দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
‘ত্বমসি মম ভূষণঙ
ত্বমসি মম জীবনং
ত্বমসি মম ভবজলধিরত্নম “…….(কবি জয়দেব )
হৃদয়ে হৃদয় চায় ফাগুন তিয়াসি
চক্ষু নেই ,নেত্র নেই , অন্ধযামিনীর
জেগে থাকে ক্ষুরধার তৃতীয় নয়ন
মধুবাক্য আলাপনে হৃদয় হরণ !
হরণে সরণ হলো সুরেলা সংগম
মৃদঙ্গ বাঁশি বাজনে আনন্দ ভ্রমণ
স্বর-সুরে মাখামাখি ফাগের বাতাস
লোমপুপে হৃদিরন্ধ্রে সুর খেয়াপার !
আঙুলে আঙ্গুল ছুঁলে মালঞ্চ প্রপাত
সৃজন লাবণ্যে গড়া প্রণয় বিভাস !
প্রণয়জলধি ধায় নিঃশর্ত আশ্বাসে
স্রোতে চূর্ন হৃদিগান পরমা প্রকৃতি
কপোল -অধর জুড়ে স্পর্শাতুর ডাক
জুড়েছে আজন্মকাল পরিণয় পদ !
মধ্যযামিনীর মুখ দেখিনি এখন!
#
এই বাণিজ্যনগরী শুধু যন্ত্রমানবের
কারসাজি করে রাখে ঘিলুর ভিতরে!
#
দূরে ও অদূরে শুধু নির্বাক স্তব্ধতা —
নিয়ে জেগে থাকে নিয়ন বাতির আলো
হাইরাইস বিল্ডিংয়ের নানান প্রকোষ্ঠে!
এতো আলো জ্বলা থেকে আমি বুঝে ফেলি
সেইসব মানুষেরা যায়নি শয়নে!
কিংবা শয়ন কক্ষের অনিবার্য রাট
মধুপর্ণী স্বর ছেড়ে ডাকেনি এখনো!
#
কার্তিকের মৃদু হিঁ টের পাও তুমি!
দেখো কিছু অক্ষরের সজীব সাধনা
অমোঘ ঘরের নিচে তুলে রাখি ভোর ,,,
#
ভোরমুখ ফোটবার আগে
অদূরে কোথাও গাছে বসে
ডাকছে কাক ও পাখিরা!
#
সপ্তমতলার ব্যালকনি থেকে
হঠাৎ দেখছি চেরিলালের স্কার্ট
হেঁটে যাচ্ছে একা একা
জানিনা প্রাতঃভ্রমণ করে কিনা
#
তবে প্রাতভ্রমণকারীরা
ঘরের ভেতরে বসে প্রস্তুতি সারেন
বারমুডা, টি-শার্ট ও কেডসের
নতুন সজ্জ্বায় বের হবেন
শরীরে সবুজ নিতে
#
ওঠো ,আড়মোড়া ভাঙো
হারমনিয়ামে ধরো দেখি
আহির ভৈরবী।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..