প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
হলদে ঘাসের বুকে ঘননীল নকশা আঁকা তোমার চাদরে
দুপুর রোদে পায়ে পায়ে রাস্তা ঠেলে
আদুরে রোদের সাথে
মুচমুচে আহ্লাদে মাখো মাখো
টকজলে ফুচকার গায়ে পড়া স্বাদ
দুপুরের শীতছোঁয়া শহরে হেঁটে যাচ্ছো তুমি
মুঠোফোনে নামছে বিকেল
আমার এখানে শুধু থেমে থাকা
দেওয়ালে অক্ষরদাগ
তোমার উদাসী চুলে
হলদে পেখম, নীল নীল ছায়াজল
তোমার শরীরে এখন উষ্ণতা আসে
আকাশের শামিয়ানা ফুঁড়ে
এত মিঠে তোমার ছুটির হাঁটা
এত শান্ত তোমার চুলের কাঁটা
আটকে পড়েছি কালো আস্তানায়
এখানে লক্ষ দরজা
তবুও তালাচাবি হারিয়েছে তোমার চাদরে ঢাকা
হরিদ্রাভ হৃদয়ের নির্জন মোহানায়।
ঝোলাকাঁধে পান্ডুলিপি ফিরি করলে
শহরে ও হাটে –
উঁচু স্তম্ভে দাঁত খোঁচানো স্ব-মুদ্রিত মাঠে।
মস্ত দারোয়ান – মাতব্বর ও রক্ষাকারী কৃষ্টির মস্তান।
রব তুলেছেন – গেলোই বুঝি সংস্কৃতি-সম্মান।
ঠিক তখনই বিপুল হারে
ঘণ্টা নেড়ে আসা –
কাকু তুমি কি লিখেছো গুরু!!! খাসা।
তোমার হাতেই কাকা নতুন পথের শুরু! তুমিই হলে লেটেস্ট কবিগুরু।।
মেলোড্রামা করছে মামা, বাঁচতে হলে উচিত শীঘ্র থামা।
বলবে না কেউ – বললে কাকা – রেগেমেগে হঠাৎ বাঁকা ।
বরং চলবে অং বং চং –
কবজি খুলে অঙ্ক ছকে যাওয়া।
পারমুটেশন কম্বিনেশন – সাবমেরিনের হাওয়া।
ফন্দি দারুণ, সন্ধির প্যাঁচ। ম্যানিপুলেট – নতুন ফ্যাশন, নিজের জন্য সুযোগ – কালার ম্যাচ।
কবিতা এক
বোতল বন্দি।।
কবিতা দুই
নজর বন্দি।।
কবিতা নয়, কবিই আসল
বারোমাসে পঁচিশ আঁচল –
দাও গুঁজে দাও লক্ষ্য বুঝে।
চাঁদের মরণ এ পিলসুজে।
একার জন্য কবর খুঁড়ে, এখন মেয়ে একাই মরে।
বর্ণমালার কঠিন সময়, দ্বীপান্তরে যাপন খোলা হাওয়ার –
ঈশ্বরী আজ বুনছে কাপড়, অনিবার্য লজ্জা ঢেকে দেওয়ার।
তুমি ডাকলে, সেই ডেকেই নিলে
অথচ এতটাই দেরি হয়ে গেলো
আমাদের তো দেখা হয়ে যাওয়ার কথা
অনেক সকালে, স্কুলের দিনে –
টিউশন থেকে ফেরার রাস্তায়, ছায়াপথে জোড়া সাইকেলে
আমাদের তো দেখা হয়েই যেতো
কলেজ ক্যাম্পাসে, ক্যান্টিনের বেহুঁশ আড্ডায়।
আমাদের অন্ততঃ একবার মুখোমুখি একটা ধাক্কা
হতেই পারতো একুশের উত্তাল কোনও তুফানী মিছিলে, জনাকীর্ণ ভার্সিটি করিডোরে, কিংবা উৎসবে, পুনর্মিলনে –
সেই তো ডাকলে আজ, সেই তো বলেই নিলে –
দেখোনা আসতে পারো কীনা —
ডাকলে নিভৃতচারী হয়ে
শহর নিয়নে ভিজে যাবো যুগপৎ
প্রিয়া, ডাকলে আমাকে, সেই তো ডাকলেই
কিন্তু বড্ড বড্ড
দেরি করে দিলে
জন্ম নিয়েই মাথার ভিতর থেকে
চেঁছেপুছে বার করে দিয়েছি সমস্ত সারবস্তু -গ্রে মেটার, হোয়াইট ম্যাটার।
মাথা এখন ফাঁকা ফাঁপা হাড়গোড় এবং নিপাট শুষ্ক একটা পাথুরে থলি –
কুড়িয়ে কাড়িয়ে শ খানেক নারী ও পুরুষের হৃৎপিণ্ড
জড়ো করে হৃদয় গড়েছি।
সেই থেকে ডক্টর বলে, অদ্ভুত তো-
এ লোকের তো কবেই ব্রেইন ডেথ হয়ে গেছে।
শুধুমাত্র হৃদয়ের জোরে বেঁচে আছে।
সেই থেকে নিয়ম করে মার খেতে বক্সিং রিং এ ঢুকি আর বেরিয়ে আসি।
এত অনন্ত আমার নির্বোধ উপেক্ষারা আমাকে বারংবার প্রত্যাঘাত ফিরিয়ে দেবে – সেটুকু বুঝতেও তো মাথার ভিতরে কিছু ধূসর ভাঁজ ও খাঁজের প্রয়োজন-
আমি তো নিজেই খুঁড়েছি নিজের কবর।
শূন্যে ডুবেছে এক নারী
মেঘের ভিতরে তার বাড়ি
বাড়ি জুড়ে সবুজ বরফ
হৃদয়েও বাংলা হরফ
শূন্যে ছুটেছে ছায়াপথ
চাকা ভেঙে উড়ে গেছে রথ
বৃদ্ধা তরুণী মেশে রাতে
রাত মেশে ছায়াপোড়া ভাতে
চারকোণে ধূর্ত শামিয়ানা
প্রেমিকা বলতে তাই মানা
আমার তো ঠিকানা ঋতুশোকে
উড়োচিঠি বেডরুমে ঢোকে
বেডরুম মহাশূন্যে দোলে
প্রেমিকারা শূন্যতায় ঝোলে
কোথাও তো রাখিনি হৃদয়
ভালোবাসা জীবিত নির্ভয়
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..