আপ্লুত রজনী
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
ডুবন্ত সূর্যের রক্তিম আভা আকাশে জাগলে
জ্যোৎস্না খেলা করে দিগন্ত – নিসর্গে।
পাহাড়-নদী-সাগর-অরণ্য মেঠোপথ ধরে
হাঁটে ভোরের আলো দেখবে বলে।
এ যাত্রার অভিমুখ মহাশূন্যে।
সামনে আলো না কৃষ্ণগহ্বর- এ চিন্তায়
ভাবনা পাণ্ডুর হয়।
জ্যোৎস্নায় ফুল ফোটার শব্দ তাই অশ্রুত,
অদৃষ্ট স্বাতীনক্ষত্র ঝরে পড়ার মরা আলো।
তবু মাটির কাছাকাছি বসে থাকি
বুকে আকৈশোর বিশ্বাসের আগুন নিয়ে।
হৃদয় যখন কথা বলে,
স্মৃতিস্রোতে ভাসে ফসফরাস,
সংলাপ জ্বলে যাপনের সংকেতে।
চাঁদঢলেপড়া আকাশের মৃদু আলোয়
পথ তৈরি হয় সম্পর্কের সুড়ঙ্গে,
ইতিহাস জাগে আবৃত মাধুর্যে।
ব্যর্থতা, অবিশ্বাস, সন্দেহ
কুলকুল ভেসে যায় অন্তসলিলা হয়ে।
যতো দূরেই যাওয়া হোক,
পথে কোনও না কোনও নদীর দেখা মিলবেই।
হৃদয়তীরের বন্দর ছুঁয়ে ছুঁয়ে আমার এক সমুদ্র চলা,
হাতের তালুতে মুঠো মুঠো অন্ধকার ভরে
একগলা কথা বলা।
গর্ভবতী পলাশ অরণ্যে এখন খণ্ড খণ্ড বসন্ত,
দিগন্তবিস্তৃত আবছা চাঁদনী রাতে হঠাৎ পাওয়া চুম্বন
পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো।
শ্রান্ত দিনান্তে আমি আশ্রয় খুঁজি
শিউলির গন্ধে, বকুলের ঘ্রাণে।
সুডৌল নীল আকাশ থেকে নেমে আসে
ঘোড়সওয়ার সাতরঙা রামধনু হাতে।
বদলে যায় দেখার চোখ, হাতের পরশ,
স্বর্গের সিঁড়ি।
জীবনের আগে আগে ফুল ফোটায়, অনন্ত
রোশনাই ছায়াকে পিছনে ফেলে হেঁটে যায়।
আগুপিছু ভেবে ভেবে নিয়েছ অবস্থান
সুযোগসন্ধানী তুমি ঠিক একেবারে,
চিন্তার কিছু নেই, গদি ও পুরস্কার
হাজির হবেই হবে তোমার দুয়ারে।
শীতেতে উত্তর তুমি বসন্তে দক্ষিণ
হাওয়া বয় কোনদিকে জানো হাওয়ামোরগ,
নতজানু হতে হতে শিরদাঁড়া বাঁকা
ঝোপ বুঝে ঠিকঠাক মেরে দাও কোপ।
বিবেকের দংশন তোমার তো নাই
ভালো তাই সুখি তাই পরিপাটি সংসার,
বাঁচলে নিজে তবে বাঁচবে পিতৃনাম
সারা গায়ে কাঁটা নিয়ে সেঁকুলের ঝাড়।
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
ভালো আছো, ভুলে আছো একটাই আঙুল একটাই সেতার যতোবার সুর তুলি তোমার নাম ততবার একটাই…..
প্রতীক্ষিত প্রেম চোখের চাহনিতে গভীর প্রণয় অন্তরে তৃষ্ণা সুধায়, একপলক দৃষ্টি আকুলতার নিঃশ্বাসে প্রতীক্ষার অন্তিম…..
মাঝরাতে বেড়াবার একদিন মাঝরাতে ঘুরে বেড়াবার ইচ্ছা হলো আঁধারে কপাল ঠুকে বেরিয়ে পড়লাম সটান দূরের…..