দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
পাঁচমাথায় দাঁড়িয়ে ছেলেটি
মেয়েটির দিকে আঙুল তুলে বললো-
“তোমার জন্য আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে
তোমাকে আমি সহজে ছাড়ছি না”
অনেক ক্ষতির পরেও
ছেলেটি এখনও মেয়েটির সামনে দাঁড়িয়ে
তাই যা গেছে তা প্রধান নয়
জীবনের চারপাশে এমনই যা অলংকারের মতো থাকে
ছেলেমেয়ে দুটোর পাশ দিয়ে এসে
হাত দশেক দূরে আমি দাঁড়িয়ে গেছি
ছেলেটি মেয়েটির দিকে আরও দু’বার আঙুল তুলল
তারপর দু’জনে দু’দিকে চলে গেল
ছেলেটির শরীর থেকে ঝরে যাক আরও অলংকার
ছেলেটি যেন সত্যিই মেয়েটিকে না ছাড়ে
ওদের দুজনের আবার দেখা হোক।
“ভালো লাগছে না”
আর কতদিন বলা যাবে জানি না
এবার অনিয়মে গেলেই
চোখে উঠে আসবে সারি সারি কঠিন মুখ
তাদের মুখের রেখাতেই লেখা থাকবে
সরল সমাধান
অথবা তাদের মুখেতেই আঁকা থাকবে গলিপথ
কখনও কখনও সেই গলি
আরও আরও শাখায় ভাগ হয়ে যাবে
অথবা উড়ে আসতে পারে
কোনো মিষ্ট বাক্য
তখন দু’হাত ছড়িয়ে দাঁড়াব
চিরকালের জন্য ভালো লেগে যাবে সবকিছু ।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..