। তার হাতের খিচুড়ি একবার খেলে আপনার বারবার খেতে ইচ্ছে করবে।
-খিচুড়ি অবশ্য আমারও খুব পছন্দের খাবার। আচ্ছা, আমরা কয়টায় যাচ্ছি স্কুলে?
-জাস্ট নয়টায় যাবো। আপনার তো প্রথম দিন। তাই ক্লাসের কোন ঝামেলা নেই। সব শিক্ষক, স্টাফদের সাথে পরিচিত হলেন। তারপর একটা জয়েনিং লেটার লিখে বাসায় এসে রেস্ট নিলেন। চিন্তার কারণ নেই, আপনার বৌদি বাসায় আছে। সে দুই দিনের ছুটি নিয়েছে তার স্কুল থেকে। তার সাথে গল্প করে সময়টা পার করতে পারবেন।
আমি কিছু একটা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু কাজের মেয়েটি এসে সুবীর বাবুকে জানালো টেবিলে নাশতা দেয়া হয়েছে। সুবীর বাবু আমার দিকে একটা মিষ্টি হাসি দিলেন- চলেন ভাই, খুব খিদে পেয়েছে। গরম খিচুড়ি দিয়ে পেট ঠান্ডা করি।
টেবিল জুড়ে অনেক খাবার- কালিজিরা চালের খিচুড়ি, বেগুন ভাজি, জলপাইয়ের আচার আর মুরগীর ঝাল মাংস। সুবীর বাবু হাসতে হাসতে তার স্ত্রীকে বললেন- অপলা, হিমাদ্রি বাবুকে বেশী করে খাবার পাতে তুলে দাও। আমার মত ভুনা খিচুড়ি উনারও খুব প্রিয়। তাছাড়া উনি বুঝুক তোমার হাতের খিচুড়ি কেমন মজাদার। এই কথায় আমি কেবল অপলার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলাম। অপলা খুব যত্ন নিয়ে আমার প্লেটে খাবার তুলে দিয়েছে। আমি ধীরে ধীরে খাচ্ছি। আসলে আমার গলা দিয়ে কোন খাবারই নামছে না। কেমন যেন একটা অনুভূতি হচ্ছে। সেই অনুভূতির কারণেই খাবার গলায় আটকে আটকে যাচ্ছে। সুবীর বাবু খুব রসিক মানুষ। তিনি রসিকতা করে বললেন- বেশী বেশী খান ভাই। এরকম স্পেশাল খিচুড়ি তো আর সব সময় আমার বউয়ের হাতে খেতে পারবেন না। কিংবা আমার বউ ইচ্ছে করলেও আপনাকে খাওয়াতে পারবে না। সুবীর বাবুর এই কথায় অপলাও খুব মজা পেল। সে আমার দিকে তাকিয়ে মুখ টিপে হাসতে লাগলো।
স্কুলে ঘন্টা দেড়েক ছিলাম। সুবীর বাবু স্কুল মাঠ পর্যন্ত আমাকে পথ এগিয়ে দিলেন। তিনি বললেন- হিমাদ্রি বাবু, আপনি বাসায় গিয়ে রেস্ট নিন। আপনার বৌদির সাথে গল্প করুন গিয়ে। ডোন্ট ফিল শাই। বি ইজি উইথ হার। সুবীর বাবু স্কুলে রয়ে গেলেন। আমি তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম।
কলিং বেল টিপতেই কাজের মেয়েটি দরোজা খুলে দিল। আমি চুপচাপ সোফায় গিয়ে বসলাম। আমার ভেতর একধরণের তোলপাড় শুরু হয়েছে। কীসের জন্য এমন হচ্ছে? অপলার সাথে একান্তে কথা বলতে না পারার জন্য? তাই যদি হয় তাহলে তার সাথে আমি কোন অধিকারে একান্তে কথা বলবো? নাকি আজকের দিনটা পার করে কালই এই চাকরিটা ছেড়ে চলে যাবো? আমার দম আটকে যাচ্ছে এতো গুলো প্রশ্ন মাথার ভেতর হাতুড়ি পেটা করছে দেখে। একটু পরেই এক গ্লাস জুস আর চা নিয়ে অপলা ড্রয়িং রুমে ঢুকলো। কী যে চমৎকার দেখাচ্ছে তাকে! চেহারায় সুখী সুখী একটা ভাব। হাতে শাঁখা, কপালে লাল সিঁদুর। একজন বিবাহিত রমণীর চেহারায় যে পরিমাণ লাবণ্য আর সৌন্দর্য থাকার দরকার, আমার কাছে মনে হল অপলার কাছে তার চেয়েও বেশী আছে। আমি সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। অস্পষ্ট আওয়াজে বললাম- অপলা! মনে হল সে কিছুই শুনতে পায়নি। টি-টেবিলের উপর ট্রে রেখে আমার দিকে সামান্য একটু হেসে বললো- নিন, আপনার জন্য জুস আর চা করে এনেছি। আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি। উত্তেজিত ভঙ্গিতে তাকে বললাম- অপলা, তুমি কি আমাকে চিনতে পারছো না? তুমি কেমন করে আমার সাথে এই অভিনয় করে যাচ্ছো? এতো বছর পর তোমার সাথে এভাবে আমার দেখা হবে সেটা কি আমি জানতাম? অপলা নির্লিপ্ত গলায় উত্তর দিল- আমি কোন অভিনয় বা আপনাকে না চেনার ভাণ করছি না। আমার পক্ষে যা স্বাভাবিক সেটাই করছি। আমার জীবনে কোন অতীত নেই। যা আছে সেটা বর্তমান। হিমাদ্রি নামে আমি কাউকে চিনি না। কিংবা আমার সামনে যে হিমাদ্রি দাঁড়িয়ে আছে তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক অতীতে ছিল কী না তা আমার স্মৃতিতে নেই।
আমি ছলছল চোখে অপলার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম- তুমি কি আমার উপর প্রতিশোধ নিচ্ছো এখন? সেদিন তোমাকে আমি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আজ সেই প্রত্যাখ্যানের শাস্তি তুমি এখন দিতে চাইছ? অপলা আমার দিকে তাকিয়ে বলল- হিমাদ্রি, তোমার জন্য আমার করুণা হচ্ছে। সেই সাথে এক ধরনের ঘৃণা কাজ করছে। আমার কাছে তোমার জন্য এই দুইটা জিনিস ছাড়া আর কিছুই নেই। আজকের পর থেকে যদি আমাদের আর দেখা না হয় তবেই আমি খুশি। এই বলে সে শাড়ির আঁচলে মুখ ঢেকে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে ভেতরের ঘরে চলে গেল।
আমি কিছুটা সময় অপেক্ষায় বসেছিলাম- যদি সে ভেতর থেকে আসে! কিন্তু তা আর হয়নি। আসলে এই মুহূর্তে এখান থেকে চলে যাওয়াটাই সবচেয়ে সুখকর আমার বা অপলার জন্য। সুবীর বাবুর সাথে আমার আর দেখা করতে ইচ্ছে করেনি। আমি খুব দ্রুত তার বাসা থেকে আমার ব্যাগটা নিয়ে সোজা স্টেশনে চলে এলাম। যেতে যেতে ভাবছি অপলার সাথে আমার এইভাবে দেখা হবে- হয়তো এটাই ছিল নিয়তি।
সবকিছু কেমন যেন শূন্য হয়ে আছে। এটা কার লেখা কবিতা এই মূহুর্তে মনে পড়ছে না। আমি মনে মনে বললাম-
তোমার সাথে সেই কবে আমার হয়েছিল দেখা
আবার দেখো ঘুরেফিরে হয়ে গেল দেখা,
এইটে তবে সেই বিধাতার চিরকালের লেখা
তোমার সাথে আমার হবেই হবে দেখা।
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
শেষ থেকে শুরু। আমি রজকিনী রামী,ধোপার বংশে জন্ম আমার।ঘাটে সখিদের সঙ্গে কাপড় কাচি। একাজটা আমি…..
মালঞ্চার পথে ভোরবেলা। সূর্য সবে উঠছিল। বৈশালী দূর থেকে দেখতে পেল,বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে বালুরঘাটের দিকে মুখ…..
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..