লাইমুন নাহার সীমার কবিতা
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
১
হসপিটালের একটা নিজস্ব গন্ধ আছে।
প্রাইভেট হলে এক,
সরকারি হলে আর এক,
কিন্তু দুটো গন্ধেই বৈরাগ্যের ছোঁয়া,
দুটো গন্ধেই হারিয়ে যাওয়ার ভয়,
দুটো গন্ধেই শীত শীত করে খুব,
জানতে ইচ্ছে করে ভাল আছো ত,
ভাল আছে ত,
আজও?
২
ওই যে মেয়েটা শুয়ে আছে বেডে, ওই যে যার নাকে মুখে হাতে নল লাগানো,
ওর নাম রুগী, ওর রক্তের রঙ লাল।
আর উনি যার ডায়ালিসিস চলছে, রক্ত দেওয়া হবে একটু বাদে,
ওর নামও রুগী, ওর রক্তও লাল।
এক্ষুণি একটা বাচ্চা, ওই যার রাস্তায় এক্সিডেন্ট হয়েছে, ইমারজেন্সি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেল, সেও রুগী, তার রক্তের রঙ…
এরা সকলেই ছাড়া পাবে, সকলেই পড়ে নেবে নিজের পোশাক,
কেউ বোরখা, কেউ ধুতি, কেউ প্যান্ট, কেউ লুঙ্গি,
কেউ মন্দিরের কেউ মসজিদের কেউ গির্জার,
সকলেরই নির্ধারিত ইউনিফর্ম,
কেউবা মাটির, কেউবা আগুনের।
মাঝের অংশই পোশাকহীন।
মাঝের অংশেই জীবন।
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..